শ্রীলংকার বিপক্ষে হার এবং বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
স্ক্রীনশট নেয়া হয়েছে Rabbitholebd চ্যানেল থেকে
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশের কিছুটা ভালো হয়েছিলো। অবশ্য ৫১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করার জন্য যেমন শুরু দরকার ততটা ভালোও ছিলো না। ৩৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। মমিনুলের ৫০ আর মিরাজের হার না মানা ৮১ রান ছাড়া আর কেউই তেমন কোন অবদান রাখতে পারেনি। যার ফলে বাংলাদেশ ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এই টেস্টে যদিও সাকিব আল হাসান দলের সাথে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ দলের শক্তি বৃদ্ধি করেছিলো। কিন্তু তিনি ও ব্যাট হাতে কোনো অবদান রাখতে পারেনি। সেটাও একটা কারণ বাংলাদেশের এতো বিশাল ব্যবধানে হারার।
এখন প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের বর্তমান দলের ব্যাটসম্যানরা কি আসলেই টেস্ট খেলার উপযোগী? তাদেরকে সেই ধরনের টেম্পারমেন্ট এবং দক্ষতা রয়েছে? এ প্রশ্নটা বহুদিন থেকেই বাংলাদেশ দলের সাথে লেগে রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই প্রশ্নের তেমন কোনো উত্তর আমরা পাইনি। মমিনুল ছাড়া বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত কোন স্পেশালাইজড টেস্ট ব্যাটসম্যান আমরা দেখিনি। কিন্তু আমরা যদি অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো তাদের টেস্টের জন্য বেশ কিছু দারুণ ব্যাটসম্যান রয়েছে। আসলে টেস্ট খেলাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের খেলা। এখানে আপনার দুর্বলতা গুলো খুব সহজেই প্রতিপক্ষ চিহ্নিত করে ফেলতে পারে। যার ফলে আপনি যদি টেকনিক্যালি সাউন্ড না হন তাহলে আপনার জন্য টিকে থাকা খুব মুশকিল হবে। যেটা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে হচ্ছে। এখন দেখা যাক টেস্ট ব্যাটসম্যানের খরা কাটাতে বাংলাদেশ দলকে আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হয়।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকার টেস্ট সিরিজ তো গত মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হয়েছে। যাইহোক টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ খুবই বাজে দল। এটার প্রমাণ আমরা প্রায় সবসময়ই পাচ্ছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার দিকে তাকালে টেস্ট প্লেয়ারদের ছড়াছড়ি। আর আমাদের দেশে তো মমিনুল ছাড়া জেনুইন কোনো টেস্ট ব্যাটসম্যান ই নেই। সামনে হয়তোবা আরও বাজে পারফরম্যান্স দেখতে পাবো বাংলাদেশ টেস্ট দলের কাছ থেকে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।