কচুর মুখি দিয়ে চিড়িং মাছের রেসিপি।
আজ - ২৪ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
অনেক আগে কমিউনিটির শুরুর দিকে আমি একবার এই মাছটির রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আজ অনেকদিন পর আবার চলে এলাম এই মাছটির রেসিপি শেয়ার করতে।
যাই হোক, আজকের এই মাছটির নাম হচ্ছে চিড়িং মাছ । জানি অনেকেই ভুল বুঝছেন বা ভুল পড়ছেন। আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি ভুল করে চিংড়ি মাছের জায়গায় চিড়িং মাছ লিখে ফেলেছি। কিন্তু এমনটা নয় মাছটির নামই- চিড়িং মাছ। চিড়িং এবং চিংড়ি নাম দুইটি হঠাৎ করে দেখলে এক মনে হতে পারে। তবে অক্ষরের এপাশ-ওপাশ এবং উচ্চারণের দিক থেকে এক নয়।
যাইহোক আমাদের অঞ্চলে এই মাছটির নাম হচ্ছে - চিড়িং মাছ। তবে অন্যান্য অঞ্চলে এটি কি নামে পরিচিত তা আমার জানা নেই। মাছটি অত্যন্ত সুস্বাদু বিশেষ করে আমার খুবই প্রিয় এই মাছটি। এ মাছটি সাগর কিংবা নদীর কোন মাছ নয়। ধান ক্ষেতে কিংবা অল্প পানির মধ্যে মাছগুলো পাওয়া যায়। আমার জানামতে অনেকেই এই মাছটি খাইনা তবে এই মাছটি আমার খুবই ভালোলাগে। আর হ্যাঁ এরকম দেখতে আরো এক ধরনের মাছ আছে যেটি আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় চেওয়া মাছ বলে। দেখতে এক হলেও চেওয়া মাছ এবং চিড়িং মাছ এই দুটি এক নয়।
যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন রেসিপি টি শুরু করি -
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- আদা বাটা।
- রসুন বাটা।
- চিড়িং মাছ।
- কচুর মুখি।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে মাছগুলোকে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিব। জ্যান্ত মাছ তাই আগে থেকে ছাই দিয়ে রেখেছি।
ধাপ-২ঃ
এরপর কেটে ধুয়ে রাখা মাছ গুলোর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি জিরা বাটা, রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিব।
ধাপ-৩ঃ
এরপর একটি পাত্রে মাছের তেলগুলো দিয়ে দিব এবং এরপর কিছুক্ষণ তেলগুলোকে ভেজে সরিষার তেল দিয়ে দিব।
ধাপ-৪ঃ
এরপর তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে মসলা মেখে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিব।
ধাপ-৫ঃ
এরপর মাছগুলোকে অল্প পানি দিয়ে দিব।
ধাপ-৬ঃ
এবার মাছগুলোকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব।
ধাপ-৭ঃ
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে মাছগুলোকে নামিয়ে রাখবো। এবং কেটে রাখা কচুর মুখি গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-৮ঃ
এরপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিব যাতে কচুর মুখি গুলো সিদ্ধ হয়।
ধাপ-৯ঃ
কচুর মুখি গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং ঝোল টেনে আসলে পূর্বের কষিয়ে রাখা মাছগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিব।
ধাপ-১০ঃ
এরপর পরিমাণমতো ঝোল দিয়ে মাছগুলোকে কিছুক্ষণ রান্না করবো। রান্না হয়ে গেলে ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।
ধাপ-১১ঃ
সকলকে ধন্যবাদ।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মাছের সাথে নামের মিল খুঁজতে বেশ ভালোই সময় লেগেছে আমার 😇 আমি তো প্রথমে চিংড়ি মাছ ভেবেছিলাম কিন্তু মাছের সাথে মিলছে না দেখে ভালো করে বানান দেখে নিলাম তারপর বুঝতে পারলাম যে এটা চিংড়ি না চিড়িং মাছ 🤭 এটা কোন প্রজাতির মাছ এখনো আমার বোধগম্য হচ্ছে না আগে কখনো এই মাছ দেখেছি বলে কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কচুর মুখি দিয়ে চিড়িং মাঝের ঝোল দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে কিন্তু স্বাদ কেমন হবে বুঝতে পারছিনা তার কারন এই মাছ আগে কখনো খাইনি, তবে আশাকরি খেতে সুস্বাদু হয়েছিল? ভাইয়া আপনি রান্না খুব ভালোই পারেন তা আপনার রান্নার পদ্ধতি দেখলেই বোঝা যায়, খুবই সুন্দর করে পুরো রেসিপি টি উপস্থাপন করেছেন দেখতে চমৎকার হয়েছে। সবমিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই চিড়িং মাছটি বরাবরই আমার খুবই প্রিয় এবং খেতে খুব সুস্বাদু তবে সবসময় খুব একটা পাওয়া যায় না। অনেক অঞ্চলে এ মাছটা পাওয়া যায়না।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কচুর মুখি দিয়ে চিড়িং মাছের রেসিপি দেখে লোভনীয় মনে হচ্ছে। ভাইয়া এই চিড়িং মাছটিকে আমরা চ্যাং মাছ হিসেবে চিনি। মাছটির নাম জেনে ভালো লাগলো। এই মাছটি খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে। কচুর মুখি দিয়ে এই মাছটি রান্না করাতে এর স্বাদ দিগুন বেরে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেকেই দেখলাম এই মাছটিকে অন্যান্য অনেক নাম বলছে। কিন্তু এই মাছটির নাম সব জায়গায় দেখছি 'চ' দিয়ে শুরু হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
আমিও ভুল করেছি ভাইয়া 😆
আমি বারবার চিংড়ি মাছ পড়ছি কিন্তু মাছের ছবির সাথে মিলাতে পারছি না হা হা হা ।
চিড়িং মাছ নামটা আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে।
কচুর মুখি দিয়ে চিটিং মাছের রেসিপিটা অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে নিশ্চয়ই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ভর দুপুর বেলায় এমন একটি লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি জানি তো সবাই ভুল পড়বে তাইতো আগে থেকে সতর্ক করে দিলাম।
মাছটি জ্যান্ত অবস্থায় খুব তিড়িংবিড়িং করে তাই হয়তো সকলে এই মাছটির নাম দিয়েছে চিড়িং। আমার কাছে ও অদ্ভুত লাগে নামটি ।
হা হা হা। মজা পেয়েছি ভাইয়া। ধন্যবাদ ।
এরকম চিড়িং মাছ আগে দেখিনি,।আমি এই মাছের নাম প্রথম শুনলাম আর দেখলাম।যাইহোক কচুর মুখি দিয়ে চিড়িং মাছের রেসিপি পরিবেশন টা খুব দারুন হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।বেশ ভালো লেগেছে রেসিপিটি।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।
মাছটির নতুন একটি নাম জানতে পারলাম আপনার কাছ থেকে। কচু দিয়ে এই মাছটি কখনো খাওয়া হয়নি।
ভাইয়া আপনি কি করে যে আমাদের মনের কথা বুঝে ফেলেন এটাই বুঝতে পারি না। আমি সত্যি প্রথমে ভেবেছিলাম চিংড়ি মাছ লিখেছেন। এরপর যখন লেখাগুলো পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম আসলে চিড়িং মাছ লিখেছেন। আসলে হঠাৎ করে দেখতে গেলে অনেক সময় বানান একই রকম লাগে। তাই তো ভুল হয়ে যায়। তবে যাই হোক চিড়িং মাছের রেসিপি আগে দেখেছিলাম কিনা মনে পড়ছে না তবে নতুন ভাবে এই রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। এই মাছ কোনদিন খাইনি। এমন কি দেখিওনি। তবে মনে হচ্ছে চিড়িং মাছ কচুর মুখি দিয়ে রান্না করলে খেতে ভালোই লাগবে।
সকলের মনের খবর যে আমি জানি। হা হা
সকলেই যে ভুল পড়বে সেটা আমি আগে থেকে আন্তাজ করে নিয়েছে। তাইতো আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
আমি প্রথমে সত্যিই ভুল পড়লাম। আমি ভেবেছিলাম আরিফ ভাই হয়তো ভুল করে চিংড়ি মাছ লিখেছে, দেখে তো চিংড়ি মাছ মনে হচ্ছে না। এরপর আবিষ্কার করলাম এর নাম চিড়িং মাছ। তবে কিছু কিছু এলাকায় এর নাম চ্যাং মাছ বা চেওয়া মাছ বলে। খেতে কিন্তু ভীষণ স্বাদের এটি। আর কচুর মুখীর সাথে কিন্তু অসাধারণ লেগেছে খেতে বোঝাই যাচ্ছে 😋
চেওয়া মাছ আর এই চিড়িং মাছ দুইটি আলাদা মাছ।
ও আচ্ছা। ধন্যবাদ ভাই।