বর্ধমানে একদিন আর কিছু বন্য প্রাণীর সঙ্গে সাক্ষাৎ।।ফেব্রুয়ারী ,২০২২।।
হ্যালো, বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং নিরাপদে সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।কয়েকদিন আগে আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে বর্ধমান গিয়েছিলাম।সাধারণত শক্তিগড়ের ল্যাংচা খাওয়ার জন্য আমাদের এই অভিযান ছিল।তবে আমাদের হাতে যেহেতু বেশ কিছু সময় ছিল তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম একবার বর্ধমানে ও ঘুরে আসি।বর্ধমানের কয়েকটি দর্শনীয় জায়গা আমরা ট্যাগ করলাম এবং সেগুলো ধারাবাহিক ভাবে দেখা শুরু করলাম।তবে আজকে আমি বর্ধমান এর zoological গার্ডেন এ আমাদের ঘোরার কিছু কথা ও ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো।
প্রথমে আমি নোনাজলের কুমিরের দুটি ফোটোগ্রাফি এখানে শেয়ার করলাম।এটি zoological গার্ডেন হলেও অনেকটা ছোট চিড়িয়াখানা বলা যেতে পারে।তবে করোনার কারণে বেশ কয়েক মাস এটি বন্ধ থাকার কারণে এর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কিছুটা ভেঙে পড়েছে।ভিতরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার যথেষ্ট অভাব আছে।এই গার্ডেনের আয়তন একদম ছোট ও নয় আবার বড় ও নয়।তাই সহজেই কম কষ্ট করেই এই গার্ডেন টা ঘুরে ঘুরে দেখা সম্ভব।
এরপর দেখলাম একদিকে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে হরিনের চারণ ভূমি বানানো আছে।এখানে বেশ কিছু spotted deer দেখতে পেলাম।আমার হরিণ দেখতে খুবই ভালো লাগে।এদের চোখ দুটো খুব মায়াবী।এই মায়া ভরা জীব কে কি করে একদল লোভী শিকার করে ভাবতেই অবাক লাগে।যাই হোক কিছুক্ষন আমরা হরিণ গুলো কে দেখতে লাগলাম আর কয়েকটি ফটোগ্রাফি ও করে নিলাম।কিন্তু হরিণ গুলো বেশ কিছুটা দূরে থাকার জন্য ছবি তোলা বেশ কষ্টকর ছিলো।
একদম শেষে যে পশুটির ফটো শেয়ার করেছি সেটা হলো বার্কিং ডিয়ার।এই জীবটি দেখতে আমার কাছে বড়োই অদ্ভুত লাগে।দেখতে এদের কে ভালো না লাগলে ও এরা যে নিরীহ দেখেই বোঝা যায়।


250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP


Beauty of Creativity.
Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working.
Discord


দাদা এ ধরনের স্থানে আমার ঘুরতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভালো লাগে এ ধরনের পোস্টগুলো পড়তে। জীবজন্তু আর প্রাণী আমাকে ভীষন আকর্ষন করে। হরিণের বিচরণ ভূমি বেশ বড়ই মনে হল। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়া দেখতে কেমন যেনো লাগলেও আসলে বেশ নিরীহ।পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকলে ঘুরে একদম মজা পাইনা আমি আবার।
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন দাদা। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা করি।
দাদা আপনি জিওলজিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমণ করেছেন সেখানে প্রতিটি প্রাণীকে আমাদের সামনে অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এবং আপনার যে প্রাণীর প্রতি মায়া সেটি আমাদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছে। সুন্দর এই দৃশ্যগুলো আমাদেরকে দেখানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি অবশ্য আপনার শক্তিগড় ভ্রমণের কিছু ছবি বিগত পোস্টে বিওসি তে দেখেছিলাম এবং সেখানে কিছু ছিল ফুলের ও ন্যাচার ফটোগ্রাফি । তবে এবারের zoological গার্ডেনের কুমির ও হরিণের ছবিগুলো ভালোই লাগলো । বেশ ভালো ছবি তুলেছেন। তবে ল্যাংচা কি রকম খাবার , সেটা আমি বুঝে উঠতেই পারলাম না ভাই ।
দাদা, আপনার বর্ধমানের ঘুরার খুব উপভোগ করলাম এবং আপনার সাথে ঘুরে এলাম মিনি zoological গার্ডেন। যদিও আপনি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন, তার মধ্যে আমার হরিণের ফটোগ্রাফি টা বেশ দারুন লেগেছে। আপনি ঠিকই বলেছে হরিণের চোখ গুলো মায়াবী দেখতে ভালো লাগে তবু কেন যে দুর্বিষহ শিকারের হাত থেকে রেহাই পায়না। অসাধারণ ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেই সাথে ঘুরে এলাম আপনার সাথে জলোজিকেল মিনি গার্ডেন থেকে। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অফুরন্ত শুভেচ্ছা।
বাকিং ডিয়ার গুলো দেখতে বেশ কিউট! দৈহিক আয়তন তুলনামূলক অন্যান্য হরিণদের থেকে ছোটো। পরিশেষে যেটা বলবো ছবির কোয়ালিটি মারাত্মক ভালো। 🤗
দাদা আজ সকাল বেলা এই পোস্ট টা দেখলাম। পাশে আমার ভাই ঈশান ছিল। ভীষণ খুশি ছেলে। আমারও বেশ ভালো লাগছিল বন্য প্রাণী গুলোকে দেখে। বিশেষ করে কুমীর টা সাংঘাতিক ছিল। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন মনে হচ্ছিল আমার দিকে তেড়ে আসছে। আর দাদা আপনার সাথে আমিও একমত। এত মায়াবী হরিণ গুলোকে মানুষ কিভাবে শিকার করে! এদের একটুও কি কষ্ট হয় না!
প্রানীগুলোর মধ্যে নোনা জলের কুমিরের সাক্ষাত সব থেকে ভয়ানক আমি মনে করি। তবে বার্কিং ডিয়ার একটি শান্ত প্রাণি। শেষে ফুলের ছবিটি চমৎকার ছিল।
এই অবস্থাটা সব জায়গায় হয়েছিলো দাদা, আসলে করোনা অনেক দিক থেকেই আমাদের অনেক বড় ক্ষতি করে গিয়েছে। তবে ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুন ছিলো, বিশেষ করে চিত্র হরিণের দৃশ্য আমার কাছে খুব বেশী ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ