loving
মিলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে চমতকার দৃশ্যপটের অবতারনা করে নিসর্গ। পুর্নিমার চাদ আলোতে ভাসিয়ে দিয়েছে সবকিছু, সাথে গা জুড়ানো মৃদু বাতাস। এসবকিছু ছাপিয়ে আমাদের নায়কের মানসে কেবল প্রিয়তমা হ্যাপির চাদমুখখানিই কেবল জ্বলজ্বল করতে থাকে।
একজায়গায় গাছগুলো গায়ে গায়ে লাগোয়া অবস্থায় আরো কাছে সরে আসে। এখানটায় চাদের আলোও ঠিকমত পৌছায় না। গা শির শির করে রাসেলের। অনেকদিন গায়ে রাতের আধারে হাটা হয় না বলেই হয়ত। আর একটু পেরুলেই প্রিয়তমার বাড়িতে পৌছে যাবে সে। ঔষধগুলো আর চিরকুটটা ফেলে ছিড়ে ফেলে দেয় পাশের একটি ডোবায়।
ঠিক ঐ মুহুর্তেই দৃশ্যপটে আগমন ঘটে চার পাচটি লোকের। সবার মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। কিছু বোঝা বা বলার আগেই কয়টি লাঠির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পরে আমাদের নায়ক। আর্তস্বরে কোন প্রকারে আকুতি জানায় পরিত্রানের। প্রিয়তমার চাদ মুখখানির পরিবর্তে চোখেমুখে ভেসে উঠে বিভীশিকার মৃত্যু।
এরিমধ্যে একজন ফিসফিসিয়ে বলতে শুনে, ওর বৌ ত ওরে মাইরা ফেলাইতে কয় নাই, কইছি শুধু এমুন মাইর দিতে যাতে মাসখানেক হাসপাতাল থাকতে হয়।