গোবরে পদ্ম ফুল
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
এই উক্তিটি আমরা ছোটবেলা থেকেই কিন্তু অনেকবার শুনে আসছি। কিন্তু কখনো হয়তো সেভাবে দেখার সৌভাগ্য হয় না কিংবা কখনো কখনো সেই সৌভাগ্যটা হয়েই যায়। অর্থাৎ গোবরে পদ্মফুল একটা রূপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও এটার সত্যতা কিন্তু একেবারে ১০০% খাঁটি। কারণ ধরুন আমরা বিভিন্ন সময় কিন্তু আমরা আমাদের জীবনে বোর্ড পরীক্ষাগুলো দিয়েছি। ওল্ল যে পরীক্ষাগুলো একটু মানুষের মুখে মুখে বেশি থাকে এবং সবাই রেজাল্ট জিজ্ঞেস করে। সে ধরনের পাবলিক পরীক্ষাগুলো কম বেশি আমরা সবাই দিয়েছি এবং আমাদের জীবনে আমাদের পড়াশোনাতে আগাতে হলে। সেই ধরনের পরীক্ষাগুলো আমাদের দিতেই হয়।
সেইসব পরীক্ষা দেওয়ার পরে যখন রেজাল্ট বের হয়। তখন দেখবেন যে কিছু স্টুডেন্টের নাম সব পেপার পত্রিকায় দেওয়া থাকে এবং তাদের নাম এই কারণেই দেওয়া থাকে যে, তারা হয়তো খুব গরীব ঘর থেকে কিংবা একেবারে যার বই খাতা কেনার ও সামর্থ্য ছিলো না। সেই অবস্থা থেকে অনেক ভালো রেজাল্ট করে ফেলেছে। এবং শুধু তাই হয় না, অনেক সময় তারা বিভিন্ন জেলা কিংবা বিভিন্ন বিভাগে টপ করে কিংবা একেবারে প্রথমদিকের রেংকিং এ থাকে।
ব্যাপারটা ভাবতেই কতো অবাক লাগে! তাই না? কারন এই যে আমরা এত টাকা পয়সা খরচ করে এতো কিছু করেও হয়তো সেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফলটা পাই না কিংবা পেলেও হয়তো আমরা যতটুকু চাই ঠিক ততোটা পাই না। কিন্তু যাদের এতো অভাব, একটা খাতা, কলম পায়না। যারা রাত্রে পড়ার জন্য আলো পায় না। তাদের রেজাল্ট ই অসম্ভব ভালো হয়ে যায়।
আসলে তারা হলো সত্যিকারের পদ্মফুল। কারণ তারা এতোটা অভাব অনটন সত্ত্বেও। এতোটা দুঃখ, কষ্ট সত্য সবকিছুকে পিছনে ফেলে তারা বর্তমানটাকে জয় করে নেয়, ভবিষ্যতের ভালোর জন্য। এবং এই কথাটি তাদের সাথে একেবারে খাঁটি হলেও পরবর্তীতে। কিন্তু তারা আর গোবরে পদ্মফুল হয়ে থাকে না। তারা পদ্মবিলের পদ্ম ফুল হয়ে যায়। কারণ তারা তাদের চারপাশটাকেও এভাবে করে রাঙিয়ে দেয়।
পরিশ্রম যে করবে সফলতা সেই পাবে। হোক সে গরিব ঘরের কোন সন্তান কিংবা বড়লোকের সন্তান। তবে অনেক সময় ব্যতিক্রমধর্মী কোন কিছু ঘটে যায়। আমাদের দেশের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যারা স্টাডি দিয়ে টপ লেভেলে পৌঁছায় তাদের মধ্যে অধিকাংশরাই নিম্নবিত্ত পরিবারের। আর এরকম গোবরে পদ্মফুল ফোটার পরেও তারা একটা সময় সোনালী পদ্মফুলে পরিণত হয় সফলতার মধ্য দিয়ে। এটাই হচ্ছে আসল বাস্তব। শিক্ষাঙ্গনের বাস্তবিক দিক তুলে ধরেছেন আপনি যেটা বাস্তবিক জীবনের সত্য।
বাহ্! দারুণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন তো। নিউজপেপার কিংবা টিভিতে মাঝেমধ্যে যখন দেখি একেবারে গরীব মানুষের সন্তান এতো ভালো রেজাল্ট করেছে, তখন মনের মধ্যে অটোমেটিক প্রশ্ন চলে আসে তাহলে আমরা কি করলাম। আসলে যারা প্রচুর পরিশ্রম করে, দিনশেষে তারাই সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে পারে। নয়তোবা আমরা এতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও, এতো ভালো রেজাল্ট কেনো করতে পারিনি। নিশ্চয়ই আমাদের প্রচেষ্টার মধ্যে অনেক ঘাটতি ছিলো। যাইহোক গোবর পদ্মফুল দেখলে আমার বেশ ভালো লাগে। এতে করে অনেকেই উৎসাহিত হয়।