মহাকাশ কি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে কি কি উপাদান নিয়ে গঠিত এগুলো সম্পর্কে জানব | | P-B

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি ভালো আছেন ।শুভ অপরাহ্ন গত পর্বে আপনাদের সামনে মহাকাশ সম্পর্কে বেশ কিছু আলোচনা করেছিলাম । এ পর্বে মহাকাশের আরও বেশ কিছু চমকপ্রদ সুন্দর আলোচনা করব এবং মহাকাশের বেশ কিছু নতুন নতুন তথ্য দিব । মহাকাশ যাত্রা নিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব এবং মহাকাশের অন্য কোনো গ্রহে প্রাণী আছে কিনা , এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করব । এই ব্লগ টি পড়লে আপনারা আরো বুঝতে পারবেন মহাকাশ এবং মনের মধ্যে কতটুকু পার্থক্য ।

মহাকাশ সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে যেগুলো আসলেই অনেক মজাদার । কিন্তু এগুলো ভ্রান্ত ধারণা । মহাকাশের গ্রাভিটি শূন্য এমন একটা কথা আমরা সব সময় শুনি কিন্তু আসলে না । মহাকাশের গ্রাভিটি মোটেও শূন্য না , কিন্তু এর সত্যিকারের গ্রাভিটি জানা খুবই কষ্টকর ।পৃথিবীর চারিদিকে ঘূর্ণায়মান সকল কিছুরই থাকতে বাধ্য কিন্তু এগুলো পৃথিবীতে পড়ে না কারণ এগুলো জালের মত হয়ে আছে এবং দৃষ্টিভ্রম এর কারণে আমাদের কাছে মনে হয় এটি ভাসছে ।

আমরা অনেক সময় ভাবি বুধ গ্রহের তাপমাত্রা অনেক অত্যাধিক । কারণ বুধ গ্রহ সূর্য এর অনেক কাছে থাকে । কিন্তু কথাটা একেবারে ঠিক নয় । কারণ বুধের গড় পৃষ্ঠের তাপমাত্রা 427 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট এর থেকেও বেশি সেন্টিগ্রেট হয়েছে । ভেনাসের প্রায় 460 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট ।

তাছাড়া বুধ গ্রহ সূর্য চারিপাশে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে 88 দিন । অন্যদিকে নিজ অক্ষে 48 ঘণ্টায় প্রদক্ষিণ করে । সে হিসেবে 58 দিনে তার একদিন পুরন হয় এ সময় বুধ গ্রহের তাপমাত্রা 100 73 ডিগ্রি সেলসিয়াস নামে ।

সূর্য নিয়েও আমাদের অনেক কুসংস্কার রয়েছে সূর্যর কথা তাই না বললেই নয় । সূর্য কি আসলে তাপ আর আলো ছড়ায় ? কিন্তু আসলে জানেন কি সূর্য হল একটি গ্যাসের বৃত্ত । আর কিছুই নয় । সূর্যে কোন আগুন বা অন্য কিছুই নাই । এটা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে আলো এবং তাপ উৎপন্ন হয় । সূর্য কোন আগুন বিদ্যমান নেই । সোজা বাংলায় সূর্য হল বিশাল আকৃতির একটি গ্যাসের আধার যেটা আমরা দেখে থাকি একটু অন্যভাবে ।

বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই । এর পরবর্তী পর্ব আরো কিছু সুন্দর সুন্দর তথ্য দিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ।

_{Photos are taken from https://pixabay.com}