ইলিশ কাঁচাকলার ঝোল। shy-fox 10%
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি। |
---|
ইলিশ দিয়ে বিভিন্ন পদ তৈরি করা যায়। তার মধ্যে কাঁচাকলা দিয়ে ইলিশের ঝোল বেশ জনপ্রিয়। গ্রাম থেকে শুরু করে শহরবাসীরাও এই পদ খেতে ভালোবাসেন।কাঁচাকলা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। অন্যদিকে ইলিশের আছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা। এক ইলিশ খেলেই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
তাই কাঁচাকলা ও ইলিশ একসঙ্গে রান্না করলে সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যকর এক পদ তৈরি হয়। তাহলে আর দেরি কেনো, চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচাকলা দিয়ে ইলিশ মাছ রান্নার সহজ রেসিপি টি।
উপকরণ |
---|
ইলিশ মাছ |
কাঁচাকলা |
আলু |
কাঁচামরিচ |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
জিরাগুঁড়া |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
পাঁচফোড়ন |
সরিষার তেল |
প্রথম ধাপঃ
মাছ কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে পিস পিস করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
কাঁচাকলা খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।তারপর হলুদগুঁড়া জলে ভিজিয়ে রেখেছি,যাতে কাঁচাকলার কস টা বেড়িয়ে যায়।
তৃতীয় ধাপঃ
আলু খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে,ধুয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
এবার লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে মাছ গুলো ভালো করে মেখে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তারপর মাছ গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে উল্টিয়ে দিয়েছি।দুপাশে ভালো করে ভাজা হলে নামিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
মাছ ভাজার তেলের মধ্যে আলু ভেজে তুলে নিয়েছি। তারপর কাঁচাকলা গুলো ভেজে তুলে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
তেলের মধ্যে পাঁচফোড়ন,কাঁচামরিচ ফোড়ন দিয়ে লবণ হলুদ, জিরাগুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি। তারপর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপঃ
কষানো মসলার মধ্যে ভেজে রাখা কাঁচাকলা ও আলু গুলো দিয়ে হালকা কষিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।
নবম ধাপঃ
ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঝোল কমে আসলে লবণ ঠিকঠাক আছে কি-না দেখে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপঃ
চুলা থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো ইলিশ কাঁচাকলার ঝোল রেসিপি টি।
আজকের রান্নায় আমি পেঁয়াজ,রসুন,আদা ব্যবহার করিনি তার কারন হলো ইলিশ মাছের নিজস্ব একটা স্বাদ গন্ধ আছে তাই অনেক বেশি মসলা ব্যবহার করলে সেই স্বাদ গন্ধ টা আর থাকেনা।আর কম মসলা দিয়ে রান্না করা ইলিশ মাছের ঝোল আমার কাছে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে, কার কেমন লাগলো অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
আমাদের বাড়িতে বাবা যখনই বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনে তখনই কাচ কলা নিয়ে আসতে দেখেছি।
ইলিশ মাছের সাথে এই কলা খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার।।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।।।।
ইলিশ কাঁচাকলা পারফেক্ট জুটি। মন্তব্য টি করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
ইলিশ আমার প্রিয় মাছ। মাঝে মাঝেই আমি ইলিশ মাছ রান্না করে থাকি। ইলিশ কাঁচাকলার ঝোল রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এলো। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
ইলিশ মাছ আমারও খুবই পছন্দ, কিন্তু এখন খেতে পারিনা তাই খুবই আফসোস হয় আপু।মেয়েরা খেয়ে বলেছে যে খুব সুস্বাদু হয়েছিলো।সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
শহরের মানুষের চেয়ে গ্রামের মানুষ কিন্তু ফ্রেশ খাবার বেশি খায় আমি মনে করি। তাছাড়া গ্রামে যেসব সবজিগুলো ফলন হয় সবগুলো কিন্তু অনেক ফ্রেশ। বিশেষ করে কাঁচা কলা তো গ্রামের মধ্যে অ্যাভেলেবেল পাওয়া যায়। কাঁচা কলা তে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে এবং ইলিশ মাছে ও রয়েছে সবগুলো মিলিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি অনেক গুন সম্পন্ন হবে খেতে পারলে কিন্তু ভালো লাগতো।
জ্বি আপু গ্রামের সবজি গুলো অনেক বেশি টাটাকা হয়।আর গ্রামের বাড়িতে কলা গাছ থেকে নিয়ে এসে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ইলিশ মাছ যে কোনভাবেই রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। তবে আপনার কাচা কলার রেসিপি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি কাচা কলা দিয়ে যে কোন রেসিপি তৈরি করে খেতে খুবই পছন্দ করি। মাঝে মাঝে কলার ভর্তা সহ বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয়। আপনার কাচা কলা দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু ইলিশ মাছ যেভাবেই রান্না করা হোক না কেনো খেতে অনেক ভালো লাগে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপু।
ইলিশ মাছ যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কাঁচা কলা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনার রেসিপিটি দেখেই লোভনীয় লাগছে ।খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝেশেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচ কলা এবং ইলিশ মাছ দুটো খাবারই আমার প্রিয়। আপনি কাঁচ কলা এবং ইলিশ মাছ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রান্নার রেসিপি তৈরী করেছেন। কাঁচ কলার কস ছাড়ানোর পদ্ধতি আমার কাছে নতুন তাই ভাল লেগেছে। আপনি ইলিশ মাছ ভেজে তার সাথে কাঁচ কলা দিয়ে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া হলুদ গুঁড়া দিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখলে কাঁচাকলার আঠালোভাব টা চলে যায়। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ইলিশ মাছ খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুবই কম পাওয়া যাবে। আপনার ইলিশ কাঁচা কলার ঝোল রেসিপি দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। রেসিপির কালার কম্বিনেশন ও জাস্ট অসাধারণ ছিল। পরিবেশনটাও খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন আপনি। আপনি খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। বেশ মজা করেই খেয়েছেন তাহলে। উপস্থাপনা দেখে যে কেউ খুবই সহজে এটি তৈরি করতে পারবে। ভালোই ছিল আপনার রেসিপি।
জ্বি আপু ইলিশ মাছ সকলের খুবই প্রিয় একটি মাছ।রান্না তো করেছি সুন্দর করে কিন্তু খেতে তো পারিনা।ইলিশ মাছ খেলে আমার শারীরিক কিছু সমস্যা হয় তাই এখন খাই না। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
এভাবে ইলিশ ও কাঁচা কলার ঝোল খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আপনি অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
ইলিশ কাঁচাকলার ঝোল পুষ্টিকর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। কাঁচাকলা শরীরের জন্য খুব উপকারী। ইলিশ তো সবা প্রিয়। আপনার রেসিপি ভালো ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
জ্বি ভাইয়া, সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
ইলিশ মাছের কথা শুনে জিভে জল চলে আসলো। আমার তো ইলিশ মাছ রান্না করা থেকে ভাজা খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আজকে আপনি কাঁচা কলা দিয়ে রান্না করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে খিদে পেয়ে যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পুরো রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমার কাছে এটা ভীষণ ভালো লাগলো দেখে।
গরম ভাতের সাথে ইলিশ মাছ ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে,আর সাথে যদি আলু ভর্তা হয় তাহলে তো কোনো কথায় নাই।ধন্যবাদ আপু।