হ-য-ব-র-ল জীবনের গল্প (২য় পর্ব) ✨

জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ভালো সময়গুলো এবং খারাপ সময় গুলো কে মনে রাখা উচিত আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ভালো সময় গুলোকে ভুলে গেলেও খারাপ সময় গুলো ভুলে যাওয়া ঠিক নয়। বিশেষ করে খারাপ সময় গুলোতে আমরা জীবনের প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করতে পারি। তাই খারাপ সময়গুলোতে কখনো ভুলা যাবেন না।

যাই হোক আজকের আমি আমার জব সেক্টর কিছু ঘটনা বলব। যখন আমি ডিপ্লোমা ভর্তি হই পাশাপাশি কিছু করার চিন্তা ভাবনা ছিল। তখন সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি তে ছোটখাটো একটা জব এর জন্য এপ্লাই করি। প্রথম এপ্লাই এই আমার জব হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে এক বছর পরে সেখানকার আইটি সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পাই। তখন থেকে কম্পিউটারের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ কাজ করতো।।

এমনটা ছিল না যে আমার পরিবারকে আমার পড়াশোনার খরচ বহনের সামর্থ ছিলনা কিন্তু তারপরও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য একটা চেষ্টা ছিল মাত্র। তখন থেকেই বাসা থেকে খুব একটা টাকা নিতাম না আমার ইনকামের টাকা দিয়ে আমি পড়াশোনা করতাম এবং ঢাকা শহরে থাকতাম। মোটকথা সবকিছু ভালই চলছিলো তারপরও কাজের ক্ষেত্রে কিছু কিছু সমস্যা হত। কারণ প্রাইভেট জব মানে বোঝেন এইতো। প্রথম প্রথম আমার ডিউটি ছিল প্রায় ১২ ঘন্টার, পরে পরবর্তীতে সেই ডিউটি টা আস্তে আস্তে ক্রমশ কমতে থাকল এবং আস্তে আস্তে প্রমোশন হতে থাকলো। যখন ডিপ্লোমা শেষ করলাম তখন সেই জব ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছিল না। কারণ সেই জব ছিল অনেক শান্তির। বিভিন্ন ধরনের কাজ গুলো আমি করতাম। বিভিন্ন কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে ঠিক করার চেষ্টা করতাম এবং ঠিক করা না গেলে সেই কম্পিউটারে ওয়ারিন্টি অনুযায়ী শো রুমে দিয়ে আসতাম। বাকি সময় গুলোতে এসি রুমে বসেই কাটাতাম। বিশেষ করে সফটওয়্যার জনিত অনেকগুলো কাজ করতাম। কম্পিউটারের কোন সফটওয়্যার আপডেট করা দরকার লাগলে সেটা আমি করে দিতাম এবং বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সমস্যাগুলো আমি সেগুলো সলফ করার চেষ্টা করতাম।

কাজের ফাঁকে চারঘন্টা দিত আমার ক্লাস করার জন্য বাকি প্রায় সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত আমাকে ডিউটি করতে হতো। কাজের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যায় পরতে হত কিন্তু আমার মধ্যে একটি ভালো গুণ আছে, যে কোন বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি শিখে নিতে পারি। জানিনা এটা আপনি কিভাবে নিবেন তবে এটা আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয়। যেকোনো কাজ দিলেই আমি সেইসব কাজে আগে থাকার চেষ্টা করতাম এবং সেসব কাজ না পারলে, সে সব কাজ শিখে তারপর আউটপুট দেওয়ার চেষ্টা করতামম। বিশেষ করে যারা এখন ব্যাচেলর আছেন আমি মনে করি পড়াশুনার পাশাপাশি আপনাদের কিছু করা উচিত। কারণ বাবা-মা তো সেই ছোটবেলা থেকেই আমাকে টানছে, আর কতটা টানবে!!! দায়িত্ববোধ নেওয়া আমাদের খুব জরুরী।

আমাদের সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করেছিল কিন্তু আমি সাপ্তাহিক ছুটি নিতাম না। আমি তিন-চার মাসের ছুটি একেবারে করে দশ বারো দিনের ছুটি নিয়ে বাসায় বেরিয়ে আসতাম। এটাই ছিল আমার উদ্দেশ এবং ঈদে এবং পূজায় খুব একটা বেশি ছুটি দিতো না। কারণ ঈদে সবার পরে আমাদের অফিস থেকে যেতে হয় এবং সবার আগে অফিসে জয়েন করতে হয়। প্রাইভেট সেক্টর বলে কথা। আপনারা যারা প্রাইভেট সেক্টরের জব করেন তারা ভালো বুঝবেন। এই ছিল মোটামুটি ঘটনা তবে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো যারা ব্যাচেলর আছেন পড়াশোনা করছেন পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করেন। যারা ব্লগিং করছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। এটি খুবই স্মার্ট প্রফেশন। এখানে আপনি ঘরে বসে থেকে ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র আপনাকে একটু কাজ করে যেতে হবে।

_{Image Source}

২০১৫ সালের দিকে যদি এ রকম সুযোগ-সুবিধা আমি পেতাম তাহলে অবশ্যই এই ব্লগিং ক্যারিয়ারকে পছন্দ করতাম। যাই হোক তারপরও এখনো যারা ব্যাচেলর রয়েছেন ব্লগিং প্রফেশনটা আমি মনে করি একটি স্মার্ট প্রফেশন হতে পারে আপনাদের জন্য।। বিশেষ করে আমরা যারা ব্যাচেলর আছে তাদের সামনে কিন্তু অনেক কঠিন পথ রয়েছে কারণ তাদের বাবা মাকে দেখতে হবে, তাদের বিয়ে করতে হবে এবং সব প্রকার দায়িত্ব তার কাঁধে এসে পরবে।

এখন থেকে যদি দায়িত্বগুলোর নিজের কাঁধে নেওয়ার চেষ্টা করেন অল্প অল্প করে তাহলে আমি মনে করি পরবর্তীতে আপনার খুব বেশি সমস্যা হবে না। এর জন্য দরকার আপনার পরিশ্রম করা। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে শুধুমাত্র পড়াশোনা করছে এবং ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। এই বিষয়গুলো থেকে একটু বেরিয়ে আসতে হবে। সবকিছু করতে হবে, সময় হল আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলেন, আবার সময় হলো আপনি একটু পার্টটাইম জব করলে। আপনার ফ্যামিলিকে একটু সাপোর্ট করবেন। এটাই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যাই হোক অনেক কিছু বলে ফেললাম। আজ এ প্রযন্তই, ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ সকলকে।

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: হ-য-ব-র-ল জীবনের গল্প (২য় পর্ব) ✨

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......