আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ (পর্ব ৭) - থিম স্পেন
নমস্কার বন্ধুরা,
রাশিয়ান স্টল থেকে বেরোতেই নজরে এলো ৪৬ তম বইমেলার থিম স্পেনের স্টল। আর তার কারণ বলা যায় কলকাতা বইমেলায় যতগুলো বিদেশি স্টল ছিল তার মধ্যে এইটা সবচাইতে সুন্দর এবং সাজানো। ঠিক যেন মধ্যমণি। হবেও না কেন? আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এবারের অতিথি ইউরোপের দেশ স্পেন। আসলে কলকাতা বইমেলার রীতি রয়েছে প্রতিবছর কোনো না কোনো দেশের থিম করা এ বছর সে জায়গায় স্থান হয়েছে স্প্যানিশদের। কলকাতা বইমেলার আন্তর্জাতিকতা এইখানেই ফুটে ওঠে যেখানে প্রতি বছরও কোনো না কোনো দেশকে তাদের সাহিত্য তাদের ভাষা ফুটিয়ে তোলার জায়গা দেওয়া হয়।
স্পেন স্টলটা যেমন রংবেরঙের তেমনি সুন্দর বাঁশের কারুকার্য দিয়ে সাজানো। যেটা পড়ন্ত বিকেলে আরো বেশি করে ফুটে উঠছিল। যদিও প্রথমে স্টলে প্রবেশ করার গেট খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাকে যথেষ্ট হয়রানি পোহাতে হয়েছিল। কারণ রাশিয়া স্টলটা থেকে বেরিয়েই যে গেটটা ছিল সেটা ছিলো বেরোনোর অথচ তার বাইরে কিছুই লেখা নেই।
পথ না পেয়ে কিছুক্ষণ দাড়িয়ে রইলাম। শেষমেষ উপায় না দেখে গার্ডকে জিজ্ঞেস করাতে তবেই রাস্তা মিললো। তার কথামতো স্টল টার এক চক্কর কেটে প্রবেশ দ্বারের কাছে অবশেষে পৌঁছালাম। স্টলের গেটের সামনে পৌঁছে দেখি বেশ খানিকটা লাইন। যদিও বলা চলে লাইনে দাড়াতেই হয়নি, লাইনে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই ভেতরে প্রবেশ করে গেলাম।
মনোমুগ্ধের মতো ভেতরে ঢুকে দেখি স্টলের বাইরেটাতে যেমন বাঁশের কারুকার্য ছিল তেমনি স্টলের ভেতরটাতেও ছিল বাঁশের কারুকার্যে ভর্তি। আর ছিলো দু দখানা অডিটোরিয়াম এবং স্পেনের স্প্যানিশ ভাষার বইপত্রের সম্ভার। আমিও দু-একটা বই পত্র নেড়েচেড়ে দেখলাম যদিও বোঝবার উপায় নেই। বোকার মতো বইপত্র নাড়াচাড়া করছি তখনই পাশে দুজন বাঙালি স্প্যানিশ ভাষায় গুনগুন করে পড়ছে। আমি একটু অবাকই হলাম। তারপর তাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম যে তারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্যানিশ ভাষা নিয়ে কোর্স করেছেন।
কলকাতা হয়তো এজন্যই একদম অন্যরকম। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মধ্যে স্টলেই স্প্যানিশ ভাষা জানা বাঙালি দেখতে পেয়ে যাব সেটা কল্পনাও করিনি। অল্প সময় তাদের সাথে আলাপচারিতা সেরে আর অনেকটা মুগ্ধতা সাথে নিয়ে স্টল থেকে বেরিয়ে পড়লাম। হাতে সময় বিশেষ নেই যে।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা আপনার স্প্যানিশ ভাষা জানা বাঙালি পেয়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। অনেক বই দেখছি। আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
প্রিয় দাদা আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সপ্তম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে স্পেন স্টলের বাঁশের তৈরি কারুকার্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আর যারা স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষ তারা তো স্প্যানিশ বইগুলো পড়তে দক্ষ হবেই। তবে বিদেশি ভাষা জানা না থাকলে শুধুমাত্র বইগুলো নাড়াচাড়া করে বইয়ের সুগন্ধ নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।