গ্যাংটকে যাওয়ার পথে।।১৫ নভেম্বর ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আশা করি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।বেশ কিছু বছর পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ এলো।আসলে করোনার জন্য যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাপক বিঘ্নতা এসেছিল তার ধারাাহিকতায় সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল।
এখন সবকিছু আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।মানুষ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি আবার দর্শনীয় জায়গায় ঘুরতে যাওয়া শুরু করেছে।তাই আমরা ও সিদ্ধান্ত নিলাম কোথাও একটু ঘুরে আসা যাক।কিন্তু কোথায় যাবো?
যেহেতু কখনোই পাহাড়ে যাওয়া হয়নি সেইভাবে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এবার আমরা সিকিমে যাবো।আমাদের একজন খুবই পরিচিত লোক গ্যাংটক এ থাকেন।তাই তার সাথে একটু পরামর্শ করে সব ফাইনাল করে ফেললাম।আমাদের এবারের ভ্রমণ হবে সিকিম ও দার্জিলিং।প্রথমে আমরা সিকিমে এ ঘুরে তারপর ফেরার পথে দার্জিলিং যাবো।তাই তেরো তারিখ সকালের ফ্লাইট কনফার্ম করলাম কলকাতা টু বাগডোগরা।বাগডোগরা থেকে সরাসরি আমরা গাড়ি করে গ্যাংটক এ পৌঁছে যাবো।

আমাদের গাড়িতে মোট সময় লাগলো চার ঘণ্টার মতো।আজকের পোস্ট এ আমি শুধুমাত্র বাগডোগরা থেকে গ্যাংটক এ পৌঁছানোর সময় করা কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।এরপর পুরো সিকিম ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্ত গুলো ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে থাকবো।
মোটামুটি সকাল নয়টায় আমরা বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে পড়লাম।এরপর আমাদের ব্যাগেজ কালেক্ট করে আমরা গাড়িতে উঠে পড়লাম।আমাদের জন্য আগে থেকেই গাড়ি অপেক্ষা করছো তাই সময় একদমই অপচয় হলো না।কিছুদুর যাওয়ার পথে দাদার জন্য একটা সু কিনে নিলাম।কারণ যেটা দাদা পরে এসেছিল সেটা এই বারই প্রথম ইউজ করলাম আর একদিনেই পুরো সু ফেটে নষ্ট। মানে সু টা একদমই নকল ছিলো যদিও বেশ দাম নিয়েছিল জুতো টার। যাই হোক দাদার জন্য নতুন জুতো কিনে আমরা আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম।
এরপর রাস্তায় একটা নেপালি রেস্টুরেন্ট এ কিছু ব্রেকফাস্ট খেয়ে নিলাম।তারপর আমাদের আবার চলা শুরু হলো।আমাদের সাথে যেহেতু টিনটিন ছিলো তাই আমরা একটু বিশ্রাম নিয়েই সারা পথ যাত্রা করলাম।এরপর তিস্তা নদীর উপরে গাড়ি রেখে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।টিনটিন তখন খুব ঝামেলা করছিল তাই তেমন একটা ফটোগ্রাফি করতে পারলাম না।
এরপর দুপুরে খেয়ে নিলাম আর সারা পথ অল্প অল্প ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম। তারপর সাড়ে তিনটার দিকে আমাদের বুক করা hotel এ পৌঁছে গেলাম।ঘণ্টা খানেক বিশ্রাম নিয়ে আমরা এম জি মার্কেটে ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
ভাইয়া এই ছবিগুলোর ই অপেক্ষা করছিলাম।একদম তাই,কাজের পাশাপাশি মানুষ এর একটু ঘুরোঘুরিও দরকার।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনারা কোথায় কোথায় যাবেন সেটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আসলে বাজারে কোনটা আসল কোনটা নকল বোঝা বড় দায়। আপনাদের যাত্রা শুভ হোক। পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক দিন পর দাদা আপনার পোস্ট দেখতে পেলাম।প্রতিদিন ই চেক করি কবিতা দিয়েছেন কিনা। আজ বুঝতে পারলাম পোস্ট পড়ে আপনি ভ্রমন করছেন। সিকিম থেকে দার্জিলিং যাবেন। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পোস্টের।আপনার কাছ থকে ধারাবাহিক ভাবে সব জানতে পারব।অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।নিরাপদে ঘুরে আসুন।
আসলে এটা সত্যিই যে করোনার কারণে জীবন খুবই বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। দুটো বছর তো কোথাও যাওয়া মানেই বিপদ। যাক অনেক দিন পর ঘুরতে যাওয়া গেলো সেটাই বা কম কিসের। কলকাতা থেকে বাগডোগরা হুস করে চলে যাওয়া যায়। প্লেনে উঠলাম আর নামলাম। হাঃ হাঃ।
পাহাড়ের বিশালতা আমাকে বরাবরই টানে! দুইবার পাহাড় দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। যাক, করোনা মহামারীর পর পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ট্যুর দেয়ার মজাটাই অন্যরকম। দার্জিলিং ও সিকিমের সৌন্দর্য সম্পর্কে মোটামোটি সবাই জানে। দেখার মতো জায়গা আছে। আশা করছি আপনারা উপভোগ করতে পারবেন 🌼
আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার দৃশ্যগুলো দেখে আমার নিজেরও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করছে। যদিও এখন পর্যন্ত দাদা এবং বৌদির পোস্টে আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার প্রায় অনেকগুলো মুহূর্ত দেখেছি। আপনার কাছ থেকে নিশ্চয়ই ধারাবাহিকভাবে আরো কিছু দেখতে পারবো। করোনার কারণে সত্যিই প্রায় অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে গেছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হওয়াতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে ভালই করেছেন। যেহেতু গ্যাংটকে আপনাদের পরিচিত লোক ছিল এই জন্য আরো বেশি সুবিধা হল। নতুন সু টা এইভাবে একদিনে নষ্ট হয়ে গেল। যাইহোক দাদার জন্য আরেক জোড়া সু কিনে নিয়েছেন ভালোই হলো। এম জি মার্কেটে টিনটিন বাবুকে দেখতে ভীষণ কিউট লাগলো।
দাদা বৌদির পোস্ট দেখেই বুঝতে পারছি কেমন মজা করে ঘুরছেন সবাই। খুব ভালো লাগলো যে এক সাথে সবাই মিলে অনেক দিন পর এভাবে ঘুরতে বেড়িয়েছেন। দাদার জুতো একদিনেই খতম হয়ে গেল! কোম্পানির নামে মামলা করে আসতে হবে 😅। পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষায় রইলাম। সাবধানে থাকবেন দাদা।
যাএাপথে একটু আকটু ঝামেলা না হলে যাএা সফল হয় না,তাই হয়ত দাদার জুতা গুলো এমন হয়েছে।আপনাদের ভ্রমন কাহিনী যত পড়ছি,ততই ভালো লাগছে।ছবিগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে।নেপালিয়ান রেস্টুরেন্টের খাবার বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে।
দাদা প্রথমে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল যাতে আপনাদের যাত্রা শুভ হোক এবং সুস্থভাবে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেন।আপনাদের পুরো প্ল্যানটা শুনে ভালো লাগলো।প্রথমে সিকিমে যাবেন এরপরে ফেরার পথে দার্জিলিং যাবেন বেশ মজা হবে।তবে অপেক্ষায় রইলাম আপনার কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের দৃশ্যগুলো দেখার জন্য।