গল্প :-পরকীয়া প্রেমের কারণে ছেলে মেয়ের জীবন নষ্ট।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। গল্পটি হচ্ছে আমাদের এলাকার দূর সম্পর্কের ভাতিজির কথা। একটি ফ্যামিলিতে দুইটি সন্তান এবং একটি মেয়ে আছে। মেয়েটির নাম হচ্ছে সুমি।আর মেয়েকে তার মা-বাবা অনেক আদর করতেন। এবং সুমি আমাদের স্কুলে লেখাপড়া করতেন। স্কুল জীবনে সুমি অনেক চঞ্চল ছিল। রূপের একটু ঘুমান ছিল তার কাছে। স্কুলে পড়ালেখা করার সময় মোবাইলে এক ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল।
তবে ওই ছেলেটি আমাদের এই জেলার না। অন্য জেলার ছেলের সাথে তার প্রেম ছিল। এবং ছেলেটির সাথে দুই একবার দেখাও করেছিল সুমি। যদিও ব্যাপারটি সুমির বাবা এবং বড় ভাই জেনে যায়। এবং সুমিকে বারণ করেছে তার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে নিলেন। ওই সময় সুমি মাত্র দশম শ্রেণীতে পড়তেছে। সমীর বাবার দেশে কৃষি কাজ করে। এরপর সুমির বাবার তাড়াতাড়ি তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছে। কারণ সুমির চলাফেরা একদম ভালো না। এবং আমাদের এলাকায় তার জন্য বিয়ে ঠিক করলেন। সুমি দেখতে এমনিতে বেশ সুন্দর।
বিয়ের আগের দিন দুপুর বেলা থেকে সুমিকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রথমে তার ফ্যামিলি তাকে গোপনে খুঁজতে লাগলো। এবং সন্ধ্যার সময় জানাজানি হয়ে গেল সুমি পালিয়ে গিয়েছে। কেবা কার সাথে গেল ওই সময় ধারণা করতে পারে নাই। অনেকে বলতো সুমি দুই তিনজনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এদিকে তার বাবার মাথা দিয়ে একদম ছোট করে ফেলেছে সুমি। পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর জানা গেল সে নোয়াখালীর ছেলেটির সাথে পালিয়ে গেল। যদিও এই নিয়ে সুমির বাবা এবং বড় ভাই মানুষের কাছে অনেক ছোট হয়েছে। এবং সুমি পালিয়ে যাবার ৬ মাস পর তার বাবা তার স্বামীর বাড়িতে গেল।
আসলে বাবার মন বলে কথা। এরপর সুমির বাবা তাদের বিয়েটি মেনে নিল এবং আসার সময় সুমি ওর হাসবেন্ডকে সাথে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসলো। বাড়িতে আনার পর তার বড় ভাইকেও বোঝানোর পর সেও রাজি হয়ে গেল। এরপর সুমির বাবা মোটামুটি বাড়ির আরো কয়েকজন লোককে নিয়ে সুন্দর করে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করল। এবং সুমির হাজবেন্ড নাকি দেখতে শুনতে অনেক সুন্দর। শুধু সুমির স্বামীর বাড়ি অনেক দূরে এটাই সবাই বলতেছে। এরপর সুমির ঘরে একটি সুন্দর মেয়ে সন্তান হল। এবং এই ছেলের সন্তান নিয়ে সুমি এবং সুমির হাজব্যান্ড ওয়াইফ খুশি। হঠাৎ করে তাদের ছেলের বয়স যখন দুই বছর হলো তখন তৃতীয় এক ব্যক্তির কারণে সুমির সংসারে অশান্তির শুরু হল।
সুমির হাজবেন্ডের মামাতো ভাইয়ের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক হয়ে গেল। তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হল। এবং সুমির হাজব্যান্ড নাকি তার মামাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলে দেখা করেন এটি নাকি সুমির হাজব্যান্ড জানে। যদিও সুমি বলেছে তার সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। একবার সুমি তার মামাতো দেবরের সাথে নাকি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তার কন্যা সন্তানটি রেখে। এরপর তার হাজব্যান্ড তাকে বুঝিয়ে ঠিক করেছে। বলতেছে আমি তোমাকে প্রেম করে বিয়ে করলাম। আমাকে মানুষের কাছে ছোট করো না।
(চলবে )
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
ভাইয়া এই ধরনের অনেক ঘটনা আমাদের সমাজে এখন অহরহ ঘটছে। যেহেতু সুমি একবার প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে, তারপর আবার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে ।ব্যাপারটা সত্যি ভীষণ খারাপ হয়েছে তার পরিবারের জন্য ।আর এই পরকীয়া প্রেমের কারনে কত ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যায় সেটা যারা পরকীয়া করে তারা একবার চিন্তাও করে না তারা কি ভুল করছে। পরবর্তী পর্বে কি হয় জানার অপেক্ষায় রইলাম।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পরকীয়ার কারণে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। আর পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করব আপু।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1784949142856626292?t=bAbTAySLtj6XdPiGDXJD4Q&s=19
আপনার এই গল্পটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে সুমি নামের মেয়েগুলো অনেক সুন্দরী হয় আর এরা প্রেম করতে বেশি পছন্দ করে । গল্পটি পড়ে একটা জিনিস আমি বুঝলাম সুমি বাবা ভাই মুখ না রেখে পালিয়ে বিয়ে করলেও ঠিক ছয় মাস পর তার বাবা তাকে দেখতে যাই এবং সব মেনে নিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে। আসলে বাবার মন তো সন্তানেরা যত বড়ই ভুল করুক না কেন মনের মধ্যে অভিমান পুষে রাখতে পারে না। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত পরকীয়া হোক বা প্রেম হোক যাই করি না কেন বাবা মার ও ফ্যামিলির সম্মান এর কথা চিন্তা করা। আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে প্রেম করে বিয়ে করা। এবং অন্য কোন সম্পর্ক জোড়ালে বাবা ভাইয়ের মুখ এমনিতে ছোট হয়ে যায়। সুন্দর মন্তব্য করেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে বর্তমানে পরকীয়া একটি খারাপ ব্যধিতে পরিণত হয়ে গেছে। বিশেষ করে গ্রামে গঞ্জে গেলেই দেখা যায় পরকীয়া কত ভয়াবহতা আকার ধারণ করেছে। তবে শহরে আরো অনেক বেশি কিন্তু শহরের গুলো তেমন চোখে পড়ে না। সুমি তো তার পছন্দের ছেলের সাথে পালিয়ে গেল। সেই সাথে আবারো সন্তান রেখে এ ধরনের কর্মকান্ড করতেছে। যাদের অভ্যাস খারাপ তারা সব সময় এই ধরনের কর্মকান্ড গুলো চালিয়ে যেতে থাকে।
এটি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের সমাজে বর্তমান পরকীয়া একটি খারাপ ব্যধিতে পরিণত হয়ে গেছে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। সুমির ঐটা ভালোবাসা ছিল না তাহলে। যদি কারো প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে সেই মানুষ কখনো অন্য মানুষের কথা ভাবতেই পার না পরকীয়া তো অনেক দূরের কথা। এদিকে সুমি বাবা মায়ের মানসম্মান ও ডুবিয়ে দিল। আবার পরবর্তীতে গিয়ে ঐ ছেলের সাথেও একটা অন্যায় শুরু করেছে। যাইহোক পরবর্তীতে দেখি কী হয়।
আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষ কি করে নিজেও বোঝেনা। তবে আপনার মন্তব্য শুনে আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
বর্তমান সময়ে কি আর বলবো ভাই। পরকীয়া প্রেমের কাহিনী দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে সুমি বিয়ে করলো। এর পরে আল্লাহর রহমতে সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলো। এর পরে আবার সুমি নতুন পরকীয়া প্রেমের সাথে জড়িয়ে গেলো। আসলে কিছু বলার নেই। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
বর্তমান সময়ে প্রেম করে বিয়ে করার পরও নতুন পরকীয়া লিপ্ত হয় । তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
বর্তমান সময় পরকীয়া প্রেম ক্যান্সারের মতো হয়ে গেল। আসলে সুমি দূর এলাকার একটি ছেলের সাথে প্রেম করে বিয়ে বসলো। বলতে গেলে তাদের সুখী পরিবার। আর এই সুখী পরিবারের মধ্যে অন্য একটি ব্যক্তির কারণে অশান্তি। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের কারণে ফ্যামিলিতে অশান্তি হয়। তবে এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে সুমির কারণে তার ফ্যামিলিতে অশান্তি হচ্ছে। দেখি পরে পর্ব কি হয় সেই অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি পরের পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
হ্যাঁ বর্তমান সবাই পরকীয়া প্রেম ক্যান্সারের মত হয়ে গেল। সুন্দর মন্তব্য করে সাপোর্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। এই ধরনের ঘটনা আশেপাশে অহরহ ঘটে চলেছে। মেয়েরা যেমন এই সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে তেমনি ছেলেরাও এই সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে আর মাঝখানে পড়ে নিষ্পাপ সন্তানের ক্ষতি হচ্ছে। তারা এগুলো করে কি আনন্দ পায় কিংবা কি লাভ হয় বুঝিনা। এতে দু'টো জীবন যেমন নষ্ট হয়ে যায় তেমনি পরিবারের বাকি সদস্যদের কেও অসম্মান করা হয়। সুমি মেয়েটির চরিত্র এতটা খারাপ জেনে অবাক হলাম। প্রেম করে বিয়ে করে আবার কিভাবে সে পরকীয়া করে বুঝি না। তার উপর আবার তার এত সুন্দর দুটি সন্তান রয়েছে। যাই হোক পরবর্তীতে কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আসলে এরকম ঘটনা এখন চারপাশে শোনা যাচ্ছে৷ অনেক আগে থেকে এরকম ঘটনা গুলো ঘটে আসছে। পরকীয়া প্রেমের মধ্যে তারা কি পায় সেটি আমি বুঝি না৷ আসলে এর মূল কারণ হচ্ছে তাদের মন মানসিকতা৷ তাদের মন মানসিকতা ঠিক না হওয়ার কারণে তারা প্রতিনিয়ত পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে যেরকম মেয়েরা তাদের জীবন নষ্ট করছে ছেলেরাও তাদের জীবন নষ্ট করে ফেলছে৷ ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
সুন্দরী চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে সুমি।চলাফেরায় বেখেয়ালি। বাবা বিয়ে ঠিক করাতে বিয়ের দিন পালিয়ে বিয়ে করে।ভালোই চলছিলো তাদের সংসার পরিবারের সবাই মেনেও নিয়েছে কিন্তুু বরের মামাত ভাইয়ের সাথে সম্পর্কের কারনে সংসারে অশান্তি। আসলে ভাইয়া এরকম অহরহ সুমি আছে চারপাশে সামাজিক অবক্ষয় এগুলো।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।