tiger
ছিল ‘ও’র গল্প। ‘টাইগারের’ গল্প। আমি আমার পুরো গল্পটায় একটা ‘কুকুর’-কে ‘ও’ বলে সম্বোধন করেছি। কেনো করেছি,জানি না। শুধু জানি, এই কুকুরটাই ছিলো আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু, আমার প্রথম খেলার সাথি। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মুহূর্তে সে এসে দাড়িয়েছিলো আমার পাশে। আমাকে দিয়েছিলো সঙ্গ। যেটার আমার সবচেয়ে বেশি দরকার ছিলো তখন। জানিনা ‘ও’র জায়গায় কোন মানুষ থাকলে কি হতো বা আদৌ তার কোন ভুমিকা থাকতো কিনা। তবে ‘টাইগার’ যে ভুমিকা পালন করেছে সেটা আমার কাছে অদ্বিতীয়। জীবনে কোনদিন ভুলবো না সে ভুমিকা। ভোলা যাবেও না। জানিনা এটা বলা ঠিক হবে কিনা, তবে আমার কাছে মনে হয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘পশুরা’ মানুষকেও ছাড়িয়ে যায়। যে জায়গাগুলো হয়তো দখল করার কথা ছিলো কোন মানুষের; সেই জায়গাগুলো কিছু ‘পশু’ দখল করে নেয় খুব সহজেই, জায়গা করে নেয় মনের গহীন কোনে, শুধুমাত্র তাদের কয়েকটা গুনের কারনে। আর এতগুলো গুন নিয়েও কিছু কিছু মানুষ হয়- পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। তাই সম্বোধনের ব্যাপারটা আমার কাছে মূল্যহীন। যাক, ও কথা হয়তো হবে অন্য কোন সময়। আজ আর নয়। মনটা আবারো খারাপ হয়ে গেলো আজকে। আর হয়তো লিখবো না ‘ও’কে নিয়ে। আর এখানেই শেষ হয় ‘ও’র গল্প। আমার বন্ধুর গল্প।