বৃষ্টির ছোয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ14 days ago

image.png

image source

বেশ কিছুদিন আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম তখনকার গরমের পরিস্থিতি নিয়ে। সত্যি বলতে , আমি এতটাই তিক্ত ছিল এই অসহ্য গরমের প্রতি সেটা আপনাদের বলে বুঝতে পারবো না। এই বছরের গরম আমার সারাজীবন মনে থাকবে। এতো অসহ্যকর গরম আমি আগে কখনো সহ্য করিনি। যাই হোক , এই মাসের শুরুতে কিছুটা বৃষ্টি হওয়াতে বেশ কিছুদিন শান্তিতে থাকতে পেরেছিলাম কিন্তু আবার মাঝ দিয়ে এমন গরম শুরু হয়েছে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে যাওয়ার মতো গরম। এইসব বিষয় গত পোস্ট এ আলোচনা করেছিলাম। তার ২-৩ দিন পর থেকে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হওয়া শুরু করেছে। সত্যিই আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আবহাওয়াটাকে আবার ঠান্ডা করে দেয়ার জন্য।

গরম নিয়ে গত পোস্টটি লিখার কিছুদিন পর সামান্য বৃষ্টি হওয়ার কারণে মুহূর্তের মধ্যেই সব কিছু শীতল হয়ে যায়। বেশি একটা বৃষ্টি হয়নি যদিও , তবে বৃষ্টিটা হয়েছিল রাতের বেলা সেই জন্য মুহূর্তের মধ্যে আবহাওয়া শীতল হয়ে উঠে। এই বৃষ্টিটাই যদি দিনের বেলা হতো তাহলে আবহাওয়া আগের মতোই গরম থেকে যেত। আসলে দিনের বেলা বৃষ্টি হলে রোদের কারণে বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও আবার গরম পরে যেত , আর এখন রোদের যে তীব্রতা মুহূর্তের মধ্যেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক , ওই সামান্য বৃষ্টিই শান্তি বয়ে আনে আমাদের মাঝে। আবার বৃষ্টি হওয়ার পর খানিক ঠান্ডা বাতাসও বয়েছিল। সত্যিই দারুন লাগছিলো তখন।

আমাদের এই পৃথিবীর জলবায়ু দিন দিন পরিবর্তন হচ্ছে। ব্যাপারটা এমন না যে গরমের সময় অতিরিক্ত গরম লাগছে। আমাদের দেশের ঋতু মোট ৬ টি। কিন্তু ঋতু দিন দিন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশ হচ্ছে নাতিশীতোষ্ণ। না গরম না শীত কিন্তু এখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে গরমের সময় প্রচন্ড গরম পড়ছে আবার শীতের সময় হাড় কাঁপানো শীত পড়ছে। গত বছর শীত এর কথা যদি বলি তাহলে প্রচন্ড রকমের ভয়ানক শীত পড়েছিল। আস্তে আস্তে আমাদের পৃথিবীর জলবায়ু যে পরিবর্তন হচ্ছে তাতে কোনোই সন্দেহ নেই।

এই জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ কিছু মানব সৃষ্ট সব কার্য কলাপ গুলোই। অতিরিক্ত কার্বনডাইঅক্সাইড এর কারণের দিন দিন আমাদের পৃথিবী গ্রীন হাউস এর মতো পরিণত হচ্ছে। যেটা কিনা অতিরিক্ত গরম পড়ার অন্যতম একটা কারণ। গরম এর পাশা পাশি আরো নানান রকম সমস্যা রয়েছে যেমন বরফ গলে যাওয়া। শীতপ্রধান দেশ যেমন এন্টার্কটিকা সেখানে যেমন বিশাল বড় বড় বরফ এর পাহাড় সেইগুলো অতিরিক্ত গরমের কারণে গলতে শুরু করেছে এবং সেই পানি গুলো সমুদ্রে মিশে পানির উচ্চতা বাড়াচ্ছে যার কারণে নিচু দেশ গুলো খুবই বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে তলিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা যদিএখনও সতর্ক না হই তাহলে এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখা সত্যিই অনেক কষ্ট কর হবে।

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 14 days ago 

বৃষ্টি সত্যিকার অর্থেই আল্লাহর অসীম কৃপা আমাদের জন্য। তবে এই বছরের গরম আমারও আজীবন মনে থাকবে। কিন্তু কিছু কিছু নিউজ থেকে জানা যাচ্ছে আগামী বার আরও প্রচন্ড গরম বাড়বে। সত্যিই এগুলো ভয়ানক বিষয়। পরিবেশের উপর আমরা প্রভাব ফেলছি ঠিক তেমনি পরিবেশও আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে। সুতরাং আমাদের উচিত এখন থেকেই এগুলোর প্রতি সচেতন হওয়া নতুবা ভবিষ্যতে আমাদের আরো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। সর্বোপরি এটাই বলব আমাদের সকলের উচিত এখন থেকেই পরিবেশকের বাঁচানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

 14 days ago 

আমাদের এখানেও আজকে এবং গতকালকে অল্প কিছুক্ষণ বৃষ্টি হয়েছিল। তবে দিনের বেলা বৃষ্টি হওয়াতে ওয়েদার ততোটা ঠান্ডা হয়নি। কিন্তু রাতের বেলা দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি হলে আবহাওয়া একেবারে শীতল হয়ে যায়। তবুও এই কয়েকদিনের গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে এমন বৃষ্টি হলে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক আপনাদের দিকে রাতের বেলা বৃষ্টি হয়েছে, জেনে খুব ভালো লাগলো আপু। আশা করি সারাদেশে বৃষ্টি হবে কয়েকদিনের মধ্যেই। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 14 days ago 

সত্যি ই আপু অনেক গরম পরেছিল।তবে বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের এখানে বৃষ্টি না হলেও ওয়েদারটা মেঘলা মেঘলা।তাই কিছুটা স্বস্তি। আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হলো রাতে।তাইতো শীতল হলো চারপাশ।এই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে আমাদেরকেই।ধন্যবাদ আপু চমৎকার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 13 days ago 

হ্যাঁ আপু আমাদের দেশের জলবায়ু বেশ পরিবর্তন সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে গরমের সময় প্রচন্ড গরম আর শীতের সময় প্রচন্ড শীত অনুভূতি হচ্ছে কিন্তু দিন দিন যে পরিবর্তন এসে গেছে হয়তো এতে মানব সমাজের জন্য একটু হুমকিস্বরূপ। তবে যা হোক আপনার সুন্দর আলোচনা দেখে ভালো লাগলো।

 13 days ago 

এবার আসলেই আপু মনে রাখার মতই গরম পড়েছে। তবে ইদানিং দেখছি একটু বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে কিছুটা ঠাণ্ডা হয়েছে পরিবেশ। যাইহোক, জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য কিন্তু আমরাই মূলত দায়ী, এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। আর এর কারণে বায়ুতে দিনের পর দিন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে এবং বড় বড় বরফের পাহাড় গলে যাচ্ছে । যা আমাদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আসলে আমরা কেউই বুঝতে পারছি না যে, আজ থেকে ৫০ বছর পর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কি অবস্থা হবে।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 68362.67
ETH 3798.22
USDT 1.00
SBD 3.49