"পুরনো অ্যালবাম থেকে সিকিমের ওয়াটারফলে কাটানো কিছু মুহূর্ত"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আবার পুরনো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমাদের সিকিম ভ্রমণের প্রথম দিনে গিয়েছিলাম গ্যাংটকের বড় ওয়াটার ফল গিয়েছিলাম। গ্যাংটক ভ্রমণে যাওয়ার প্রথম দিনেই বলছিলো অনেক ভোরে উঠতে। তাহলে সবকিছু ভালো করে ঘুরে দেখা যাবে।কিন্তু কেউই ভোরে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। কিন্তু আমাদের উঠতে উঠতে। ৭.০০ টা বেজে যেত। আমার কথা ছিলো ঘুরবো কিন্তু আগে শরীর ঠিক রেখে। কারণ শরীর খারাপ নিয়ে ঘুরে কোন আনন্দ পাওয়া যায় না। তাই আমরা কোন ট্যুর গাইডের সাথে যেতাম না। যাই হোক প্রথমে গেলাম আমরা বোরং মনাসট্রি। এটা বেশ বড় একটি বুদ্ধ মন্দির। যাই হোক এটা অন্য একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সেখানে বেশ কিছু সময় কাটানোর পর ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়ে পড়লাম পাহাড়ী চিরিখানা দেখতে। আর পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে। সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরির পর বিকালের দিকে গ্যাংটক শহরের বড় ঝর্না দেখতে। ঝর্না দেখার জন্য আমি খুবই আগ্রহী ছিলাম। আসলে ঝর্না দেখতে আমার ভালো লাগে। আরো ভালো লাগে ঝর্নার জলে স্নান করতে। কিন্তু এটা তো সম্ভব ছিলো না। আমার ঝর্নার শব্দ ২ কিলোমিটার দূর থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম। টিনটিন বাবু ঝর্ণায় পৌঁছানোর আগেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো তাই ওকে গাড়িতে রেখে আমরা গিয়েছিলাম। ঝর্না দেখতে গেলে পাহাড়ের রাস্তা বেয়ে অনেকটা উপড়ে উঠতে হয়। অবশেষ গিয়ে পৌঁছালাম ঝর্নার কাছে। সেখানে আমি বেশ কিছু ফটোশুট করলাম। আমি আর আমার দেবোর পাথর বেয়ে অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিলাম। তবে আমার প্রিয় মানুষটি হাজার অনুরোধ করার পর ও নিচে নামলো না। আসলে ওর পড়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছিলো। ওর ভয়টা খুব। আমাকে ও নামতে দিবে না কিন্তু কোন কথা না শুনে নেমে ছিলাম। সত্যি বলতে আমি ছেলেবেলা থেকে ছুটাছুটি করতে লাফাতে ও দৌড়াতে খুবই পছন্দ করি। এখন শারীরিক একটু অসুবিধার জন্য এগুলো কিছুই করতে দেয় না। কিন্তু সুযোগ পেলে আমাকে করতে দিতেই হবে।তবে। জায়গাটি বেশ সুন্দর ছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। আশা করি, আমার মত আপনাদের ও ভালো লাগবে।
প্রকৃতির মাঝে মাঝে ঝর্ণায়ঝর্ণাটি অবস্থিত। দূর থেকে দেখতে ঝর্ণাটি বেশ লাগছিলো। ঝর্নার কাছ থেকে ছাড়া খুব একটা দেখা যাচ্ছিলো না। বেশ ঠাণ্ডা ছিলো ঝর্নার জল।
তারিখ: ১৪ ই নভেম্বর ২০২২, বিকাল ৪.২১ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম
ঝর্নার কাছে আমি। সাথে আমার এক দিদি।
তারিখ:১৪ নভেম্বর ২০২২, বিকাল ৪.২৩ মিনিট
স্থান : গ্যাংটক, সিকিম
সন্ধ্যার সময় ঝর্নার কিছু ছবি।ঝর্নার কাছে যাওয়ার আগে কিছু ছোট ছোট ফুলের গাছ।
তারিখ: ১৪ ই নভেম্বর ২০২২,
স্থান: গ্যাংটক, সিকিম
ক্যামেরা পরিচিতি: redmi 8 poro
ক্যামেরা লেন্থ: ৫.৫ মি. মি.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক বলেছেন বৌদি শরীর খারাপ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে একদমই ভালো লাগেনা। শরীর ঠিক করা আগে বেশি প্রয়োজন। তবে আপনাদের সিকিম ভ্রমণের পর্বগুলো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল। আজকে আবারো ঝর্ণার দৃশ্য গুলো দেখে ভীষণ খুশি হলাম। যেতে না পারলেও পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে অনেক বেশি অনুভব করতে পেরেছি। ছবিগুলো দেখে মনটা ভরে গেল।
বৌদি ভাই নমস্কার ৷
আসলে পুরনো ছবি গুলো দেখলে অনেক কিছু মনে পড়ে যায় ৷ মনে পড়ে যায় সেই সময়কার কাটানো মুহূর্ত সৃতি সব ৷ তাই মাঝে মধ্যে পুরনো অ্যালবাম ছবি গুলো দেখলে মনটা অনেক ভালো লাগে ৷ যা হোক অনেক ভালো লাগলো আপনার পুরনো অ্যালবাম থেকে সিকিমের ওয়াটারফলে কাটানো কিছু মুহূর্ত গুলো আর ফটোগ্রাফ গুলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি
ঝর্না দেখতে গিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন বৌদি অসাধারণ লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো।সামনে থেকে নিশ্চয় আরও ভালো লাগছিলো।বাহ্ দুই কিলোমিটার দূর থেকেই শোনা যাচ্ছিল ঝর্নার আওয়াজ।আসলেই শরীর খারাপ থাকলে ঘুরতে ভালো লাগে না।সকাল ৭ টায় গিয়েই ভালো করেছিলেন বৌদি।তার আগে তো রাস্তা ঘাট দেখাও কষ্টের ছিল মনে হয় কুয়াশার মধ্যে ।ধন্যবাদ বৌদি পুরনো অ্যালবাম থেকে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
শরীর ঠিক না থাকলে ঘুরে আনন্দ পাওয়া যায় না। আসলে বেড়ানোর আনন্দ তখন মাটি হয়ে যায়। ওয়াটারফলে কাটানো মুহূর্তগুলো এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে সত্যিই ভালো লাগলো বৌদি। আসলে এই জায়গা গুলোতে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়তো কোনদিন হবে না। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে নিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঝর্ণার দৃশ্যগুলো সত্যি অনেক বেশী মুগ্ধকর মনে হয়েছে বৌদি, বেশ বড় ঝর্ণা এবং পানির গতিও অনেক বেশী, তাই অনেক দূর হতেও শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। এছাড়া সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যগুলো বেশ ছিলো। ধন্যবাদ
আপনি একদম ঠিক বলেছেন শরীর ভালো না থাকলো ট্রাভেল করতে মোটেও ভালো লাগে না! শরীর ঠিক তো সব ঠিক। এর আগে দিদি টেমি ট্রির ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছিলাম। আজ আবার গ্যাংটাকে ঝর্ণা দেখার অনুভূতি জানতে পারলাম। আমি একবার গিয়েছিলাম সীতাকুণ্ড এ সহস্রাব্দ ঝর্ণাতে। কিন্তু পানির বেগ কম ছিল! গ্যাংটাকে অনেক বেশি এজন্য দূর থেকে পানির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি সিকিমে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছিলাম। যেখানে পাহাড়ি ঝরনার সুন্দর দৃশ্য ফুটে উঠেছে। আর সেগুলো আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করে দেখিয়েছেন যা আমাদের মাঝে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন
তাই আমার খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।