কিছু বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তার দরকার আছে।।১৮ মে ২০২২।।
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আজকে আমি কিছু বাস্তবতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।জীবন মানেই সংগ্রাম জীবন মানেই বৈচিত্র্য।তাই এই জীবনে উঠা পড়া থাকবেই।জীবনে সব কিছুই স্বীকার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।কিন্তু হার স্বীকার করা যাবে না আর করলেই সর্বনাশ হয়ে যাবে।সত্যি কথা বলতে জীবন বেশ অদ্ভুত আর এই বিদঘুটে জীবনে প্রক্রিয়াধীন কিছু সত্যতা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন:
স্টিভেন পল জবস কে আমরা মোটামুটি সবাই চিনি।আধুনিক কম্পিউটারের অগ্রদূত বলা হয় স্টিভ জবস কে ।স্টিভ জবস apple এর একজন ফাউন্ডার চেয়ারম্যান।উনাকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের ডিজাইনার বলা হয়।সমগ্র বিশ্বকে অনেকটা নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন স্টিভ জবস।কিন্তু এই কিংবদন্তি প্রযুক্তিবিদের প্রথম জীবন একদম আলাদা ছিল।কোনো গঠনগত কাজে সংযুক্ত ছিলেন না তিনি।নারী সঙ্গ আর উদ্দেশ্যহীন জীবন ছিল তার।এরপর সুযোগ এলো ভারত ভ্রমণের।ভারতের সংস্কৃতি ও ঈশ্বরবাদ স্টিভ জবসকে দারুন ভাবে আকৃষ্ট করে।তার মনের মধ্যে একটা ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যায়।আমেরিকা ফিরে স্টিভ জবস এক অন্য মানুষ হয়ে যান।আগের জীবনের প্রতি তার কোনো আকর্ষণ থাকে না।এরপর পড়ে যান কম্পিউটারের প্রেমে।এরপর থেকে শুরু এক নতুন অধ্যায়ের।
macintosh নাম বের করেন পার্সোনাল কম্পিউটার।সারা পৃথিবী সেদিন হেসেছিলো স্টিভ জবস এর এই কাজে।সেদিন কেউ বুঝতে পারিনি এই পার্সোনাল কম্পিউটার উঠে উঠবে এক অপরিহার্য যন্ত্র যা সমগ্র বিশ্বকে আমূল পাল্টে দেবে।
এই রকম একটা পরিবর্তন খুবই দরকার প্রত্যেক মানুষের জীবনে।আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি প্রত্যেক মানুষের মাঝেই একটা সম্ভাবনা আছে।আর সেটা বের করে নিয়ে আনাই আসল কথা।
সঠিক মানুষ নির্বাচন
শুনেছি জাহাজে আগুন লাগলে সবচেয়ে আগে ভীতুরা আগে জাহাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়।কিন্তু সত্যিকারের সাহসী ও শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিরা কখনোই খারাপ সময়ে ছেড়ে যায় না।তেমনি কোনো সংগঠনের ভালো সময়ে যে মানুষগুলো পাশে থাকে তারা সংগঠনের খারাপ সময়ে আসলেই কি পাশে থাকবে সেটাই আসল কথা।আর তখনি প্রমাণিত হবে কে বা করা সত্যিকারের বন্ধু।আর তাদেরই একমাত্র আমাদের সমর্থন করা উচিত।
মানুষ চেনার হাতিয়ার
মানুষ চেনার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার কি ?জানি এই প্রশ্নের উত্তর বেশ কঠিন।তবে আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি বলে মানুষ চেনার বড় হাতিয়ার হলো দুঃসময়।দুঃসময়ই পারে একটা মানুষকে সঠিকরূপে প্রকাশিত করতে।দুঃসময় একটা মানুষ কে শক্ত করে তোলে মানসিক ভাবে।আর এই কঠিন মানসিকতা গড়ে তোলার প্রত্যেক পর্যায়ে একটা মানুষ নিজেকে উপস্থাপিত করেন বিভিন্ন রকম ভাবে আর এটাই তার পরিচয় তুলে ধরে।।
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord
বৈচিত্র্যময় এই সংগ্রামী জীবনে মানুষকে কোনক্রমেই কিছু ভাবেই চেনার কোন যন্ত্র আবিষ্কার হয়নি। তবে আপনার দেওয়া দূঃসময় মানুষ চেনার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যন্ত্র বলে আমি মনে করি। একথা অনেকে অনেক আগেই বলে গেছেন ।তারপরও আপনি আমাদেরকে খেয়াল করে দিলেন ।সত্যি সত্যিই দুঃসময় মানুষের এক পরম পরীক্ষিত বন্ধু ।যাহা মানুষ নামক বন্ধুকে পরীক্ষা করাতে ভুল করে না। শীর্ষে পৌঁছুতে অবহেলা আর সমালোচনা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এটাও আপনি বুঝানোর চেষ্টা করলেন। ভারী কথার শব্দে ভরপুর ছিল পোস্টটি। দোয়া করবেন।
দুঃসময়ে যে পাশে থাকে সেই প্রকৃত বন্ধু তাকে চোখ বন্ধ করেও বিশ্বাস করা যায়। এবং এটা দারুণ বলেছেন দাদা মানুষ চেনার জন্য হলেও জীবনে দুঃসময়ের প্রয়োজন আছে। কিছুদিন আগে আমি একটা ঝামেলায় পড়ছিলাম। অনেক বন্ধুদের সাথেই যোগাযোগ করি সেদিন বুঝে গিয়েছিলাম আমার আসল বন্ধু কে। এরপল থেকে ওদের কে আমি এড়িয়ে চলি। কারণ ওরা শুধু আমার সুসময়ে আমাকে সঙ্গ দেবে দুঃসময়ে নয়।
আপনি ঠিকই বলেছেন, জাহাজে আগুন লেগে গেলে ভিতুরা সবচেয়ে আগে মরে। আপনি অনেক সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। এবং যতোটুকু বুঝতে পেরেছি আপনার কথাগুলো অন্তরে গেঁথে গেছে। বিপদের সময়ে যে পাশে থাকে না, সেই প্রকৃত বন্ধু নয়। সে হচ্ছে স্বার্থপর, আর যে মানুষ মনোবল শক্ত করে সামনের দিকে এগিয়ে যায় হাজার বিপদের মোকাবেলা সেই প্রকৃত মানুষ দাদা। এত সুন্দর করে আমাদের সাথে আপনার গল্প গুলো শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
শ্রদ্ধেয় প্রিয় দাদা, আশাকরি ভালো আছেন? আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাদেরকে পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হবে। দুঃখের সময় যে পাশে থাকে সেই হলো প্রকৃত বন্ধু। এত অসাধারন পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন দাদা।
দাদা আজকে আপনার কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এ কথাগুলো আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে আমরা অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। আসলে মানুষ চেনার যে একটা পদ্ধতি আপনি বলে দিলেন এটা সত্যি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুঃখের সময় প্রিয় মানুষগুলো আসল পরিচয় দিয়ে থাকে। যে দুঃখের সময় পাশে থাকবে সেই প্রকৃত বন্ধু। সেই আমার জীবনসঙ্গী এবং তাকে নিয়ে আমার জীবনের উন্নতি হবে। দুঃখের সময় যে বন্ধুগুলো পাশে থাকবে তারাই প্রকৃত বন্ধু এবং যারা আমার শত্রু তারা আমার এই দুঃখের সময় আমার পাশে থাকবে না। তাই মানুষ চিনতে হলে দুঃখের সময় বেছে নিতে হবে। যাই হোক দাদা আপনার কথাগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।
কথাগুলো বেশ চমৎকার। স্টিভ জবস সম্পর্কে এতকিছু জানতাম না।যাই হোক কথায় আছে সৎ সঙ্গ স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গ সর্বনাশ,তাই সঙ্গ নির্বাচনে অব্যশই খেয়াল রাখতে হব।তবে আসলেই মানুষ চেনা বেশ কঠিন।কথাগুলো ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
সময় উপযোগী বার্তা ভাই । ভদ্রলোক স্টিভ জবসের চেষ্টা ও জীবন নিয়ে অন্য রকম ভাবনাই তাকে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে । তাছাড়াও জাহাজের আগুনের ঘটনার বার্তা একদম বাস্তবিক, ভালোবাসি ভাই তোমাকে। তবে সর্বোপরি আমি মনেকরি মানুষের দু:সময় না আসলে, মানুষ নিজের থেকে নিজেকে কখনোই চিনতে পারে না । তাই মাঝেমাঝেই খারাপ সময় আসা দরকার।
আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি , সব কিছুর জন্যই।
আসলে কি দাদা , যখন কেউ সাফল্যের শীষে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তখন অনেক মানুষ আছে যারা তাকে নিয়ে মজা করে আবার এমনও লোক আছে আপনার পাশে সব সময় আপনাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য পাশে থাকবে , কিন্তু আমার মনে হয় এই রকম নিঃস্বার্থ ভাবে পাশে থেকে যাওয়া লোক অনেক কমই খুঁজে পাওয়া যাবে। যদিও আমি সমাজের লোকেদের কথা বলছি , পরিবারকে বাদ দিয়ে। কিন্তু এটা ঠিক দাদা , যে সাফল্য অর্জনের পর সবাই ভাবে এটা খুব সহজেই সে অর্জন করে ফেলছে। কিন্তু একমাত্র সাফল্য অর্জনকারীই বুঝে কত সংগ্রামের মধ্যো দিয়ে সেই শীর্ষে পৌঁছাতে হয়েছে।
আপনি যথার্থ বলেছেন দাদা, আপনার শুরুর কথাগুলোর সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি আমি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় সব কিছু স্বীকার করে নেয়ার মানসিকতা ছাড়া এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সত্যি স্টিভ জবস এর মতো একটা ঝাঁকুনি দরকার আমাদের হৃদয়ে, তা না হলে সম্ভাবনা বেরিয়ে আসবে না সেটা অন্ধকারেই থেকে যাবে। দারুণ ছিলো আজকের কথাগুলো। ধন্যবাদ