ছোট গল্প:- কিছু স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না/ প্রথম পর্ব

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।

প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।

আজ আমি আপনাদের, ছোট গল্প কিছু স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না আজকের পর্ব বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

বিকেলের শেষ প্রান্তে পশ্চিম আকাশে সূর্যমামা লাল গোলকের মতন দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণের হাওয়াতে মাথার চুলগুলো উড়ছে। মাঝে মাঝে বাতাস জোরে এসে ধাক্কা লাগে শরীরে। একটু পরেই সন্ধ্যা নেমে আসবে । মানুষ ধীরে ধীরে কর্মব্যস্ততা সেরে নিজের নীড়ে ফিরে যাবে। মাঝে মাঝে পাখি দল বেঁধে কিচিরমিচির শব্দে মাথার উপর দিয়ে উঠে যাচ্ছে মনে হচ্ছে নিজ বাসায় ফিরে যাচ্ছে। আমিও রেল লাইনের উপর পা ফেলে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর গোধূলি বিকেলের প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছি। বলা হয়ে থাকে সকালের আবহাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী তা অবশ্যই শতভাগ সত্য। তবে আমি মনে করি বিকেলের আবহাওয়া মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট। পড়ন্ত বিকেলের আবহাওয়া বিষন্ন মনকে ভালো করে তুলতে সহায়তা করে।

কিছু দূর যেতে একজন ছেলে হাসিমুখে বলে উঠলো আরে ভাই কোথায় যান। আমি বললাম না এমনিতে বিকেল বেলা হাটাহাটি করতেছি। তোমার কোথায় যাওয়া হইতেছে? ছেলেটি বলল না কোথায় যাওয়া হচ্ছে না আপনার মতন আমিও রেল স্টেশনে আসলাম। কারণ এ জায়গায় আসতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তারপর আমি বললাম হ্যাঁ অবশ্যই সত্যিই জায়গাটা বেশ দারুণ । বিকেলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। ছেলেটি মুচকি হাসি দিয়ে বলে উঠলো হ্যাঁ ভাই। আমি তাকে বললাম, আমি এই জায়গায় প্রায় আসি তোমাকে মাঝে মাঝে দেখি মাঝে মাঝে দেখি না তুমি মনে হয় অনেক দিন পরে আসো। ছেলেটি বললো জি ভাই, আমারও ইচ্ছে হয় এ জায়গায় প্রায় সময় আসতে । তবে এখানে আসতে হলে হেঁটে আসা লাগে। তাই প্রতিদিন আসা সম্ভব হয় না। এখন চিন্তা করতেছি আমি মোটরসাইকেল নিবো । যখন আমার মোটর সাইকেলে থাকবে তখন অবশ্য প্রতিদিন এই জায়গায় আসবো।

আর আমি যখন এই জায়গায় আসি তখন আপনার সাথে দেখা হয় খুব ভালো লাগে আমার। আসলে ছেলেটির সাথে আমার অনেক বার দেখা হয়েছিল এর আগে। ছেলেটি কথাবার্তা খুবই ভালো কথা বলে বুঝা যায় নম্র ভদ্র। যে কোন কথা বললে ধীরে সুষ্ঠুতে একটু টেনে টেনে কথা বলে। ছেলেটি তেমন সুন্দর না শ্যামলা তবে চেহারাটা বেশ মায়াবী। দারুন দেখতে লাগে আমার কাছে। ছেলেটির বয়স ১৩ বছর হবে। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। তার বাড়ি রেল স্টেশন থেকে পায়ে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আসলে সেটি সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই জানি। আমি ছেলেটির বাড়ি আমার চিনা। তবে কখনো যাওয়া হয় নি। ছেলেটি খুব আক্ষেপ করে বলছে। যদি আমার একটি বাইক থাকতো তাহলে আমি এখানে বাইক নিয়ে আসতাম। হেঁটে আসতে অনেক কষ্ট হয়। ছেলেটি আরো বলতে লাগলো জানেন ভাইয়া আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি। আমি বাইক চালিয়ে অনেক দূরদূরান্ত চলে গেছি। অনেক সময় এখানে মোটরসাইকেল নিয়ে আসছি তাও স্বপ্ন দেখি। আমিও ঠোঁটের অট্টহাসিতে বলে উঠলাম । অবশ্যই সময় এখন অনেক বাকি মোটরসাইকেল নিয়ে আসবে সাথে করে আমাকে নিয়ে আসবে তাই না ? ছেলেটি বললো স্বপ্ন যদি পূরণ হয় আর কি।

ছেলেটির নাম বিপ্লব। ঐদিন তার সাথে সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কিছুক্ষণ গল্প গুজব করে বাড়িতে ফিরিয়ে এলাম। এরপর আমি আরো কয়েকবার গিয়েছিলাম রেল স্টেশনে কিন্তু আমি তাকে কয়দিন যাবত আর দেখি নাই। রেল স্টেশনে গেলে তার কথা মনে পড়ে। ছেলেটির কথা টানা টানা কথা বলতো তাই আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়।

আজ আর নয়। আগামী পড়বে পুরো গল্পটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো।

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।