শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯।। পর্ব-০২(অষ্টমীর পুজো)।। অক্টোবর-০৪/১০/২০২২

rupaie22 (72)mutedin আমার বাংলা ব্লগ • 2 years ago

🙏🕉️নমস্কার সবাইকে🕉️ 🙏

সবাইকে জানাই শারদীয় দুর্গা উৎসবের প্রাণঢালা অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা।আজকের মহা নবমীতে আপনাদের সবার উপর শ্রদ্ধা রেখে আজকের পর্ব শুরু করছি।

আজকের এবং আগামীকালের পর্ব আমি দুটি অংশে বিভক্ত করব। একটি হবে নর্থ কলকাতা এবং অন্যটি হবে সাউথ কলকাতা। এতে করে আপনাদের বুঝতেও সুবিধা হবে আর আমার নিজেরও গুছিয়ে লিখতেও বেশ খানিকটা সুবিধা হবে। আমরা সকলেই জানি দুর্গাপূজা কলকাতার এক বিশাল বড় ঐতিহ্য। এবং এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য, যুগ যুগ ধরে হিন্দু ধর্মলম্বী মানুষেরা মা দুর্গার পূজা করে আসছে। এর মধ্যে কিছু কিছু বড় ক্লাব রয়েছে যেখানে থিমের পূজা করা হয়। আবার কিছু কিছু জায়গায় রয়েছে যেগুলো ট্রেডিশনাল উপায়ে পূজা করা হয়। আজ দুটোই তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলেন তাহলে আর বেশি কথা না বলে আমরা আজ নর্থ কলকাতার কিছু বিখ্যাত পুজো দেখে আসি।

🕉️শোভাবাজার রাজবাড়ীর পুজো🕉️

কলকাতার সব বিখ্যাত এবং নামকরা পূজা মন্ডপ গুলোর ভিতরে শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো বেশ বিখ্যাত। কলকাতার পুজোতে কেউ নর্থ কলকাতা বা সাউথ কলকাতার সব পুজো দেখুক বা না দেখুক, রাজবাড়ি পুজো দেখতে অবশ্যই আসে। এখানে সাধারণত কোন থিমের পূজা হয় না। এই রাজবাড়ীটাই বলতে গেলে একটা থিম। কারণ এত সুন্দর পরিবেশ ভিতরে এবং এত সুন্দর ডেকোরেশন যেটা বলে বোঝানো যাবে না। ভেতরে ঢুকলেই মনে হয় যেন রাজবাড়ীতে প্রবেশ করেছি।

থিম: শোভাবাজার রাজবাড়ী।

স্থান: শোভাবাজার, কলকাতা।
ফটো তোলার তারিখ: ০৩/১০/২০২২
ক্যামেরা: স্যামসাং
সময়: বিকেল চারটা।

শোভাবাজার রাজবাড়ীর পুজো দেখার একটা ছোট সমস্যা রয়েছে। সেটা হল এখানে আসা দর্শনার্থীদের মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না এবং অনেকটা দূর থেকেই ঠাকুরের ফটো তুলতে হয়। সেক্ষেত্রে ফটোটা ঠিক স্পষ্ট হয় না। তবে যতটা পারি চেষ্টা করেছি ফটো তোলার জন্য। কলকাতার প্রাচীনতম পুজো মন্ডপ গুলোর ভিতর শোভাবাজার রাজবাড়ী অন্যতম। এবং এই রাজবাড়ীর সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস এবং ঐতিহ্য।

পুরো রাজবাড়ীর ফ্রন্ট সাইটকে একটা ফ্রেমের ভিতর নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আসলে এখানে লোকের এতই ভিড় ছিল যে, ফটো তোলাটা বেশ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

অনেক লোকের ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে দুর্গা মায়ের ফটো তোলার চেষ্টা। তবে আমার এই চেষ্টা অনেক অংশেই সফল হয়েছিল।

রাজবাড়ীর বাঁ দিক থেকে তোলা একটি ফটো। যেখানে রাজবাড়ী আরো অনেক বেশ সুন্দর লাগছে।

রাজবাড়ীর ডান দিক থেকে তোলা একটি ফটো। এই দিকটাতে লোকের ভিড় অনেকটাই কম ছিল।

🕉️নর্থ কলকাতা ক্লাব শোভাবাজার 🕉️

কলকাতার বিখ্যাত পুজো গুলোর ভিতরে নর্থ কলকাতা ক্লাবের পুজো অন্যতম। এইবার এই পূজা মন্ডপের ৪৩ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে থিম ছিল রং তুলি। পুরো পূজা মন্ডপ তাই রং তুলি দিয়ে আঁকা বিভিন্ন চিত্রকলায় সুসজ্জিত করা হয়েছিল। বিশেষ করে পূজা মন্ডপের ভিতর রং তুলি দিয়ে আঁকা বিভিন্ন চিত্রকলা যে কোন মানুষকে মনমুগ্ধ করতে বাধ্য।

থিম: রং তুলি।

স্থান: শোভাবাজার, কলকাতা।
ফটো তোলার তারিখ: ০৩/১০/২০২২
ক্যামেরা: স্যামসাং
সময়: সন্ধা সাতটা

মন্দিরের ভিতর ঢুকেই প্রথমে মায়ের মুখ দর্শন করে নিলাম। আমার দেখা সবথেকে শ্রেষ্ঠ মা দূর্গা ছিল এটি। তারপর মন্দিরের ভিতরের বিভিন্ন চিত্রকলা এবং রং তুলির ছোঁয়া দেখতে লাগলাম।

মন্দিরের সাইডে রং তুলি দিয়ে আঁকা বিভিন্ন চিত্রকলা সাজানো ছিল এবং এর প্রত্যেকটি আর্ট ছিল অসাধারণ। সব থেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল প্রত্যেকটা ফটোই ছিল মা দুর্গার বিভিন্ন রূপের।

মন্দিরের অনেকটা পেছনের দিকে দাঁড়িয়ে মা দুর্গার ফটো নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, যাতে করে পুরো মন্দির এর ভেতরটা স্পষ্ট ভাবে ক্যামেরা বন্দি করা যায়।

মন্দিরের ফটো গ্যালারি সেকশন দেখে তোলা একটি ফটো। এই আর্ট গুলোর মাধ্যমে ফুটে উঠেছে মা দুর্গার বিভিন্ন রূপ এবং আর্টিস্টের হাতের নিখুঁত কাজ।

🕉️বি. কে. পাল পার্ক, নর্থ কলকাতা 🕉️

কলকাতার বিখ্যাত পুজোর মণ্ডপ গুলোর ভিতরে এই পূজা মন্ডপটা বেশ বিখ্যাত। এ মণ্ডপে কত বছর পূর্তি হল সেটা সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই। তবে এবারের পুজো মণ্ডপে সাজানো হয়েছিল পুরনো ক্যাসেট এবং পুরনো সব সিডি দিয়ে। সম্ভবত পুরনো দিনের স্মৃতি গুলোকে ধরে রাখার জন্য তাদের এই আয়োজন। তাছাড়াও প্যান্ডেলের গায়ে দেখলাম পুরনো দিনের সব বাংলা গানের কথা লেখা রয়েছে। এবং রয়েছে পুরনো দিনের বিখ্যাত কিছু গায়ক গায়িকাদের ফটো।

থিম: পুরনো গান, পুরনো সুর।

স্থান: নর্থ কলকাতা।
ফটো তোলার তারিখ: ০৩/১০/২০২২
ক্যামেরা: স্যামসাং
সময়: সন্ধা আটটা।

প্রথমে মন্দিরে ভিতরে ঢুকে মায়ের মুখ দর্শন করে নিলাম। কিছুটা নতুন এবং ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই মন্দিরের দুর্গা মা। আর্ট কতটা সুন্দর হতে পারে সেটা এই মূর্তি দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

থিম অনুযায়ী মন্দিরের মেইন ফটোকে পুরনো দিনের কিছু বিখ্যাত গানের কথা লেখা রয়েছে। একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন আমাদের সবার পছন্দের গানগুলোই এখানে দেওয়া রয়েছে।

নষ্ট ফিতেওয়ালা ক্যাসেট প্লেয়ার এবং সিডি দিয়ে করা হয়েছে পুরো মন্দিরের ডেকোরেশন। এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ নতুন মনে হয়েছিল।

পুরো মন্দিরটাকে ঘিরে রাখা হয়েছে বিখ্যাত কিছু গায়ক গায়িকাদের ফটো দিয়ে। এদের মধ্যে প্রত্যেক শিল্পীকে আমাদের চেনা এবং এই বিখ্যাত মানুষগুলোর গান আমাদের সকলেরই খুব পছন্দের।

আগের ফটোটাতে মন্দিরের ভেতরের পুরো ডেকোরেশন পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়নি। এই জন্য এই ফটোটা দ্বিতীয়বারের মতো দিলাম। আশা করছি এই ফটোর মাধ্যমে মন্দিরের ভেতরের সবকিছু সুন্দরভাবে বোঝা যাচ্ছে।

🕉️বেনীয়াটোলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি🕉️

উত্তর কলকাতা তথা শোভাবাজারের বিখ্যাত এবং পুরনো পূজা মন্ডপ গুলোর ভিতরে এটা অন্যতম। এই পূজা মন্ডবটি সাধারণত থিমের পূজা করলেও এবার কিন্তু তারা কোনো রকমে থিমের পূজা করেনি। তাদের পূজা সম্পন্ন হয়েছে ট্রেডিশনার উপায়ে। তবে তারপরেও তারা একটা জায়গায় বিশেষ চমক রেখেছে, আর সেটা হলো অষ্টধাতুর মা দুর্গার মূর্তি। এক টন অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি মা দুর্গার এই মূর্তিটি এখানকার প্রধান আকর্ষণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এসে ভিড় জমাচ্ছে শুধুমাত্র এই অষ্টধাতুর মূর্তি দেখার জন্য।

থিম: বিশেষ কোনো থিম নেই।

এটি অষ্টধাতুর মূর্তি থাকার কারণে দুর্গা মায়ের মুখটা অনেক সুন্দর, নিখুঁত এবং অসাধারণ লাগছিল দেখতে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে লোকের এত ভিড় থাকে মন্দিরগুলোতে যে, দাঁড়িয়ে একটু সুন্দর করে দেখব বা সুন্দর করে দুটো ফটো তুলবো সে সুযোগ আর হয়ে ওঠে না। যাই হোক তাড়াতাড়ি যত সুন্দর করে দেখা সম্ভব দেখে বেরিয়ে গেলাম।

বেশ খানিকটা পেছনে এসে পুরো মন্দিরের ফটো নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে পুরো মন্দিরের ভিউটাই দেখা যায়।

মন্দিরের ডেকোরেশন এর কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলব যে ছোট করে একটা রাজবাড়ীর মত করার চেষ্টা করেছিল। তবে যেহেতু বিশেষ এবং বড় করে কোন কিছু করেনি, এজন্য থিমের কথা উল্লেখ করিনি।

মন্দিরের গেটে ঢোকার মুখ থেকে তোলা মন্দিরের ভিতরের একটি ফটো। যেখানে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য লোকের ভিড়, সবাই মা দুর্গাকে দেখার জন্য এসেছে।

🕉️পুজো ক্লাবের নাম অজানা🕉️

এটাও নর্থ কলকাতার একটা নামকরা পুজো মণ্ডপ। তবে যেহেতু আমার ওই দিকটা খুব বেশি একটা যাওয়া হয় না এবং মন্ডপের কোথাও ক্লাবের নাম দেখলাম না এজন্য আর কি পূজা মন্ডপের নামটা দিতে পারলাম না। তবে পুজো মন্ডপটা ছোট হলেও তাদের থিম এবং মা দুর্গা দেখার মত ছিল। তাদের এবারের থিম ছিল তাঁত শিল্প। এবং তাদের এই থিমের মাধ্যমে তারা পুরো তাঁত শিল্পকে অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিল।

অনেক ভিড় ঠেলে প্রথমে মন্দিরে গিয়ে মায়ের মুখ দর্শন করে নিলাম। অনেকটাই নতুন এবং ভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে এই মূর্তি। মা দুর্গার মূর্তিটি এতটাই মনমুগ্ধকর এবং সুন্দর ছিল যে অনেক সময় তো নির্বাকের মতো তাকিয়ে ছিলাম মূর্তির দিকে।

মন্দিরের ভেতরটাকে একটু অন্ধকার করে ফটো তোলার চেষ্টা করেছিলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।

মন্দিরের বাইরে থেকে তোলা একটি ফটোগ্রাফি। যেখানে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য লোকের ভিড়, সবাই মা দুর্গাকে দেখতে এসেছে।

এই অংশে দেখানো হয়েছে তাতে কাপড় বোনার যন্ত্র। মন্দিরের সামনে থাকা অসম্ভব সুন্দর এবং নিখুঁত এই যন্ত্র মন্দিরের সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

মন্দিরের ভেতরকার ডেকোরেশন বেশ সুন্দর ছিল। বিশেষ করে লাইটিং টা ছিল অসম্ভব সুন্দর।

🕉️শতদল ক্লাব 🕉️

নর্থ কলকাতার ভিতরে আরেকটি বিখ্যাত পুজো মন্ডল হল শতদল ক্লাব। এই পুজোর মধ্য দিয়ে তাদের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল। তবে তাদের মন্ডপের বিশেষ কোনো থিম ছিল না তবে বাঁশের চটা দিয়ে তারা মন্দিরটাকে সুন্দর করে সাজিয়েছিল। যেটা দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগছিল।

থিম: বিশেষ কোনো থিম নেই।

স্থান: নর্থ কলকাতা।
ফটো তোলার তারিখ: ০৩/১০/২০২২
ক্যামেরা: স্যামসাং
সময়: সন্ধা সাতটা।

বরাবরের মতই মন্দিরের ভেতর ঢুকে মায়ের মুখ দর্শন করে নিলাম। তারপর দুর্গা মায়ের কিছু ফটোগ্রাফি তুললাম। তবে এই মন্দিরটাতে বিশেষ কোন ভিড় ছিল না সুতরাং সুন্দর করে ফটো তোলার সুযোগ পেয়েছিলাম।

মন্দিরের ভেতরের একটি ঝাড়বাতি। মন্দির এর সাথে ঝাড়বাতিটি বেশ সুন্দর মানিয়েছিল।

রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে মন্দিরের ফটো নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পুরো মন্দিরটাই বাঁশের চটা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যেটা দেখতে সত্যিই অসাধারণ লাগছে।

মন্দিরের ভেতরের মানুষজন এবং মোটামুটি মন্দিরের একটা ভিউ নেওয়ার চেষ্টা করেছি।

🕉️সন্ধানী ক্লাব 🕉️

সন্ধানী ক্লাব হল নর্থ কলকাতার বিখ্যাত ক্লাবগুলোর ভিতর একটি। প্রতিবছরই তাদের থিমে কিছু না কিছু চমক রাখে তারা। এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও তারা তাদের থিমের মাধ্যমে পুরো গ্রাম বাংলার জীবন যাপন এবং মানুষের কর্মকাণ্ড তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। যেটা আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে এবং আমি মনে করি এখানে যে আসবে তারই এটা খুব পছন্দ হবে।

থিম: মাটি ও মাটির মানুষ।

প্রথমেই মন্দিরের ভিতরে ঢুকে মায়ের মূর্তি প্রণাম করে নিলাম। দুর্গা মায়ের এই মূর্তিটি গ্রাম বাংলার মূর্তির আদলে তৈরি করা হয়েছে। মোটামুটি আমরা যারা গ্রামাঞ্চলের পুজো দেখি, এখানে আসলে ঠিক ওরকম অনুভূতি হবে।

রাস্তার ওপর প্রান্ত থেকে পুরো মন্দিরের ডেকোরেশন এর একটা ভিউ নেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।

মন্দিরের একটা সাইট থেকে তোলা ফটোগ্রাফি যেখানে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য লোকের ভিড়।

এই ফটোটা মন্দিরের থিমের একটা অংশবিশেষ। যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রামের মানুষ সারাদিনের কাজ শেষে সন্ধ্যার দিকে পাড়ায় এসে সবাই মিলে মদের বোতল নিয়ে বসে আনন্দ ফুর্তি করছে। কেউ তো আবার ঘুমিয়ে পড়েছে।

এই ফটোর মাধ্যমে গ্রামের বাজারের একটি অংশ বিশেষ তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাম বাংলার বাজারগুলো সাধারণত এরকম হয়।

পুজোর থিমটাকে আরও বেশি গ্রামীণ করার জন্য পূজো মন্ডপের ঠিক সামনেই রাখা হয়েছে একটি গরুর গাড়ি।

এই ফটোর মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে গ্রাম বাংলার এক মুচির কর্মব্যস্ততা তুলে ধরা হয়েছে।

এই ফটোর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার কর্মব্যস্ত এক ঝুড়ি বোনা শিল্পীর দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়েছে।

এই ফটোর মাধ্যমে যে কি বোঝানো হয়েছে সেটা আমি নিজেও বুঝতে পারিনি আপনার যদি কেউ জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

একজন কুমোর তার মাটির তৈরি বিভিন্ন হাড়ি পাতিল নিয়ে বাজারে এসে বসেছে বিক্রি করার জন্য। দেখেই মনে হচ্ছে পুরো গ্রাম বাংলার হাট বাজার।

সন্ধ্যার পর গ্রাম বাংলার সব বন্ধুবান্ধবরা মিলে তাস খেলার আয়োজন করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সবাই খুব খুশি মনে তাদের বিনোদন চালিয়ে যাচ্ছে।

একটি খড় এর পালা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। যাতে করে গ্রাম বাংলার অথেনটিক দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা যায়।

🕉️শোভাবাজার বড়তলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব🕉️

শোভাবাজারের এই পূজা মন্ডবটি সব সময় ছোট করে করার চেষ্টা করে তবে তাদের প্রতিবছর কোনো না কোনো ছোটখাটো থিম থাকে। যেমন এই বছর তাদের পূজোর থিম ছিল লাইব্রেরী। কনসেপ্টটা আমার কাছে বেশ নতুন এবং ইউনিক মনে হয়েছিল।

থিম: লাইব্রেরি।

স্থান: নর্থ কলকাতা।
ফটো তোলার তারিখ: ০৩/১০/২০২২
ক্যামেরা: স্যামসাং
সময়: রাত সাড়ে আটটা।

এই পূজা মন্ডপটির মাত্র একটি ফটো তুলেছিলাম এবং সেটাও বাইরে থেকে। আশা করছি এই একটা ফটোর মাধ্যমেই পুরো থিম এবং মা দুর্গার মূর্তি আপনাদের সবাইকে দর্শন করাতে পারলাম।

যাইহোক আজকের পর্ব এই পর্যন্তই ছিল। আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের পর্বটি। আর ভালো লাগলে অবশ্যই একটি কমেন্ট করতে ভুলবেন না। কারণ আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে নতুন এবং ভালো কিছু করার উৎসাহ যোগায়। ভালো থাকবেন সবাই।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

#amarbanglablog-contest #photography #steemit #shy-fox #india

2 years ago in আমার বাংলা ব্লগ by rupaie22 (72)muted

$72.94

Sort:

Trending

[-]

gopiray (69)Verified Member 🇧🇩 2 years ago

দাদা পুজো মানেই ঠাকুর দেখার আনন্দ ৷ আর আপনি তো অনেক ঠাকুর দেখেছেন ৷ প্রতিটি ঠাকুর দেখতে অনেক সুন্দর আর তার কারুকাজ গুলো ছিল অসাধারণ ৷ রাজবাড়ির ঠাকুর ও বাইরের ডিজাইন গুলো ভালো ছিল ৷

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

এই বছর ঠাকুর দেখার কোন ইচ্ছা ছিল না আমার। কারণ বিগত দুই বছর করোনার কারণে কলকাতাতে তেমন লোকের ভিড় হয়নি। এই জন্য এই বছর ভয়ঙ্কর ভিড় হয়েছে। সত্যি কথা বলতে এত ভিড় ঠেলে ঘুরাঘুরি করতে মারাত্মক কষ্ট হয়ে গেছে। তার ফলাফল এখন বুঝতে পারছি আমি। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

$0.00

[-]

shyamshundor (70)Verified Member 🇧🇩 | B-21 2 years ago

rme দাদা কনটেস্ট টার আয়োজন করে অনেক ভাল একটা কাজ করেছে।দাদা প্রতিযোগীতার আয়োজন না করলে আমরা এই ছবি গুলো থেকে বঞ্চিত হতাম।আর এরপরেই কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি।আমি জানি প্রতিযোগীতা না হলেও আপনি একই মনোযোগের সাথে ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করতেন।অসাধারণ হয়েছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফ।আর মন্দিরের কারিগর দের দক্ষতায় মুগ্ধ।ধন্যবাদ দাদা শেয়ারের জন্য।

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য rme দার প্রতি আমি সবসময় কৃতজ্ঞ। তবে দাদা প্রতিযোগিতার আয়োজন না করলেও আমি প্রত্যেকটা ফটোই শেয়ার করতাম যেগুলো এখন শেয়ার করেছি আপনাদের সাথে। কিন্তু দাদা প্রতিযোগিতার আয়োজন না করলে আরেকটা ব্যাপার হতো সেটা হচ্ছে যে, পুরো কলকাতার সব মন্দিরের ফটোগুলো শেয়ার করতাম। কিন্তু এখানে যেহেতু একটা প্রতিযোগিতা সেজন্য পার্টিকুলার কিছু ফটোগ্রাফি বেছে বেছে share করতে হচ্ছে। এখানে হয়তো সব ঠাকুর গুলো তিনটি পর্বের মাধ্যমে দেখাবো কিন্তু যদি প্রতিযোগিতা না হত তাহলে ৮ থেকে ১০ টা পর্ব তৈরি করতাম। কালকের পর্ব দেখার আমন্ত্রণ রইল আপনার। অবশ্যই কালকের পর্ব দেখার চেষ্টা করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

$0.00

[-]

shyamshundor (70)Verified Member 🇧🇩 | B-21 2 years ago

দাদা প্রতিযোগীতা শেষের পরেও পুজার ঘোরাঘুরি নামে একটি সিরিজ বানান।অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

ওই রকম করে তো ফটো তোলা হয়নি বিশেষ। তবে আপনার কথা অবশ্যই রাখার চেষ্টা করবো। পুজোর পর আরো পর্ব বানাবো। তবে কিছুদিন পর কালীপুজো আসছে। আর কালীপূজা বারাসাতে বিখ্যাত। সুন্দর সুন্দর থিমের পূজা দেখাতে পারবো। ততদিন অপেক্ষায় থাকেন।

$0.00

[-]

tasonya (77))verified Blogger 🇧🇩 2 years ago

ভাইয়া আপনার পুরো পোস্ট দেখতে দেখতে যেন শেষই হচ্ছে না। আসলেই আমাদের দাদা এত সুন্দর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এই জন্য না দেখা অনেকগুলো বিষয় দেখতে পাচ্ছি। এত সুন্দর কারিগরি দক্ষতা আমার কাছে অসাধারণ লাগলো। বিশেষ করে একসাথে উপরে কতগুলো লাইটিং দেখতে পেলাম। তার সাথে আলাদা আলাদা কিছু থিম আর আলোক শয্যা গুলো যেন অসাধারণ। আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে দেখতে প্রথম দিকে কি দেখলাম সেটাই ভুলে গিয়েছে। মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য কোন একটা প্রাইজ অবশ্যই বাঁধা।

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

আপনি পুরো পোস্ট দেখেছেন এটাই আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। আমার যতটুকু সাধ্য ছিল তার ভিতরে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট লেখার চেষ্টা করেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

$0.00

[-]

ronggin (73)Blogger of the Week 👑 🇮🇳 🌾 2 years ago

অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন আপনি আজকের শেয়ার করা পোস্টটি। আপনার পোস্টের প্রত্যেকটা প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি খুবই সুন্দর হয়েছে। বাড়ি বসেই অনেকগুলো পুজো প্যান্ডেল দেখতে পেলাম আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে ।

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

$0.00

[-]

ah-agim (72)Verified Blogger 🇧🇩 2 years ago

আপনাকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাই । সত্যি আপনি খুব অসাধারণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে তার সাথে আপনি চমৎকার বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেলাম। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

$0.00

[-]

rupaie22 (72)muted 2 years ago

আপনাকেও শুভ বিজয়া ভাই। আমার পোষ্টের প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।

$0.00

STEEM 0.29

TRX 0.12

JST 0.031

BTC 57038.56

ETH 2908.37

USDT 1.00

SBD 3.65

শারদীয়া কনটেস্ট ১৪২৯।। পর্ব-০২(অষ্টমীর পুজো)।। অক্টোবর-০৪/১০/২০২২

🙏🕉️নমস্কার সবাইকে🕉️ 🙏

থিম: শোভাবাজার রাজবাড়ী।

থিম: রং তুলি।

থিম: পুরনো গান, পুরনো সুর।

থিম: বিশেষ কোনো থিম নেই।

থিম: বিশেষ কোনো থিম নেই।

থিম: মাটি ও মাটির মানুষ।

থিম: লাইব্রেরি।

🕉️ধন্যবাদ সবাইকে🕉️

Coin Marketplace