"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ০১steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগlast year


এবছরের একদম শুরুর দিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ছিলাম । ঢাকায় আমরা সব মিলিয়ে দিন দশেক ছিলাম । প্রচুর ঘোরাঘুরি আর কেনাকাটা করেছি এই ক'টি দিন ধরে । সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া, হৈ-হুল্লোড় । প্রত্যেকদিন আমরা সকালে আর বিকেলে ঘুরতে বেরোতাম । জ্যামের কারণে বেড়ানোটা মাঝে মাঝে বেশ বিরক্তিকর লাগতো, তবে ওভারঅল উপভোগ-ই করেছি বেড়ানোটা ।

এই রকমই একটা দিনে আমরা সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম জাদুঘরে । ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত এই জাদুঘরটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় জাদুঘর । গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটা আর্ট গ্যালারি, কিউরেটর এর কার্যালয় আর একটা ক্যান্টিন রয়েছে ।

ফার্স্ট ফ্লোরে রয়েছে বাংলাদেশে প্রাপ্ত পশু-পাখি, শস্য এবং উদ্ভিদ এর ট্যাক্সিডার্মিক মডেল । বাংলাদেশের বিভিন্ন উপজাতিদের পোশাক পরিচ্ছেদ, গয়না-গাটি এবং তৈজসপত্র, বাংলাদেশের কৃষি সরঞ্জামাদি, নদীমাতৃক দেশের সব চাইতে অপরিহার্য যান অসংখ্য নৌকার ছোট-বড় মডেল, মাটির তৈরী অসংখ্য তৈজসপত্র, প্রাচীনকালের পাথর, পেতল ও ব্রোঞ্জের তৈরী অসংখ্য ছোট-বড় অমূল্য সব মূর্তি ।

সময়ের অভাবে আমরা সেকেন্ড ও থার্ড ফ্লোর-এ ঘুরতে পারিনি । তবে গ্রাউন্ড ও ফার্স্ট ফ্লোর ঘুরে ঘুরে আড়াই ঘন্টার অধিক সময় কাটিয়েছি, আর সেই সাথে তুলেছি অসংখ্য সব ছবি । তারই মধ্যে থেকে সিলেক্টেড কিছু ছবি শেয়ার করতে চলেছি আপনাদের সাথে ।

গ্রাউন্ড ফ্লোরের পশ্চিমদিকে বিশাল একটা হলঘর রয়েছে । এই হলঘরেই আর্ট গ্যালারিটা । বাংলাদেশের প্রয়াত বিখ্যাত এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সব আর্টিস্টদের আর্ট দিয়ে ভরা এই আর্ট গ্যালারিটা । আর্টিস্টদের মধ্যে নাম দেখেছিলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, এস এম সুলতান, কাইয়ুম চৌধুরী প্রভৃতি । সবার নাম তো আর মনে নেই ।

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন ।


মিউজিয়ামের সামনে আমাদের লাজুক বাবু

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম প্রাঙ্গনে

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিউজিয়ামের আর্ট গ্যালারি

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


এগুলি সব কাঠ দিয়ে নির্মিত ভাস্কর্য । দৃষ্টিনন্দন এই সব ভাস্কর্য দেখলে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া যায় না ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


আমার সব চাইতে যা প্রিয় সেই আর্ট দেখা জাস্ট শুরু হলো এখন । হুঁ, এগুলো সবই বিমূর্ত শিল্প (abstract art) । এদের মধ্যে একটা আর্টের নাম ছিল "বিড়ালের স্বপ্ন" ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


"মৎস্য শিকারী" আর্টটা সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছিলো আমার কাছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টাস্ক ১৬৮ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 5b730359af15a15b158a89955e16e057e39d65e0f4891f2a310cc9fe2888ece0

টাস্ক ১৬৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Sort:  
 last year 

ঢাকা শহরের জ্যামের কথা কি আর বলবো। যাই হোক দশটা দিন আপনি বাংলাদেশে অতিক্রম করেছেন শুনে ভালো লাগলো। আর শাহবাগের জাদুঘরে ঘুরেছেন এবং কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। জাদুঘরের বিভিন্ন শিল্পের মধ্যে বিমুর্ত শিল্প গুলো বেশ ভালো লাগলো। মৎস্য শিকারে আর্টটা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে দাদা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 last year 

ঢাকা শহরের আরেক নাম জ্যামের শহর। ঢাকা শহর এমনিতেই ঠিক আছে। শুধু যদি জ্যাম একটু কম হতো তাহলে বেশ ভালই হতো। দাদা আপনি বাংলাদেশের এসে ঢাকায় বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়েছেন আমরা সকলেই জানি। সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ভ্রমণের এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো দাদা। আর মিষ্টি টিনটিন বাবুকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।

 last year 

দাদা আপনি ঢাকা শহরে এসে কিছু দিন ছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে আমাদের ঢাকা শহর সব কিছুতেই ভালো শুধু জ্যাম ছাড়া। ঢাকা শহরের আরেক নাম দিতে পারেন জ্যামের শহর।যাইহোক দাদা আপনি পরিবার নিয়ে জাতীয় জাদুঘর এ ভ্রমণ করেছেন । সত্যি বলতে টিনটিন বাবুকে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনারা বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশর জাতীয় জাদুঘরে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ‌‌। মনে হচ্ছে জাদুঘরে গিয়ে আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলেন। শুধু গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফাস্ট ফ্লোর ঘুরতে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা লেগে গিয়েছিল জেনে অবাক হলাম। যাই হোক জাদুঘর থেকে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। আর হ্যাঁ কাঠের তৈরি জিনিস গুলো আসলেই অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 last year 

দাদা বছরের শুরুটাই বাংলাদেশে এসে দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন। জাতীয় জাদুঘরে আমার এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখছি। ইচ্ছা আছে যাওয়ার অনেক ভালো লাগলো আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।

 last year 

ঢাকা শাহবাগে এই কেন্দ্রীয় জাদুঘরটি অবস্থিত। অনেকদিন আগে বাংলাদেশ জাদুঘরে আমি গিয়েছিলাম।আপনার ফটোগ্রাফিতে যত সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখেছি তখন এগুলো ছিল কিন্তু এত সুন্দর ছিল না। আপনি ঢাকায় ১০ দিনের মতো ছিলেন আর এই দশ দিনে যে প্রচুর জায়গায় ঘোরাফেরা করেছেন তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।ঢাকা যাদুঘরে খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখার মত আছে। তবে একটি কথা বলি দাদা, মনগড়া কথা বলছি না, জাদুঘরে যতগুলো ফটোগ্রাফি তুলেছেন এর মধ্যে আপনার ছেলের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।বিশেষ করে ওর দাঁড়িয়ে থাকাটা,ওর দৃষ্টিভঙ্গিটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। হয়তো আপনিও আপনার ছেলের এই" লুক "লক্ষ্য করে দেখেননি। দাদা অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত গুলো আপনারা বাংলাদেশে কাটিয়েছেন খুব ভালো লাগলো জেনে ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঢাকা জ্যামের জন্য বিখ্যাত। এই জ্যামের কারনে এক জায়গায় বের হলে অন্য কোন জায়গায় যাওয়ার কথা চিন্তা করা যায় না। আপনারা ঢাকায় বেশ কিছুদিন ছিলেন আর জ্যামের মাঝেও সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ঢাকার যাদুঘরের বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, দেখে ভাল লাগলো। টিনটিন বাবুকে তো বেশ সুন্দর লাগছে। আশাকরি আপনারা যাদুঘরে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। সুন্দর মুহুর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

দাদা, আমরা বাংগালী জ্যানে আটকে থাকায় অভ্যস্ত। বাংলাদেশে এসে দিন দশেক সময় ভালোই কেটেছে আপনার। তা আমি পোস্ট পড়েই উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমাদের দেশের জাতীয় জাদুঘর ঢাকা, আমি প্রায় ৩-৪ বার গিয়েছি৷ অনেক ভালো লাগে। পুরোনো ঐতিহ্য দেখতে ভালোই লাগে। ভালো থাকবেন দাদা

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67341.94
ETH 3779.34
USDT 1.00
SBD 3.69