লাইব্রেরীতে একদিন।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।আসলে বলার জন্যেই বলা ভালো আছি!

কয়েকদিন আগে কিছু কাজে লাইব্রেরী গিয়েছিলাম অর্থাৎ কিছু বই ফেরত দিতে লাইব্রেরীতে যাওয়া আর কি। তো তখন ভাবলাম কিছু ফটোগ্রাফিও করা যায়। কারণ আমাদের লাইব্রেরিটা আসলে খুব সুন্দর করে সাঁজানো।

প্রথমে তো গেলাম গিয়ে দেখলাম তখন একেবারে খুব একটা স্টুডেন্ট ছিলোই না। কারণ ক্লাস টাইম ছিলো। আসলে আমাদের ওই ক্লাসটাও ছিলো। তবে সেই ক্লাসটা ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিলো। অর্থাৎ ম্যাম ক্যান্সেল করে দিয়েছিলো। তো সে কারণেই মূলত আমরা সেই টাইমটাতেই লাইব্রেরীতে গিয়েছিলাম। সেই কারণেই হলো কি মানুষ কম ছিলো।

তো যখন একটু মানুষজন কম থাকে তখনই আসলে ছবি তুলতে খুব বেশি মজা লাগে। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তো তাই হয়, তাই বেশ কিছু ছবি তুললাম।

বইয়ের মাঝে আসলে আমার কেমন একটা যেনো শান্তি কাজ করে।সে শান্তিটা কেমন তা ঠিক ভাষায় প্রকাশ করার মতোন না।বই মানুষের পরম বন্ধু তাই বলেই হয়তো।তবে আমার তো মনে হয় গল্পের বই মানুষের পরম বন্ধু। কি করতে এই পড়ালেখার বই মানুষের পরম বন্ধু হতে যাবে! তাই না? যাই হোক, এসব শুনলে আবার বইপ্রেমী দাদা এসে ধরে পেটাবে!হিহিহিহি।

তো আরো কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমাদের লাইব্রেরীতে মোটামুটি গল্পের বই থাকে না বললেই চলে অর্থাৎ সবগুলোই আমাদের একাডেমিক বইগুলো। আর সে সাথে বসে পড়ার ব্যবস্থাও থাকে এবং বইগুলো নিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকে।

আমি মূলত গিয়েছিলাম একটি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বই ফেরত দেওয়ার জন্য। আর এর পরের সেমিস্টারের বইগুলো এসেছে কিনা কিংবা এভেইলেবেল আছে কিনা সেসব দেখার জন্যই।

বই খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ করে এই বইটি আমার চোখের সামনে পরে গেলো,এনা ফ্রাংকের ডাইরি। এই বইটা হয়তো ছোটবেলায় কমবেশি সবাই পড়েছে। অর্থাৎ বাংলাটা তবে আমি ইংলিশ ভার্শনটা কখনো পড়িনি, সেদিনেই প্রথম দেখলাম।

এরপর তো আসার সময় বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। তাই ঝালমুড়ি ওয়ালা মামা থেকে ঝালমুড়ি নিয়ে নিলাম কারণ এই ঝালমুড়িটা খুবই মজা লাগে আমার।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।