সরস্বতী পুজো পরিক্রমা ২০২৪ : পর্ব ৬
নমস্কার বন্ধুরা,
কাঁথি শহরে সরস্বতী পুজো পরিক্রমা শেষ করে চলে গেলাম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আরেক শহর রামনগরে। যারা দীঘা গামী বাসে চাপেন তাদের এই রামনগর খুবই পরিচিত শহর। বন্ধুর বক্তব্য ছিলো, রামনগরে বেশ ভালো ভালো সরস্বতী পুজো হয়। হাতে সময় ও মোটর বাইক দুটোই থাকায় চলে গেলাম রামনগরে সরস্বতী পুজো দেখতে। রামনগর পৌঁছতেও বেশি সময় লাগলো না। আয়তনে ছোট্ট জেলা শহর হলেও রামনগরে এত সুন্দর ভাবনার পুজো মন্ডপ দেখলাম যেটা সত্যি আমাকে আশ্চর্য করলো।
বাগ দেবীর আরাধনায় রামনগরের পরিক্রমায় এসে শহর শুরু হতেই প্রথম যে মণ্ডপটি দেখলাম সেটি ছিলো ক্লাব ছন্দবাণীর। তাদের মন্ডপের পরিকল্পনা সাঁওতালদের বাড়ির আদলে করা হয়েছে। ভারতের সাঁওতাল পরগনায় মানুষজন মাটির বাড়িতে উপরে কালো মাটির পাতলা প্রলেপ দেয় তার উপরে আঁকে নানা ধরনের আলপনা। সেটা বিষয়টিকেই ফুটিয়ে তুলেছে ছন্দবাণী ক্লাবের পুজো ভাবনার মধ্যে দিয়ে। মন্ডপটাকে বিশেষ ভাবে অথেন্টিক করার জন্য পুজো কমিটির মন্ডপের চাল খড়ের বানানো হয়েছে।
মণ্ডপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এখানে দেবী প্রতিমা সাঁওতালদের প্রতিমা বানানোর রীতি অনুযায়ী করা হয়েছে। সারা মন্ডপ জুড়েই জায়গা পেয়েছে নানান আলপনা।
ছন্দবাণীর সুন্দর একটা পুজো মন্ডপ দেখে ধীরে ধীরে রামনগর শহরটার ভেতরে প্রবেশ করে গেলাম। পথে পেলাম জানকী পুজো কমিটির পুজো। চতুর্থ বছরে পদার্পন করে তাদের ভাবনা মেলবন্ধন। বর্তমান সমাজের ভেঙে যাওয়া বন্ধন গুলোকে বাঁচিয়ে তোলার প্রচেষ্টাকে জানকী ক্লাবের পুজো কমিটি তাদের মন্ডপের ভাবনা হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছে। ঈশ্বরের সাথে আমাদের যে অদ্ভুত মেলবন্ধন রয়েছে সেটাই পুজো কমিটি মণ্ডপ সজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।
মন্ডপের একদম সামনে রয়েছে এক বিশাল মনুষ্য ধ্যানরত মুখাকৃতি। দেবী প্রতিমা শ্বেত শুভ্র।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
দাদা আমাদের এখানকার একটি এলাকার নামও রামনগর। যাইহোক ছন্দবাণী ক্লাবের আয়োজন দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। বাড়িটা দেখতে সাঁওতালদের বাড়ির মতোই লাগছে। বিশেষ করে খড়ের চাল দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাছাড়া ছোট্ট পরিসরে জানকী ক্লাব মোটামুটি ভালোই আয়োজন করেছে। তবে তাদের থিমটা ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। ফটোগ্রাফিগুলো চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের যে মেলবন্ধন রয়েছে সেটা খুব সুন্দরভাবে প্রতিমার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে দেখে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপ যেন আলাদা আলাদা সৌন্দর্য বহন করেছে। জানকী ক্লাবের পুজো মন্ডপ যেমন সুন্দর লাগছে তেমনি ছন্দবাণীর পুজো মণ্ডপটিও অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো দাদা।