বাঙালি রেসিপি " পেঁয়াজ রসুন ছাড়া কোয়েল পাখির মাংস কষা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে অগ্রিম বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।বেশ কিছুদিন হয়েছে আমি তেমন কোনো রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না। আসলে দুর্ভাগ্য বসত আমার ফোন থেকে সমস্ত ছবি মুছে গেছে। আমি তিন থেকে চার দিন আগে পোস্ট লিখতে গিয়ে দেখি কোন ছবি নেই। সবই পুরনো দিনের ছবি আছে। তাই আসলে আমি আপনাদের সাথে কোন রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না।গতকাল সন্ধ্যায় বাইরের থেকে বেশ কয়েকটি কোয়েল পাখি কিনে এনেছে খাওয়ার জন্য। আপনাদের দাদা কোয়েল পাখির মাংস খুবই পছন্দ করে। আর আমরা কেউই কোয়েল পাখির মাংস খায় না। সত্যি বলতে আমি কোন পাখির মাংস পছন্দ করি না। পাখি মারতে কেমন যেনো মায়া লাগে। তাই মারা ও রান্না করা ভালো লাগে না। এর আগে কোনদিন আমি পাখির মাংস রান্না করিনি। আসলে আমার খাবারের দিক থেকে ভীষণ বাছ বিচার করি। আমি সব কিছু খাই না। আপনারা হয়তো জানেন আমি মুরগী ও খাই না। তারপরও সবার জন্য রান্না করতে ভালোবাসি। এর আগে কোনদিন পাখি রান্না করিনি। আর তার উপর পেঁয়াজ রসুন ছাড়া রান্না করতে বলছে। বুঝতে পারছিলাম না কি করে রান্না করবো। তারপর তো ভয়ে ভয়ে রান্না করলাম। ভাবছি আসলে এটা কি খাওয়া যাবে। পরে আমার প্রিয় মানুষটি ও নিলয় খেয়ে বলে অনেক সুন্দর হয়েছে।মনেই হচ্ছে না পেঁয়াজ রসুন দেওয়া হয় নি।শুধু মসলা দিয়ে যে এত সুন্দর রান্না করা যায় তা না খেয়ে বুঝতেই পারতাম না। আমাকে বেশ কয়েকবার খাওয়ার জন্য বলেছিলো যদিও আমি খাইনি। আপনাদের দাদা যখন বলছে তখন হয়তো ভালোই লেগেছিলো। কারণ ও কখনো মিথ্যা বলে না। যা সত্যি তাই বলে। কখনো মিথ্যা বলে আমার মন রক্ষা করার চেষ্টা করে না। আসলে কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। তাহলে চলুন শুরু করি।
উপকরণ:
১. কোয়েল পাখির মাংস - পরিমান মতো
২. বড় সাইজের আলু -১ টি
৩.গোটা জিরা - হাপ্ চামচ
৪. হলুদ গুঁড়া - পরিমান মতো
৫. জিরা গুঁড়া - ২ চামচ
৬. লবণ - স্বাদ মতো
৭. শুকনো মরিচ গুঁড়া - পরিমান মতো
৮. গরম মসলা - দেড় চামচ
কোয়েল পাখির মাংস
কেটে নেওয়া আলু
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে মাংস গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে গোটা জিরা দিতে হবে। জিরা ভাজা হয়ে গেলে কেটে রাখা আলু দিয়ে মিডিয়াম আঁচে হালকা ভেজে নিতে হবে।
২. আলু ভাজা হয়ে গেলে ওই তেলের ভিতরে মাংস দিয়ে দিতে হবে। এবার একে একে পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মাংস কষানো হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে দিতে হবে।
৩. এরপর ঝোল ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। ঝোল হালকা কমে এলে পরিমান মতো গরম মসলা দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিতে হবে। এরপর পাঁচ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নিতে হবে।মাংসের উপরে হালকা তেল উপরে উঠে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু কোয়েল পাখির মাংস কষা। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
বৌদি আপনার রেসিপির মধ্যে ইউনিক কিছু খুঁজে পাওয়া যাবেই। পেঁয়াজ রসুন ছাড়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে কোয়েল পাখির মাংস রান্না করেছেন। আমার তো আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসল। আমি একদিন অবশ্যই বাসায় এই রেসিপি তৈরি করে দেখবো।ধন্যবাদ বৌদি এত মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার ফোন থেকে সব রেসিপির ছবিগুলো মুছে গেছে জেনে সত্যি খারাপ লাগলো বৌদি। আসলে আমরা অনেক সময় অনেক রেসিপি তৈরি করে রাখি এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করি। আর সেগুলো যদি হঠাৎ করে এভাবে ডিলিট হয়ে যায় তখন ভীষণ কষ্ট লাগে। যাই হোক কোয়েল পাখির মাংস আমারও কখনো খাওয়া হয়নি। দাদার কাছে যেহেতু এই কোয়েল পাখির মাংস অনেক প্রিয় তাই তো আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করেছেন। দাদা যেহেতু বলেছেন খেতে অনেক ভালো হয়েছিল তাহলে নিঃসন্দেহে খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। এছাড়া আপনি দারুণ রান্না করেন আমরা সকলেই জানি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।♥️♥️
আপু পাখি মারা আমার কাছেও ভালো লাগে না। ভীষণ মায়া লাগে ছোট ছোট পাখিগুলোকে দেখতে। তবে আমি কিন্তু খেয়েছি পাখির মাংস। ভীষণ সুস্বাদু আপু। আপনার রেসিপিটা দেখে ভালো লাগছে। বুঝাই যাচ্ছে না যে আপনি পেঁয়াজ রসুন ছাড়া এটি রান্না করেছেন। আপনি যে মুরগির মাংস খান না, সেটি আমি আগে জানতাম না। আপনার কাছ থেকে নতুন কৌশলে একটি রান্না শিখে নিলাম।
আমিও কোন পাখির মাংস খাই না,তবে আগে কোয়েল পাখি পালন করতাম। তখন আমার বাবু আর বাবুর বাবা খেতে চাইলে রান্না করে দিতাম।তবে কখন পেয়াজ আর রসুন ছাড়া রান্না করা হয় নি।তবে বৌদি পেয়াজ এবং রসুন ছাড়া দেখি বেশ ভালোই লোভনীয় কালার হয়েছে, আমি ও তো জানতাম না পেয়াজ আর রসুন ছাড়া যে রান্না করা যায়।প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
কোয়েল পাখির মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। কোয়েল পাখি রেসিপি আমি কখনো তৈরি করেনি, জানিনা এই রেসিপি খেতে কতটা মজা হবে। আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
আপনার রেসিপি দেখে আমার একটা ঘটনা মনে পড়ল, ছোট্টবেলা একবার হঠাৎ বিকেলবেলা ঝড় বৃষ্টি শুরু হল, সেই ঝড় বৃষ্টি শেষ হতে হতে প্রায় রাত, বাড়ির উঠোনে এসে দেখলাম কয়েক ডজন চড়ুই পাখি এদিকে সেদিকে লুকিয়ে আছে। মূলত একটা পাখি আমাদের রুমে চলে এসেছিল সেটা ধরতে গিয়ে দেখলাম আরো অনেকগুলো পাখি। পুরো বাড়িতে আমরা বোধ হয় ২০-২৫ জন। প্রত্যেকের ভাগে 10 থেকে 15 টা পাখি পায়। আমি ভেবেছিলাম সবাই পাখিগুলোকে পুষবে, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম সবাই যখন পাখির মাংস রান্না করে খায়।
কোয়েল পাখির মাংস কষা দেখে তো জিভে জল চলে এলো বৌদি। কোয়েল পাখির মাংস আমার খুব পছন্দ। কোয়েল পাখির মাংস ভুনা করে এবং ঝোল করে অনেক খেয়েছি, তবে কোয়েল পাখির মাংস কষা কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর হয়েছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ বৌদি, এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কোয়েল পাখি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে৷ কোয়েল পাখির ডিম ও মাংস দুটিই খুবই উপকার। আপনার কোয়েল পাখির মাংস ভুনার রেসিপিটি অনেক। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আজকের এই পোস্ট এর মধ্য দিয়ে আমি দারুন কোয়েল পাখির মাংসের রেসিপি দেখতে পারলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কোয়েল পাখির মাংস রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন কিভাবে রান্নার কাজ করেছেন আপনি। আমার খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর রেসিপি দেখে। কোয়েল পাখি যেহেতু ছোট পাখি তাই মাংস খুব কম হয়ে থাকে। তবে তার মাংস অনেক সাধের হয়।
যদিও আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো পেঁয়াজ রসুন ছাড়া মাংস রান্না করে খাওয়া হয়নি তবে কোয়েল পাখির মাংস অনেকবার খাওয়া হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে কোয়েল পাখির মাংস আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার এই রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু ছিল তবে বাসায় একদিন চেষ্টা করবো আপনার মত করে পেঁয়াজ রসুন ছাড়া কয়েল পাখির মাংস রান্না করার। ধন্যবাদ বৌদি আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।