Better Life with Steem || The Diary Game || May 18, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ১৮ই মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল সাড়ে ছটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। এরপর ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আমি আবর্জনা সংগ্রাহক কাকার জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। কাকা যথারীতি সাতটার সময় ফ্ল্যাটের সামনে এসে পৌঁছালো। আমি ওনার গাড়িতে চার প্যাকেট ময়লা ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে আসলাম। গত কয়েকদিন ধরে আমি ময়লা ফেলতে পারছিলাম না ঠিক সময় আমার ঘুম না ভাঙার জন্য। আজকে ময়লা ফেলে আমি অনেক মানসিক শান্তি পেলাম। এরপর আমি এক কাপ চা করে নিয়ে রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। তারপর আমি দোকানে গিয়ে কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসলাম।। আমি যে যে জিনিসগুলি কিনেছি সেগুলির তালিকা নীচে দেওয়া হলো।
Product | Price in INR | Price in Steem |
---|---|---|
Bread | 10.00 | 0.30 |
Eggs | 28.00 | 0.83 |
Milk | 30.00 | 0.89 |
Mango Lassi | 20.00 | 0.59 |
Cigarettes | 100.00 | 2.95 |
Total | 188.00 | 5.55 |
ঘরে ফিরে আমি অনেকদিন বাদে ডিম দিয়ে ব্রেড টোস্ট বানিয়ে খেলাম। তারপর এক কাপ চা খেলাম।
তারপর ইন্ডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে আমি ঘরদোর সব ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর দেড়টা নাগাদ আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করে ফেললাম। লাঞ্চ করা হয়ে গেলে আমি এক গ্লাস ম্যাঙ্গো লস্যি খেলাম। তারপর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি এক কাপ চা বানিয়ে খেলাম। তারপর ড্রেস চেঞ্জ করে নিয়ে আমি হাঁটতে বের হলাম। চলার পথে একটা ছোট লেকের পাশ দিয়ে আমি আসছিলাম, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
এরপর ঘরে ফিরে বারান্দায় মেলে রাখা সব জামাকাপড় আমি ঘরে তুলে ফেললাম। তারপর সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর অল্প কিছু পোস্টে কমেন্ট করে আমি মুভি দেখতে বসলাম। গতকাল যে মুভিটা আমি দেখছিলাম জারা হাটকে জারা বাঁচকে নামে, সেই মুভিটা আমার সম্পূর্ণ দেখা হয়নি। তাই আজকে আমি ওই মুভিটা দেখে শেষ করবো।
রাত দশটার মধ্যে আমার মুভি দেখা শেষ হয়ে গেলো। এরপর দিদি আসলে আমি দিদির সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম। তারপর ও বাড়ি চলে গেলে আমি ডিনার করে নিলাম। এরপর কিছুক্ষণ ইউটিউবে গান শুনে নিয়ে আমি ঘুমাতে চলে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১৮ই মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1792179660266086777
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ময়লা ফেলার কাকা এসে উপস্থিত হল। আপনি আপনার ময়লা ফেলার কাজ সম্পূর্ণ করে নিজের ঘরের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে, বাজার করে নিয়ে আসলেন। একা থাকলে সবকিছু নিজেকেই করতে হয়। যাই হোক এরপর ব্রেড টোস্ট তৈরি করে খেয়েছেন, আপনাকে অনুরোধ করবো ম্যাংগো লাচ্ছি তৈরি করার রেসিপিটা, অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বেশ কয়েকদিন আমি ময়লা ফেলতে পারিনি সঠিক সময় আমার ঘুম না ভাঙ্গার দরুন। আজকে ময়লা ফেলে আমি মনে অনেক শান্তি পেলাম। অনেক দিন বাদে আমি ডিম টোস্ট বানিয়ে খেলাম। যদিও ম্যাঙ্গো লস্যি আমি বানাতে পারি কিন্তু এই ম্যাঙ্গো লস্যি আমি কিনে খেয়েছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আজকে ময়লা ওয়ালা কাকা ময়লা নিতে আসার পরে তাকে একসাথে চার প্যাকেট ময়লা দিয়েছেন, আর এটা করতে পেরে আপনি একজনের মানসিক শান্তি অনুভব করেছেন।
সত্যি বলতে এই জিনিসটা আমারও হয়। কয়েকদিন যদি বুয়া না আসার ময়লা ফেলতে না পারি তাহলে একজনের অস্থিরতা কাজ করে।যদিও আমি চেষ্টা করি আমার হাজবেন্ড আর ছেলেদেরকে পটিয়ে ময়লাটা নিআে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় একটা সমস্যা হলে ময়লা নিয়ে লিফটে নামানো নিষেধ। নয় তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে কেউ লিফটে ময়লা নিয়ে নামতে চায় না।
এরপর আপনি ঘরের বাকি কাজগুলো করে ফেলেন। বিকেলে হাঁটতে বের হয়েছিলেন আর লেকের পাশ দিয়ে আসার সময় ছবিও তুলে এনেছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পরে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আজকে ময়লা ফেলতে পেরে আমি মনে যথেষ্ট শান্তি পেয়েছি। আবহাওয়া ঠিক থাকলে আমি রোজই বিকেলবেলায় হাঁটতে বের হই, সে নিজের বাড়িতেই হোক বা শ্বশুরবাড়িতেই হোক। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সত্যি বলতে আমার ও এমন টা হয়। বাড়িতে ময়লা থাকলে কখন ফেলবো সেই চিন্তা করি। আমাদের এখানেও বাড়িতে ময়লা নিতে আসে।একা থাকলে নিজেকেই সব পরিশ্রম করতে হয়।যায় হোক সারাদিন আপনার খাওয়া বেশ ভালোই ছিল। আপনার পোস্টটা খুব সুন্দর হয়েছে।
ময়লা ফেলা নিয়ে আমি যথেষ্ট টেনশনে থাকি। খাওয়া-দাওয়া নিঃসন্দেহে বেশ ভালই হয়েছিল। সাথে আর কেউ না থাকলে এই এক সমস্যা, সমস্ত কাজ নিজেকেই করতে হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট সময় নিয়ে করে কমেন্ট করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাদের ওখানে জিনিসপত্রের দাম বেশ কম বলে আমার কাছে মনে হলো। সবচেয়ে দামি ছিল সিগারেট। আপনি নিশ্চয়ই ধূমপান করেন।
দুপুরে খাওয়ার পরে আমের লাচ্ছি খেলেন। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে খেতে। সব মিলিয়ে চমৎকার দিন কাটালেন আপনি।
ধূমপানের পেছনে আমার সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। এই গরমে দুপুরে খাওয়ার পর আমের লস্যি খেতে আমার দারুন লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
বাসায় ময়লা জমে গেলে ভীষণ একটা বাজে অনুভুতি হয়ে থাকে। যাক শেষ পর্যন্ত ময়লা ফেলতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। বাসার সব কাজ আপনাকেই করতে দেখে বেশ গর্ব হয় আপনার উপর, একা হাতে সব কিছু সম্পন্ন করেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ময়লা ফেলাটা দিনকে দিন আমার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দেখছি। শেষ পর্যন্ত ময়লা ফেলতে পারি আমি অনেক মানসিক শান্তি পেয়েছি। আমাকে নিয়ে গর্ব করার কোনো কারণ আমি দেখছি না। ঠ্যালার নাম বাবাজি, তাই সব কাজ আমাকে করতে হচ্ছে।
ঠ্যালার নাম বাবাজি, এটা কিন্তু বেশ ভালো বলেছেন আপনি। খুলনাতে থাকলে আমার এমন নিজে রান্না করে খেতে হয়, তখন বাড়ির কথা খুব মনে পড়ে। বন্ধ বাসায় একদিন ময়লা ফেলতে বা পারলে সেটা অস্থিরতার কারণ হয়ে দাড়ায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম টোস্ট খেতে আমি অনেক পছন্দ করি মাঝেমধ্যেই খাওয়া হয়।
তবে আপনি কিন্তু বেশ সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন দেখতেই অনেক লোভনীয় লাগছিল।
সারাদিন কেনাকাটা রান্নাবান্নার মাঝে কেটেছে আপনার দিনটা আপনার দিনটা শুভ হোক সে প্রার্থনাই করছি।
ডিম টোস্ট আমিও খেতে খুব ভালোবাসি তবে মাঝখানে অনেকদিন খাওয়া হয়নি। অনেকদিন বাদে আমি ডিম টোস্ট বানালাম। নিজের রান্নার প্রশংসা করছি না তবে খেতে কিন্তু খুব ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য।
দীর্ঘ চার দিন পর আপনি ময়লা ফেলতে পেরেছেন। যাক মাথার উপর থেকে একটা টেনশন কমে গেছে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রেড টোস্ট বানিয়ে খেয়েছেন।
পরে বাজারে গিয়ে অনেকগুলো বাজার করেছেন।
আপনার দেখি রাতের বেলা মুভি দেখার বেশ ভালোই অভ্যাস হয়েছে। আমিও এক সময় অনেক মুভি দেখতাম। কিন্তু এখন আর এত সময় ধৈর্য ধরে মুভি দেখতে ভালো লাগে না।
সারাদিনের মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার আবার মুভি আর ওয়েবসাইট দেখতে খুব ভালো লাগে। এটা আমার এক রকম নেশার মতো হয়ে গেছে বলতে পারেন। আমি চেষ্টা করছি এই নেশাটা কমানোর আর আরো বেশি করে কমেন্ট করার। এই ব্যাপারে আপনি আমার অনুপ্রেরণা। আপনি নিজের জব সামলেও প্রত্যেক সপ্তাহে খুব ভালো সংখ্যায় কমেন্ট করেন।