কলকাতা ফেরা
নমস্কার বন্ধুরা,
বেশ কদিন বাড়িতে বেশ ভালোই কাটছিলো। যদিও সারাদিন নানা অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতেই কেটে যায় তবুও সেগুলো বোঝা যায় না কারণ হলো আবহাওয়া। যখন কলকাতা থেকে বাড়ি পৌঁছেছিলাম তখনই আবহাওয়ার আকাশ-পাতাল তফাৎ বুঝতে দেরী হয়নি। কলকাতায় যেখানে ৪২ থেকে ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা, অথচ অনুভূতিটা ৪৭ কিংবা ৪৮ ডিগ্রির মতন। সেখানে বাড়িতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল তবে এখানে ৩৮ ডিগ্রির অনুভূতি ৩৮ ডিগ্রিই। তাই আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম যত সময় বাড়িতে থেকে যাওয়া যায়। কিন্তু কলকাতা ফিরতে হবেই তাই ট্রেনের টিকিটের লভ্যতা দেখে কলকাতা ফেরার টিকিট অবশেষে কেটে ফেললাম। তারপর থেকেই কলকাতার আবহাওয়া দিকে আমি নজর রাখছিলাম। কলকাতার গরম দেখে যাওয়ার ইচ্ছেই করছিলো না, তবে উপায় নেই।
আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে রাতের দিকের ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম যাতে রাতে চেপে সকাল সকাল কলকাতা পৌঁছে যাওয়া যায়। যথারীতি যেদিন টিকিট ছিলো বেলাগড়িয়ে সন্ধ্যে লাগতেই টোটো চেপে বেরিয়ে পড়লাম। স্টেশনটা বেশ খানিকটা দূর হলেও টোটো রাত্তিরে ফাঁকা রাস্তা পেয়ে উড়িয়ে চালিয়ে দিলো যার কারণে খুব তাড়াতাড়ি স্টেশনে পৌঁছে যেতে পারলাম। স্টেশন পৌঁছেছি তখন স্টেশনটা ফাঁকা আসলে টোটো প্রায় উড়ে আসার জন্য ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই পৌঁছে গেছি।
বিগত সময়ের তুলনায় বিগত তিন চার বছরে স্টেশনটার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। যেখানে আগে একটি প্ল্যাটফর্ম ছিলো সেখানে বর্তমানে সেখানে দু দুটি প্ল্যাটফর্ম একটি ওভারব্রিজ তার পাশাপাশি আরও স্টেশন উন্নয়নের কাজ চলছে। শুনছি আরো দুটি প্লাটফর্ম যোগ করা হবে। যেটা অত্যন্ত ভালো লাগে। অবশেষে অবহেলিত জায়গা গুলোর উন্নয়ন হচ্ছে। কেন্দ্র সরকার অবহেলিত জায়গা গুলোকে আলাদাভাবে লক্ষ্য রেখে উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে সেটা আসলেই আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
ফাঁকা ট্রেনে উঠে ব্যাগ পত্তর গুছিয়ে রাখলাম। তারপর যথারীতি সঠিক সময়ে ট্রেন ছেড়ে দিল। ট্রেন ছাড়তেই জানালা দিয়ে হু হু করে ঠান্ডা হয়ে ঢোকা শুরু করলো। যেটা কলকাতা থেকে আসার সময়ও আমি পেয়েছিলাম। বেশ আরাম লাগছিল। ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগতেই যেন খিদে পেয়ে গেলো, বাড়ি থেকে আনা রুটি আলুভাজা দিয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম। তারপর আমার জন্য নির্ধারিত উপরের সিটে উঠে পড়লাম।
যখন মোবাইলের এলার্ম বাজলো তখন দেখি হাওড়া স্টেশনের বাইরে ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ট্রেনে বাঙালির জন্য একেবারে পারফেক্ট খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা রুটি এবং আলু ভাজা। দেখে কিন্তু বেশ লোভনীয় লাগছে দাদা হি হি। গরমের মাএাটা আমাদের দিকেও বেশি। কিন্তু আমাদের থেকে আপনারা আরও বেশি ঝামেলায় রয়েছেন দেখছি। আপনার রাতের কলকাতা ফেরার যাএায় সেরকম দূর্ভোগ ছিল না।
অন্যান্য জায়গার তুলনায় কলকাতায় একটু বেশিই গরম দাদা।
পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই পোস্টটা শেষ হয়ে গেল।
যাইহোক কলকাতা আসতে ইচ্ছে না করলেও অনেক সময় কাজের জন্য আসতে হয় দাদা। তবে বাড়ি থেকে আপনি খাবার এনে বেশ ভালোই করেছিলেন। ট্রেনের ভিতর বাইরের খাবার দাবার না খাওয়াই ভালো।
দাদা কলকাতা এবং ঢাকাতে প্রচুর গরম। কিন্তু গ্রামের দিকে গরম কিছুটা কম। বাড়িতে গিয়ে কয়েকটা দিন বেশ ভালোই কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক ট্রেনে রুটি আর আলুভাজি খেয়ে বেশ ভালোই ঘুমিয়েছেন দাদা। কলকাতায় বেশ ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছেন, এটা দেখে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদা ঢাকাতেও এবার গরমের একই অনুভব হয়েছে। ঘরে থাকলে মনে হয় গরম একটু কম কিন্তু বাহিরে গেলে মনে হয় শরীর ঝলসে যাচ্ছে। তবে এই কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পরিবেশ একটু ঠান্ডা হয়েছে। তার কারণে সবার ভরপুর ঘুম হচ্ছে। যাই হোক গরম তো আর কাজ বুঝে না তাই কষ্ট হলেও আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌছাতে হয়েছে। দাদা খুব সাবধানে থাকবেন। যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
কলকাতার গরমের কথা আর কি বলবো, যা তাপমাত্রা থাকে তার থেকে অনেক বেশি অনুভূতি তাপমাত্রা থাকে। মাঝেমধ্যে তো আমার নিজেরও কলকাতায় থাকতে খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। মনে হয় গ্রামে গিয়ে থাকতে পারলে ভালো লাগতো। যাইহোক, তোমাদের ওদিকের স্টেশনটার প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে, জেনে বেশ ভালো লাগলো। তবে দাদা, তুমি যে আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে রুটি আলু ভাজি খেলে, এটা তো ঠিক না দাদা। হা হা হা...