"দারুন স্বাদের গুঁড়ো দুধের গাজরের হালুয়া "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে বসন্তের মিষ্টি সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আপনাদের সাথে মিষ্টির রেসিপি শেয়ার করবো। একদিন রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে বেশ কয়েক রকমের হালুয়ার আইটেম দেখেছিলাম। সেখান থেকে আমি গাজরের হালুয়া খেয়েছিলাম। এর আগে আমার কখনো গাজরের হালুয়া খাওয়া হয়নি। তাই একটু খেয়ে দেখছিলাম কিন্তু বেশ স্বাদের ছিলো হালুয়া। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একদিন বাড়ীতে তৈরি করবোই। আর আপনাদের দাদা একদিন বলেছিলো গাজরের হালুয়া তৈরি করতে। কিন্তু আসলে সময়ের অভাবে হয়ে ওঠেনি। তাই গতকাল
বিকালে রেস্ট না নিয়ে ভাবলাম এখন তৈরি করা যাক।কারণ এই কয়েকদিন হয়েছে আমার আদরের ছোট ভাই আমার আসছে। ও প্রায় এই ৪ বছর পর আমার কাছে আসছে । ও আমার থেকে অনেক ছোট এবং খুবই আদরের।ওর যা কিছু প্রয়োজন হয় সবকিছুর আবদার আমার কাছে। তাই আরো ওর কথা ভেবেই তৈরি করেছি। এর আগে কোনদিন আমি হালুয়া তৈরি করিনি। এই প্রথম গাজরের হালুয়া তৈরি করছি। তাই একটু ভয় ভয় লাগছিলো । কিন্তু তৈরি করার পর আপনাদের দাদা কে টেস্ট করার জন্য দিয়েছিলাম। ও খেয়ে বলে বেশ সুন্দর লাগছে তো। পরে আমি নিজে খেয়ে দেখি সত্যি অনেক স্বাদের হয়েছিলো খেতে। সে হালুয়া আমার ভাই ও আপনাদের দাদাই পুরো টুকু খেয়ে ফেলেছিলো। আসলে কোন খাবার স্বাদের হলে নিজেই খেয়ে ফেলে।আর যে খাবার খেতে একটু স্বাদ কম হয় সেই খাবারটি আমাকে খাওয়ানোর জন্য পাগল হয়ে যায়। তবে এটা সব সময় করে না। মাঝে মধ্যে মজা করেই করে আমাকে রাগানোর জন্য। যাই হোক তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১.গাজর - পরিমান মতো
২. চিনি - পরিমান মতো
৩. গুঁড়ো দুধ - ৪ চামচ
৪. লবণ - ১ চিমটি
৫.ঘি - ৪ চামচ
৬.কাজু বাদাম -১ চামচ
৭.কিসমিস - ১ চামচ
গাজর
চিনি
গুঁড়ো দুধ, কাজু বাদাম কিসমিস
ঘি
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে গাজর গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। গাজরের মাথার দিকটা ও পেছনের দিকটা একটা ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে।
২. এবার গাজর গুলো একটা গ্রেটার দিতে গ্রেট করে নিতে হবে।
৩. এরপর চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।কড়াইতে ৪ চামচ ঘি দিয়ে দিতে হবে। ঘি গরম হয়ে গেলে গ্রেট করা গাজর দিয়ে দিতে হবে। এবার মিডিয়াম আঁচে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে গাজর থেকে কাঁচা গন্ধ চলে গেলে পরিমান মতো চিনি ও কাজু বাদাম, কিসমিস দিয়ে দিতে হবে।
৪.চিনি দেওয়ার পর আবারো ভালো করে নাড়তে থাকতে হবে। চিনি থেকে জল ছেড়ে দিলে ৪ চামচ গুঁড়ো দুধ দিয়ে আবারো নাড়তে থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কড়াই এর নিচে যেনো লেগে না যায়। নাড়তে নাড়তে যখন জল শুকিয়ে শুকনো একটা আটালো ভাব চলে এলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিতে হবে। এবার কড়াই এর থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু গাজরের হালুয়া। এবার গাজরের হালুয়ার উপরে কিছুটা কাজু বাদাম ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
গাজরের হালুয়া খাব বলে বাসায় গাজর নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু বাবু অসুস্থ বলে এখনো বানাতে পারে নি।তবে আজকে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। সুস্বাদু হয় বলেই দাদা সব সময় খেয়ে ফেলে। আর আপনার হাতের রান্না কখনও স্বাদ কম হবে তা তো হয় না। যাইহোক গুঁড়ো দুধ দিয়ে গাজরের হালুয়া খাওয়া হয়নি কখনো। তবে এবার গুঁড়ো দুধ দিয়ে তৈরি করতে বলবো।
এটা বেশ ভালো বলেছেন বৌদি কোন খাবার স্বাদের হলে দাদা নিজেই খেয়ে ফেলে। যখন স্বাদ হয় না তখন আপনাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে। তবে এটা ভালো লাগে যে আপনি সবসময় নিজের হাতে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করার চেষ্টা করেন। বিশেষ করে চার বছর পর আপনার ভাই দেখা করতে এসেছে তার জন্য এই রেসিপিটা স্পেশাল ছিল। দাদা আর আপনার ভাই দুইজনে মিলে একদম সবটুকু খেয়ে ফেলেছিল। এতেই বুঝতে পেরেছি কতটা মজাদার হয়েছে।
যেহেতু ভাই এসেছে তার মনে এখন গাজরের হালুয়া এরপর আরো সুন্দর সুন্দর রেসিপি দেখতে পাব। তবে গাজরের হালুয়া আমার খুব পছন্দের, যখন এখানে মা ছিল তখন মাঝেমধ্যে বানিয়ে খাওয়াতো। তবে এখন আর খাওয়া হয় না। তোমার রেসিপিটি অনেক সুন্দর এবং সাজানো গোছানো হয়েছে বৌদি। দেখি যদি পারি খুব তাড়াতাড়ি হালুয়া বানিয়ে খাবো। সকাল সকাল খুব ভালো লাগছে এত সুন্দর একটা রেসিপি দেখে।
দাদার আবদার আবার আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য হালুয়া তৈরি করলেন বৌদি রেস্টুরেন্ট থেকে হালুয়া খেয়ে আইডিয়া নিয়ে।আপনার হালুয়া দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভালো হয়েছিল অনেক।আপনি দারুন রেসিপি শেয়ার করেন,আমার অনেক ভালো লাগে।ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।
আদরের ছোট ভাই আপনার বাসায় আসা উপলক্ষে আপনি বিকেলবেলা কোনরকম রেস্ট ছাড়াই আবার রান্না করতে গিয়েছেন এটাই হয়তোবা দিদির ভালোবাসা। গাজরের হালুয়া বরাবরি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে সব সময়। কমিউনিটিতে অনেকেই গাজরের হালুয়া রেসিপি শেয়ার করেছে আপনার এই গাজরের হালুয়া রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লবণীয় ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হাহাহা! দিদি এটা অবশ্য ঠিক বললেন। খাবার মজা হলে কিন্তু সবটাই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। দাদার কাছে ভালোই লেগেছিল খেতে এজন্য দাদা খেয়েছে সাথে আপনার আদরের ছোট ভাইও। আমার পছন্দের হালুয়া গাজরের। তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না! 🙂
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৌদি যে পাকা রাধুনী সেটা আবারও প্রমাণ করলেন, দেখেই বুঝা যাচ্ছে একদম পারফেক্ট রান্না হয়েছে। আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য শুভেচ্ছা রইল, আসলে ছোটরা যাদেরকে খুব বেশী ভালোবাসে তাদের নিকটই সকল আবদার উপস্থাপন করে। ধন্যবাদ বৌদি রেসিপিটি উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার ছোট ভাই এবং আমাদের দাদা মিলে যেহেতু সবটুকু হালুয়া খেয়ে নিয়েছিল,তার মানে বুঝাই যাচ্ছে গাজরের হালুয়া কত সুস্বাদু হয়েছিল। হালুয়ার কালারটা সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে বৌদি। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। যাইহোক এত মজাদার একটি রেসিপি ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
গুঁড়ো দুধের তৈরি গাজরের হালুয়া দেখে এই রাতের বেলায় জিভে জল চলে আসলো, বৌদি। আমাদের দাদা টেস্ট করে খুব ভালো বলেছে তার মানে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়েছিল গাজরের এই হালুয়া। চার বছর পর আপনার অতি আদরের ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে এটা জেনে ভালো লাগলো। রেসিপিটি অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ার কারণেই বৌদি তোমার আদরের ছোট ভাই এবং আমাদের প্রিয় দাদা দুজনে মিলেই এই মজাদার হালুয়া সব শেষ করে দিয়েছে, তোমাদের জন্য আর রাখেনি।