"রথের মেলায় কাটানো একটি সুন্দর সন্ধ্যা"
বন্ধুরা
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ মুসলীম সম্প্রদায়ের বড় একটি ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহা। তাই মুসলীম সম্প্রদায়ের সকল ভাই বোনদের জানাই ঈদের শুভেচ্ছা।ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব তো সবার।আমি মুসলীম ধর্ম সম্পর্কে কিছু জানি না। আজ যে ঈদ কাল আপনাদের দাদার মুখ থেকে শুনেছি। আপনারা জানেন হিন্দুদের বার মাসে তেরো পার্বণ। আর হিন্দুদের অন্যতম একটি ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। রথযাত্রা শেষ হয়ে গেলেও এর রেশ কিন্তু এখনও রয়ে বাঙালিদের মনে। আমাদের এখানে রথের মেলা হয় হয় প্রায় ৮ - ১০ দিন ধরে। এবারও ঠিক তার ব্যতিক্রম হয়নি। করোনা পরিস্থিতি জন্য পরপর তিন বছর পরও কোন মেলা হয়নি। শুধু সংক্ষেপে পূজো হয়েছে। আমার ছেলে বেলা থেকে মেলায় যেতে খুব ভালো লাগে। মেলার কথা বলতে গেলে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ছেলেবেলায় আমি খুব একটা মেলায় যেতে পারিনি। একটাই কারণ ওই যে আমি মেয়ে।তারপর ও যেটুকু যেতে পেরেছি এতেই অনেক আনন্দ হতো। আমার মেলায় গিয়ে শুধু মাটির খেলনা কিনতাম। আর হলো সাজার সরঞ্জাম কিনতাম আর ছিলো চুড়ি। কারণ ছেলেবেলায় খুব সাজতে পছন্দ করতাম। কিন্তু সেটা বড় হতে হতে অনেক কমে গেছে। তবে হ্যা চুড়ি আমার পড়তে খুব ভালো লাগে।
আমি মেলাতে পরপর তিন বার গিয়েছিলাম। মেলাতে গিয়ে পাঁপড় ও গরম গরম জিলাপী খাবো না তা কি হতে পারে। আমরা কিছু পাঁপড় ও গরম গরম জিলাপী কিনে খেতে মেলার ভিতর ভিতর ঘুরছিলাম। ঘুরতে ঘুরতে চুড়ির দোকানে সামনে গেলেই আপনাদের দাদা আমাকে বললো রেশমী চুড়ি নেবে না। সত্যি বলতে আমার অনেক সখ ছিল যে আমার প্রিয় মানুষটি মেলায় গিয়ে নিজের হাতে রেশমী চুড়ি কিনে দেবে। এই কথাটি একদিন ওকে বলেছিলাম। আমি ওর কাছে ছোট ছোট আবদার করি। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সে সব কিছু পূরণ করার চেষ্টা করে। আমরা অনেক রঙের চুড়ি কিনেছিলাম।এরপর হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে বাড়ির জন্য চীনা বাদাম ও গরম গরম জিলাপী কিনে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।
বাড়ি আসার সময় আমার প্রিয় মানুষটির দুটো মিষ্টি পান নিলাম। আসলে ও মেলার মিষ্টি পান খেতে খুব পছন্দ করে। তাই আমি মেলায় গেলে ওর জন্য মিষ্টি পান কিনি।
সব মিলিয়ে মেলার ভিতর অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম।
দিদিভাই আপনাদের ওখানকার মত এত বড় করে রথের মেলা আমাদের এদিকে হয় না। ছোট করে একটু হয়। ঐ নিয়েই আমাদের আনন্দ। তবে মেলাতে জিলাপী আর পাপড় ভাজা খেতেই হবে। এটার ছাড় নেই একদম। রেশমী চূড়ির ব্যাপারটা দারুন লাগলো। আপনাদের এই ভালোবাসা টা যেন সারা জীবন এমনই থাকে। আর দাদার মত আমিও মিষ্টি পান খেতে খুব পছন্দ করি 🥰। এদিক দিয়ে দুই ভাইয়ের বেশ মিল আছে দেখি।
মেলায় গেলে গরম জিলাপী না খেলে জমেই না আসলে দিদি। মেলায় আগে হরেক রকমের জিনিস পাওয়া যেত। সময়ের বিবর্তনে এখন আর আগের আমেজ পাওয়া যায় না মেলায়। দাদা আপনার ছোট ছোট আবদার রাখার চেষ্টা করে জেনে ভালো লাগলো দিদি 😍। এভাবেই যেন আপনাদের ভালোবাসা থাকে আজীবন এই কামনাই করি। ঈদের শুভেচ্ছা নিবেন দিদি ❤️
রথের মেলায় কাটানো খুবই সুন্দর কিছু সন্ধ্যার মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন দিদি।
এরা এই ধরনের কাচের চুরি খুবই পছন্দ করে। অন্য কোন জিনিস কিনো কিংবা না কিনুক এই ধরনের চুরিগুলো কিনে আনে সাজার জন্য। মেলাতে যাবার পরে আমিও এখন পর্যন্ত আমার অর্ধাঙ্গিনী জন্য এই ধরনের চুরি কিনে আনি।
বৌদি প্রিয় মানুষটির সাথে রথের মেলায় অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সত্যিই রথের মেলায় গিয়ে গরম গরম জিলাপি খাবে না তা কি করে হয়। গরম গরম জিলাপি খেলে এবং দাদা আপনাকে রেশমি চুড়ি কিনে দিলো।সত্যিই আপনার ছোট ছোট আবদার পূরণ করে এটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলে। আপনারা সব সময় হাসি খুশি থাকেন এই দোয়া করি।
আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা বৌদি।
আপনাদের রথযাত্রা সম্পর্কে অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো দেখিনি। অনেক জাকজমকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। রথযাত্রার মেলাতেও গিয়েছেন এটা দেখে আরও ভালো লাগল। কী সুন্দর বর্ণিল সাজে সেজেছে চারিদিক। দারুণ ছিল পোস্ট টা।
দাদা আপনার জন্যে যেসব চুড়ি কিনেছিলান সেসব দেখিয়েছিলো আমাদের।সত্যিই মনোমুগ্ধকর কারণ এতে যে ভালোবাসা মিশে আছে।
এই মেলাগুলোতে ঘুরার শখ সেই ছোট বেলা হতেই, যেহেতু আমার শৈশব কেটেছে নারায়নগঞ্জে, যে শহরটার প্রায় স্থানে নানা সময় পুঁজো উপলক্ষ্যে মেলা বসতো। সেখানে দারুণ সময় ব্যয় করতাম আমি, বিশেষ করে মেলার খাবারগুলো। দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ
মেলায় ঘুরতে আমারও অনেক ভালো লাগে বৌদি আপনার মতো।তবে এখন তেমন যাওয়া হয় না, আর জিলিপি, মিষ্টি পান এগুলো তো আমার ও খুবই পছন্দের।রেশমি চুড়িগুলি সুন্দর ছিল বৌদি,দারুণ সময় পার করেছেন।এভাবেই আপনাদের ভালোবাসা জীবন্ত থাকুক প্রতি মুহূর্তে।ধন্যবাদ আপনাকে।
রেশমি চুড়ি আমারও অনেক ভালো লাগে। দাদা হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আপনার ছোট ছোট আবদার ও পূরণ করে করে জেনে খুব ভালো লাগলো। সব মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। মিস্টি পান কখনো খাওয়া হয় নি। তবে ইচ্ছা একবার খাবো। ভালো ছিলো। ধন্যবাদ।
মেলায় ঘুরতে আমারও খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে ছোটখাটো জিনিস কিনতে বেশি ভালো লাগে। দাদা আপনার ছোটখাটো আবদার গুলো পূরণ করে, এটাই তো অনেক ভালোবাসা। চুড়ি গুলো কিন্তু আসলেও খুব সুন্দর ছিল কতটুক কিনেছেন জানিনা তবে পড়লে খুব সুন্দর লাগবে আপনাকে।