দরজায় কড়া নাড়ছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ।

in #worldcup6 years ago

image.png

দরজায় কড়া নাড়ছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ। শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপের কাউন্টডাউন শো। চায়ের কাপে ঝড় তুলতে প্রস্তুত শত কোটি ফুটবল ভক্ত। যেহেতু ফুটবলের এই বড় আয়োজনে আমাদের বাংলাদেশ খেলছে না,সেহেতু বাংলাদেশি সর্মথকরা কেউ ব্রাজিল,আর্জেন্টিনা কিংবা জার্মানদের সাপোর্ট দিয়ে বিশ্বকাপ উন্মদনায় মেতে উঠবে।

এবারের বিশ্বকাপে সবার আগে রাশিয়ার টিকেট নিশ্চিত করেছিলো ব্রাজিল। এবারের আসরের হট ফেভারিট দল ব্রাজিল। কয়েকটা অন্যতম প্লেয়ারের উপর হেক্সা জয় নির্ভর করছে ব্রাজিলের। তার মধ্যে হেক্সা জয়ের অন্যতম কারিগর নেইমার জুনিয়র।

নেইমার কে ব্রাজিলের প্রান ভোমরা বলা হয়। গত আসরের নিজদের ঘরের মাঠে হেক্সা জয়ের দারুন সুযোগ ছিলো সেলেসাওদের জন্য। কিন্তু কোয়াটারে দলের অন্যতম প্লেয়ার নেইমারের ইনজুরিতে সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। সেমিতে জার্মানদের কাছে অসহায় পরাজয় বরন করেছিলো ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রা। এবারেও সেই আশংকাই দেখা দিয়েছিলো ব্রাজিলিয়ানদের জন্য। পিএসজির হয়ে খেলতে গিয়ে ইনজুরি তে পড়েছিলো। শংকা দেখা দিয়েছিলো বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে। ভক্তদের মুখে নিজেই হাঁসি ফুটিয়েছেন নেইমার। নিজেই জানিয়েছেন বিশ্বকাপ শুরুর বেশ অনেক আগেই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। এ নিয়ে নিজেও কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নিজেই বলেছেন তিনি বিশ্বকাপ মিস করতে চান না।

ব্রাজিলিয়ান এই পোস্টার বয়ের জন্ম ৫ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ , সাধারণত
সবার কাছে নেইমার নামে পরিচিত, যদিও পুরো নাম নেইমার দা সিল্ভা স্যান্তোস জুনিয়র। রের্কড ২২২ মিলিয়নে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজনফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার। তাঁকে আধুনিক বিশ্বের উদীয়মান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়।নেইমার সবার কাছে সবচেয়ে পরিচিত ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তাঁর খেলার ধরন তাকে এনে দিয়েছে সমালোচকদের প্রশংসায়, সাথে প্রচুর ভক্ত, মিডিয়া এবং সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার পেলের সঙ্গে তুলনা। এমনকি ফুটবলের কালো মানিক পেলে নেইমার সম্পর্কে বলেন, "একজন অসাধারণ খেলোয়াড়।”

ব্রাজিলের মগি দাস ক্রুজেসে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার মাত্র ১১ বছর বয়সেই যুব একাডেমীর হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। ২০০৩ সালে সান্তস ফুটবল ক্লাব খেলায় চুক্তিবদ্ধ করেন নেইমারকে। এবং তাঁকে যুব একাডেমিতে খেলানো হয়। সেখান থেকে পথচলার শুরু আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্রাজিলের ১০ নাম্বার জার্সির দায়িত্ব এখন তার কাছেই বহন করছে। এবং সেটার দায়িত্ব সে ভালোভাবে পালন করছে। এবারের বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের উপর নজর থাকবে। তাদের মধ্যে নেইমার অন্যতম একজন।

এই পর্যন্ত নিজ দেশ ব্রাজিলকে বেশ কয়েকটা শিরোপা এনে দিয়েছেন এই ফুটবলার। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপে ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিলেন। সম্ভাব্য সব শিরোপাই জয় করেছিলো ব্রাজিল। কিন্তু একটা জায়গায় গিয়ে জয় করতে পারে নি ব্রাজিল। সেটা হলো অলেম্পিকে গোল্ড মেডেল। যা অধরাই ছিলো ব্রাজিলের কাছে। কিন্তু যাদের কাছে ২০১৪ বিশ্বকাপে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিলো। সেই জার্মানদের হারিয়েই ২০১৬ অলেম্পিকে গোল্ড মেডেল অর্জন করে ব্রাজিল। সেই গোল্ড মেডেল জয় করার অন্যতম কারিগর ছিলেন নেইমার। ফাইনালের মঞ্চে গোল করে দলকে জয় উপকার দিয়েছিলেন। তাইতো ভক্তদের চাওয়া আরো বেড়ে গেছে। তাদের সবার স্বপ্ন নেইমারের হাতেই উঠুক ২০১৮ বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা। শুধু ভক্তকুল না নেইমার নিজেও চায় বিশ্বকাপ জয় করতে। ২০১৮ বিশ্বকাপ যদি নেইমারের হাতেই উঠে তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবেন। এখন দেখার বিষয় নেইমার কি পারবে ভক্তদের চাওয়াটা পূরন করতে?শুভকামনা রইলো নেইমারের জন্য। নিজের জাদুকরী ম্যাজিক দেখিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে সবাইকে মুগ্ধ করেন। সেই আশায় রইলাম।

copy.............. fb/1356686894432981

Sort:  

This post has received a 3.07 % upvote from @drotto thanks to: @akazad.

This post has received a 3.13 % upvote from @speedvoter thanks to: @akazad.

Coin Marketplace

STEEM 0.26
TRX 0.11
JST 0.033
BTC 64359.90
ETH 3105.50
USDT 1.00
SBD 3.87