ডায়াবেটিস কি এবং এর বিভিন্ন অসুবিধা এবং করণীয় | Diabetes and its various disadvantages and doings| P-B

হ্যালো বন্ধুরা, শুভ বিকাল । কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি ভাল আছেন । গত পর্বে আপনাদের জানিয়েছিলাম ডাইবেটিস এর বিভিন্ন অসুবিধা করণীয় । এ পর্বেও একই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ডায়াবেটিস সাধারণত খুবই মারাত্মক একটা রোগ। ডাইবেটিসের বিভিন্ন পার্থক্য এবং প্রকারভেদ রয়েছে। ডাইবেটিস আজ চারটা শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। টাইপ 1, টাইপ 2 ,বিভিন্ন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কারণ ভিত্তিক শ্রেণী

টাইপ ওয়ান হলো এমন একটা ডায়বেটিস যেখানে রোগীর শরীরে ইনসুলিন একেবারেই উৎপন্ন হয় না । সাধারণত যুবক বয়সে ডায়াবেটিস দেখা দেয় এসব রোগীকে অবশ্যই ইনসুলিন নিতে হয় না হলে মৃত্যু মুখে পতিত হতে পারে।

টাইপ-টু হল এমন এক ধরনের ডায়াবেটিস যেখানে সাধারণত রোগীদের টাইপ ওয়ান রোগীর মতো এতো সমস্যায় পড়তে হয় না । এদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় এবং বাকিটা ইনসুলিন নিতে হয় খাদ্যাভাসে পরিবর্তন এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে এসব রোগীদের চিকিৎসা করা হয়।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হল অন্য এক ধরনের ডায়াবেটিস যা প্রসাবের পরে আর থাকেনা এই ডায়াবেটিস সাধারণত গর্ভবতী মা এবং শিশুর হতে পারে এটা গর্ভকালীন অবস্থায় ইনসুলিন নেয়া প্রয়োজন।

অন্যান্য ডায়াবেটিস বিভিন্ন কারণ ভিত্তিক হতে পারে যেমন জেনেটিক কারণ ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, অগ্নাশয়ের রোগ, হরমোন ,ওষুধ ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার নানা রকম কারণ রয়েছে। এটা সাধারনত বংশগত এবং অনেক সময় নিকটাত্মীয় আছে তাদের কাছ থেকে হতে পারে। যাদের শারীরিক ব্যায়াম কম হয় এবং ওজন বেশি তাদের ডায়াবেটিস হতে পারে। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কঠিন ওষুধ, 7 কেজি ওজনের বেশি বাচ্চা প্রসব করা ইত্যাদি কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হতে পারে 'হূদরোগ পায়ে ক্ষত 'চোখ চুলকানি 'পাঁচড়া ইত্যাদি।

ডাইবেটিস হলে বিশেষ করে খাদ্যঅভ্যাসে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়াও কাস্টম ব্যায়াম করতে হবে। ওষুধ পরিমিত খেতে হবে। ডাইবেটিস সম্পর্কিত শিক্ষা নিতে হবে । রাতে খাবার বাদ দিতে হবে । শর্করা খাবার হিসাব করে খেতে হবে। আর বহুল খাদ্য ভালোভাবে খেতে হবে সম্পৃক্ত অসম্পৃক্ত ফ্যাট খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে, পরিমান মত খেতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে প্রতিদিন 30 মিনিট সপ্তাহে 5 দিন হাটা ব্যবস্থা করতে হবে, ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে এবং শিক্ষা নিতে হবে এ রোগ সম্পর্কিত।

বন্ধুরা আজকের পর্ব এখানেই শেষ করলাম সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সাথেই থাকবেন|
_{Photos are taken from https://pixabay.com}