১৪ ই ফেব্রুয়ারি একটু ঘোরাঘুরি।।০৪ মার্চ ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।১৪ ফেব্রুয়ারি ছিলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।সত্যি কথা বলতে ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না।প্রত্যেকটা দিন ভালোবাসার জন্য সঠিক ও উপযুক্ত সময়। যাই হোক ঐ দিনটা আমরা পরিকল্পনা মাফিক বেড়িয়েছিলাম।কিন্তু বাঙালী তো তাই একটু দেরি হয়ে গেল।আর যেহেতু দেরি হয়ে গেছিলো তাই আমাদের গ্রাম্য ট্যুর ততটা দীর্ঘ হয়নি কিন্তু খুব আনন্দদায়ক ছিলো।
আসলে মনে আনন্দ থাকলে সব কিছুই ভালো লাগে।আমরা পাঁচ জন দাদা বৌদি স্বাগতা টিনটিন বাবু ও আমি বেরিয়ে পড়লাম বেরাবেরিয়া গ্রামে।এই গ্রামটা বেশ সবুজ ও খোলামেলা।আমি যে প্রায় পোস্ট এ বর্তির বিলের কথা বলি সেটা এই গ্রামের বেশ কাছেই।এই গ্রামটা আমার কাছে এতোটা ভালো লাগে কারন এখানে এলে সত্যিকারের গ্রামের একটা গন্ধ পাই।
গ্রাম আর সেই আগের মত নেই।আধুনিকতার দারুণ ছোঁয়া লেগেছে গ্রাম্য জীবনেও।বিদ্যুৎ তো অনেক আগেই এসেছে এখন ইন্টারনেট ও ঢুকে পড়েছে আর আমূল বদলে দিয়েছে গ্রামের সামগ্রিক চেহারা।তবে একটা দিক আমার ভালো লাগে না সেটা হলো গ্রামের ছেলে গুলো আর মাঠে খেলাধুলা করে না।সবাই ইন্টারনেট আর মোবাইলে বন্ধী হয়ে আছে।কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম ও খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা যে কতটা সেটা বলে শেষ করা যাবে না।গ্রামে একটি বাজারের কাছে পৌঁছে আমরা আলুর চপ ও গরম গরম সিঙ্গাড়া কিনে নিলাম।তারপর একটা খোলা পরিবেশ গাড়িটা পার্ক করে আমরা নেমে পড়লাম।টিনটিন বাবু হাঁটতে লাগলো আর আমরা খেতে খেতে গল্প করতে করতে হাটলাম অনেকটা।বেশ ভালই লাগছিল আমাদের।একটু একটু ঠাণ্ডা লাগছিলো।
এরপর সন্ধ্যা নেমে এলো।আমরা সোজা বার্বিকিউ নেশন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।আগে থেকেই ওখানে আমাদের বুক করা ছিলো।সাধারণত বুক করার প্রয়োজন হয় না কিন্তু যেহেতু একটা occasion তাই বুক করে রেখেছিলাম। যথা সময়ে আমরা পৌঁছে গেলাম। রেস্টুরেন্ট এ।কিন্তু এবারের খাবারের অভিজ্ঞতা আমাদের খুব একটা সুখকর নয়।বলতে গেলে খেয়ে সেই আনন্দটা আমরা পেলাম না।তবে সবাই মিলে আনন্দ করার যে মজাটা পেলাম সেটার তুলনা নেই।বিকেল ও সন্ধ্যাটা আমরা খুব উপভোগ করেছিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
ভালোবাসার দিবসে প্রকৃতির মাঝে পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা সত্যি অসাধারণ ছি। এই সৌন্দর্যময় দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। সকলের জন্য দোয়া রইল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এটা তুমি ঠিকই বলেছো দাদা, ভালোবাসার আসলে কোন নির্দিষ্ট দিন হয় না। যে কোনদিন, যেকোনো সময় ভালোবাসা যায়।
তবে বারবিকিউ নেশনের রিভিউ এর আগেও আমি দুই একজনের কাছে খুব বেশি সন্তোষজনক পাইনি। কোয়ালিটি নাকি আগের থেকে বেশ খারাপ করে ফেলেছে। আমিও প্রথমদিকে যখন আমাদের এদিকে বারবিকিউ নেশন হয়েছিল, তখন একবার গেছিলাম। খাবারের কোয়ালিটি মোটামুটি ঠিক ছিল তখন।
আর বর্তির বিল নিয়ে কি বলবো, এটা তো আমার পছন্দের জায়গা। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে সময় পেলে ঘুরতে যাই বর্তির বিলে, আর সেই সিঙ্গারা এবং পিয়াজু যেটা সবসময়ই আমার পছন্দের খাবার।
প্রত্যেকটা দিন ভালোবাসার। আর যদি প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে তাহলে তো সময়টা আরো দারুন কাটে। সত্যি দাদা আপনাদের দুজনের জুটিটা কিন্তু দারুন। আমাদের স্বাগতা দিদি কিন্তু ভারী মিষ্টি মেয়ে। যাইহোক আসলে অনেক সময় গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে ভালো লাগে। তবে আজকাল গ্রামেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এখন আর সেই খোলা মাঠ দেখতে পাওয়া যায় না। সবুজের সমারোহ চোখেই পড়ে না। ছোট বালকের দুরন্তপনা আর কিশোর ছেলেদের ছোটা ছুটি এখন আর চোখেই পড়ে না। আসলে আধুনিকতার ছোঁয়া তাদের মাঝেও লেগেছে। যাইহোক দাদা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সেই অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিটি দিনকে যদি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপভোগ করা যায়। তবে প্রতিদিনই হচ্ছে ভালোবাসার দিন।ভালোবাসাকে কোন নিদিষ্ট দিনক্ষনে আবদ্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই। দাদা আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।ফটোগ্রাফিগুলো তাই বলছে। আপনারা বেরবেরিয়া গ্রামে কিছু সময় কাটিয়েছেন যা কিনা বর্তির বিলের কাছেই।এটা ঠিক গ্রামে শহরের ছোঁয়া লেগে গেলে তখন আর গ্রাম গ্রাম মনে হয় না। আমার আবার সত্যিকারের যে গ্রামের ছোঁয়া পাওয়া যায় তেমন গ্রামেই যেতে ইচ্ছে করে।আপনারা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলেন দেখে খুব ভাল লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।
আসলেই, বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে গ্রাম গুলো তাদের গ্রাম্য বিষয়টা অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে।
বার্বিকিউ নেশন মনে হচ্ছে আগের তুলনায় খাবারের মান কিছুটা খারাপ করে ফেলেছে। যেটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ভালো সময় কাটাতে গিয়ে খাবার ভালো না পেলে মনটা খারাপ লাগা স্বাভাবিক।
দাদা আপনাদের এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে কোথাও ঘুরতে গেলে দুই ভাই পরিবারসহ একসঙ্গে ঘুরতে যান। valentines day এমন একটা দিনেও আপনারা সবাই একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন গ্রামের পরিবেশ এখন আর গ্রাম্য নেই। শহরের ছোঁয়া লেগেছে সব জায়গায়। অকেশনের জন্য মনে হয় রেস্টুরেন্টে খাবারের মান একটু খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এজন্য হয়তো আপনারা আরাম পাননি। খাবার-দাবার খারাপ হলে কি হবে সবাই মিলে বেশ ভালো মজা করেছেন বোঝা যাচ্ছে।
একেবারেই ঠিক বলেছেন দাদা। এই শিরোনামে ভালোবাসা দিবসের দিন আমি একটা পোস্ট করেছিলাম। আমি শুধু ভাবতাম বাংলাদেশের গ্রাম গুলোরই এই অবস্থা গ্রামের ছেলেরা খেলাধুলা ছেড়ে শুধু ফোন নিয়ে পড়ে থাকে। এখন দেখছি আপনাদের দিকেও এই অবস্থা। সবাই মিলে গ্রাম্য পরিবেশে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দাদা।।
এই বেরবেরিয়া গ্রাম এর লেখা বেশ কয়েকবার ই পেয়েছি আপনার লেখায়।আর একটা ব্যাপার আমিও খেয়াল করেছি।বিশেষ অকেসনে বুফে গুলোতে ভীড় হয় কিন্তু মান কমিয়ে দেয় খাবারের!
হুম একটু দেরী না হলে কি বুঝা যাবে আমরা বাঙালি হা হা হা। এটা সত্য দাদা ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন দিনের প্রয়োজন নেই, জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত এবং প্রতিটি দিনই ভালোবাসার জন্য উপযুক্ত। তবে গ্রাম কিংবা গ্রামীন সেই জীবন এখন আর নেই, নেই সেই উচ্ছ্বাস কিংবা আনন্দ, কারন আধুনিকতার ছোয়া সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। খাবারের দৃশ্যগুলো লোভনীয় ছিলো।