নিউবর্ন বেবির ড্রেস কিনতে আড়ং এ একদিন।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবার ও চলে আসলাম নতুন আরেকটা লেখা নিয়ে।আসলে আজকে মন খুব একটা ভালো ছিলো না এতোক্ষণ ,এখন যদিও ভালো আছে মোটামুটি।কারণ একটু আগে নানু হঠাৎ ওয়াসরুমে পরে গিয়েছিলো ,সে সাথে ওয়াসরুমের লক ও আর খুলতে পারছিলোনা।আসলে মানুষের লাইফ যে কেমন হয় বয়স হলে তা নিজের চোখেই দেখছি।পরে দরজা ভেঙ্গে এরপর বের করেছি।পরে ডাক্তার আনা হলো বাসায়,খুব একটা ব্যথা পায়নি সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আর অশেষ রহমত।

যাই হোক, এ যাত্রায় বিপদ কেটেছে।তাই ভাবছিলাম নিজের যখন এমন বয়স হবে তখন কি হবে!কি করে এভাবে শরীরের শক্তি ফুরিয়ে যায় জাস্ট ভাবাই যায়না আসলে।আমি অন্তত ভেবে কুলাতেই পারিনা।

থাক সেসব কথা,আপনাদের সাথে জাস্ট সামান্য শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই বলা।আজকে আপনি আপনাদের সাথে একটা শপিং পর্ব ই শেয়ার করতে এসেছি।আসলে আজকের যে শপিং গুলো শেয়ার করবো তা মোটেও আমার নিজের জন্যে নয়।আমাদের ফ্যামিলির এক পুচকের জন্যে।যদিও আমি ভেবেছিলাম মেয়ে বাবু আসবে ফ্যামিলিতে ,তবে দেখা গেলো ছেলে।যাই হোক,তাতেও আমি অনেক খুশি হয়েছি।তবে আফসোস এখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি।কারণ বাবুটা বেশ দূরে থাকে আমার এখান থেকে।তাই চাইলেও দেখা হয়নি।আশা করি দেখা হয়ে যাবে।

তো সেদিন আসলে গিয়েছিলাম বাবুর জন্যে কিছু ড্রেস কিনতেই।পরবর্তীতে সে ড্রেসগুলো আর সামান্য কিছু জিনিষ পার্সেল করে পাঠিয়েছিলাম বাবুর কাছে।

তো গিয়েছিলাম আড়ং এই।কারণ নিউবর্ন বেবির জন্যে আসলে আড়ং ছাড়া আর কিছুতেই আমি ভরসা করতে পারিনা।কারণ বেবিদের স্কিন মারাত্মক সেনসিটিভ হয়।আর এতে কোনো শক্ত কিছু লাগলেই সমস্যা হয়ে যায়।আরো কিছু কেনার ইচ্ছে ছিলো।তবে পরবর্তীতে পাঠানো সম্ভব না ভেবে আর নেওয়া হয়নি।

অনেকগুলো ড্রেসের ই দেখেছিলাম।তবে সমস্যা হলো এই ড্রেসগুলোর মাঝে কিছু ড্রেস বাবুর জন্যে আগেই নিয়েছিলো ভাইয়ারা। তাই একই ড্রেস হয়ে যাচ্ছে তাই আর নিলাম না।

আসলে আড়ং এ ড্রেসের কালেকশন কম কোয়ালিটি ভালো হলেও।তাই বেশি কিছুই নিতে পারিনি।পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম পাঞ্জাবি নিবো কিনা।কিছু পাঞ্জাবি আমার এতো দারুণ লাগছিলো।ছবি দিচ্ছি আমি এখানে।তবে বললো পাঞ্জাবি না কিনতে এখন।তাই আর কেনা হয়।

প্রায় কিছুক্ষণ ঘুরে টুরে কয়েকটা ড্রেস নিলাম।আমার বেশি কিউট লাগে মেয়ে বাবুদের ড্রেস গুলো।তবে ছেলেকে তো আর মেয়েদের ড্রেস পরানো সম্ভব না।হাহাহাহা,তাহলে বাবু বড় হয়ে আমার উপর ক্ষেপে যেতে পারে।যাই হোক মজা করলাম।

গিয়েছিলাম আমার ফ্রেন্ডকে নিয়েই।তবে এই মেয়ের পাশে আমার মোটেও ছবি তুলতে ইচ্ছেই করেনা।তবে কি আর করার!ও জোর করেই আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে প্রতিবার।

আর এই হলো আমার ছবি।প্রিয়াংকাকে বহু কষ্টে সরিয়ে ছবি তুলতে পেরেছি শেষমেশ।

এরপর আর এক দুটো টুকটাক কিনে পার্সেল করে দ্রুত একটু খেতে গেলাম আমরা।কারণ বেশ খিদে পেয়েছিলো সেদিন।