মহাকাশ কি কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে কি কি উপাদান নিয়ে গঠিত এগুলো সম্পর্কে জানব | | P-B

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ভালো আছেন ।আমি আজকে আপনাদের সামনে মহাকাশ সম্পর্কে দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করব । গত পর্বে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম মহাকাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এবং এর কিছু তথ্য ।আজকেও এর আরো বেশ কিছু মজার তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে আসলাম ।

আপনারা সবাই হয়তো শুনেছেন নাসা চাঁদের বুকে মানুষ প্রেরণ করেছিল । সেখানে মানুষের ছাপ পড়েছে অর্থাৎ মানুষের পায়ের ছাপ যে পড়েছে । এটা কত বছর থাকতে পারে আপনার ধারনা হ্যাঁ প্রায় 10 কোটি বছর সেই পায়ের ছাপ মহাকাশে রয়ে যাবে । কারণ মহাকাশে কোন বায়ুমণ্ডল নেই । চাঁদে কোন বায়ুমন্ডল নেই এ জন্য সেখানে বাতাসে হবে না সুতরাং সেখানে চিহ্ন মুছবে না ।

একবার এক রাশিয়ান বিজ্ঞানী দল তাদের মহাকাশযানের ভেতর অনেকগুলো আরশোলার প্রজনন করান । সেখানে আরশোলা গুলো প্রজনন করে এবং নতুন প্রজন্মের জন্ম দেয় এবং বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করে দেখেন সেই আরশোলা গুলো পৃথিবীর আরশোলা থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী এবং দ্রুত । এভাবে প্রায় 33 টি আরশোলার জন্ম দেওয়া হয় । প্রতিবছর চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় দেড় ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে ।

যখন মানুষ মহাকাশে সফর করে তখন প্রতিটা মহাকাশচারীর উচ্চতা পৃথিবীর উচ্চতা থেকে প্রায় দুই ইঞ্চি বেড়ে যায় । এটার বিভিন্ন কারণ আছে যেমন মধ্যাকর্ষণ শক্তি কমে যায় , ফলে আপনার শরীরে অংশগুলো ছেড়ে দেয় । এজন্য আপনাকে লম্বা দেখাবে ।মহাকাশে হাজার 1957 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন নামে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রবেশ করায় এরপর থেকেই জগতে আমাদের পদচারণা ।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যেসব নভোচারীরা থাকেন তারা প্রায় প্রতিদিন 15 টি সূর্যোদয় এবং সুর্যাস্ত দেখে থাকেন । আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ও আপেল গাছের একটি নমুনা রয়েছে মহাকাশের গন্ধ একটি বিচিত্র গন্ধ । এখানে চারিদিকে মাংসের গন্ধের মতো গন্ধ মা করে তবে মহাকাশে আপনি কোথাও মাংস পাবেন না শুধু শক্তি হবে ।

তো বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আগামী পর্বে আবারো অনেক বেশি বেশি সুন্দর সুন্দর তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
_{Photos are taken from https://www.pixabay.com}