লাইফ স্টাইল :- নিজের জন্য জুতা কেনার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

ঈদের সময় জুতা কিনতে যাওয়ার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।রমজানের ঈদের সময় আমাদের পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছিলাম। কিন্তু সবার জন্য কেনাকাটা করলাম। শুধু একমাত্র আমার কেনাকাটা বাকি ছিল। যদিও কিছু কিনা কাটা আমার ওয়াইফ করেছিল আমার জন্য। কিন্তু আমার পায়ের জুতা কিনে নাই। কারণ সঠিকভাবে আমার জুতার মাপ তার জানা নেই। এই কারণে ঈদের সময় কিনতে একটু দেরি হয়েছিল। ঈদের দুইদিন আগে আমার ওয়াইফ বলতেছে জুতা কিনার জন্য। আমি বলেছি জুতা কেনা লাগবে না এখনো আগের জুতাগুলো আছে। কিন্তু সেই শুনতে রাজি না।

এবং আমার ওয়াইফ বলতেছে জুতার টাকা সেই নিজে দিবে তারপরও জুতা কিনতে হবে। এরপর আমি তাকে বললাম ঠিক আছে তবে আমি সকাল বেলা যেতে পারবো না সন্ধ্যার পর যেতে পারবো। কারণ সকাল বেলা আর বিকেলবেলা মাদ্রাসা এবং প্রাইভেট থাকে। সেও মোটামুটি রাজি হয়েছিল। এরপর আমি ঠিক করেছি এশারের নামাজের পর কেনাকাটা করতে যাব। যদি আমি প্রথম অন্য জিনিস কিছু কেনাকাটা করলাম। তারপর জুতা দোকানে গেলাম দেখতেছি জুতা পছন্দ হয় কিনা। তবে জুতা দোকানের কথা শুনে আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম।

তার দোকানে কোন দুই নম্বর জুতা নেই। সব জুতা এক নম্বর। এবং জুতার দাম ফিক্স টাকা হবে না। আসলে ঈদের সময় দোকানদার গুলোর ভাষণ গুলো অনেক বড় বড় হয়ে যায়। তারপর আমি আমার ওয়াইফ দুইজন জুতা পছন্দ করতে লাগলাম। তবে আমি কিনা কাটা করার সময় তেমন বেশি জিনিস দেখিনা। তবে জুতার পছন্দটা আমার ওয়াইফের কাঁধে তুলে দিলাম। আমার ওয়াইফ যেই জুতা পছন্দ করবে ওই জুতায় আমি কিনব। এরপর আমার ওয়াইফ অনেকগুলো জুতা দেখতেছে। লাস্ট পর্যন্ত এই জুতাগুলো তার পছন্দ হয়েছে। শুধু আমি পায়ে দিয়ে ঠিক আছে কিনা এটা দেখব। তবে জুতাগুলো আমার কাছে দোকানদার ৮০০ টাকা চাইলো। আমি বলতেছি জুতার দাম অনেক বেশি। এই জুতা কখনো ৮০০ টাকা হবে না।

এখন দোকানদার বলতেছে আপনি ৫০ টাকা কম দিয়েন। তারপরও আমি বলতেছি জুতা গুলোর দাম বেশি। যদিও ওই সময় নামাজের কারণে দোকানে কাস্টমার ছিল না তেমন। এই কারণে দোকানদারের সাথে জুতার দাম করতে পারলাম না। একপর্যায়ে আমি এই জুতা গুলো ৫০০ টাকা বললাম। দোকানদার বলতেছে ৭০০ টাকা দিলে দিতে পারব। এরপর আমি তাকে বলতেছি ৭০০ টাকা জুতাগুলো হবে না। লাস্ট পর্যন্ত এই যাত্রা গুলো 650 টাকা দিয়ে আমি কিনেছি। তবে জুতাগুলো পায়ে দিতে আরাম। তবে এই জুতা অনেক সাইজের দেখিয়েছিল দোকানদার। যখন দোকানদার এই জুতাগুলো আমাকে প্যাকেট করে দিল তখন আমার কাছে একটু সন্দেহ লাগলো।

এরপর আমি জুতা গুলো আবার চেক করার জন্য বললাম। সত্যি জুতা গুলো চেক করে দেখতেছি একটি ৪২ আর একটি ৪৩ সাইজের জুতা দিয়েছে। পায়ের জুতাগুলো বড় ছোট। এরপর আমি দোকানদারকে বলতেছি আমি এখান দোকানে জুতা না দেখে নিয়ে গেলে কি যে হতো। কারণ এই জুতা গুলো আমি ঈদের দিন বাইর করতাম। দোকানদার ও তার ভুল বুঝতে পেরে বলতেছে আমারও লস হইত। কারণ এই জুতা আমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারতাম না। আসলে কেনাকাটা করতে গেলে একটু সচেতন থাকা দরকার। এই হচ্ছে আমি জুতা কিনার মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আমার এই জুতা কিনার পোস্ট দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।