লাইফস্টাইলঃ তাপদাহ অবসানে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে খুশি বাংলার কৃষক
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। কিছুদিন আগে আমি আপনাদের কাছে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমি বলেছিলাম যে তাপদাহ এর কারণে ফসল অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে আর এই কারণে ফসলের উৎপাদন কিছুটা হলেও ক্ষতির মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত এক সপ্তাহ পরে যখন আমি আবারো আমাদের ধান ক্ষেতে ভ্রমণ করার জন্য গেলাম তখন বিষয়টা দেখতে পেলাম। আসলে কৃষকেরা তার সবসময়ই মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করে আর যখনই তারা সোনালী ফসল ঘরে তোলে ঠিক সেই সময় তাদের মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। যেহেতু আমি গ্রামে বসবাস করি আর আমার বাবা একজন কৃষক তাই এ ধরনের পরিবেশের সাথে আমি খুব ভালোভাবেই পরিচিত। এসব পরিবারে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত কারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল খেয়েই সকলেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। যত ধনী ব্যক্তি হোক না কেন যদি কৃষকেরা কষ্ট করে ফসল উৎপাদন না করত তাহলে তারা একদিন না খেতে পেয়ে মারা যেত। এজন্য প্রত্যেকটি কি সুখকে আমাদেরকে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে সম্মান জানানো উচিত। তাদের কষ্টের বিনিময়েই আজকে আমরা বেঁচে আছি।
এক সপ্তাহ আগে যখন আমি মাঠে গিয়েছিলাম তখন ধানের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেচ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধানের উৎপাদন করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন কৃষকেরা। আসলে যতই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হোক না কেন যদি মহান সৃষ্টিকর্তা বৃষ্টি না দেয় তাহলে ফসলের উৎপাদন কোনভাবেই ভালো করা সম্ভব নয়। যেহেতু গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে তাই উৎপাদনটা ও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহ পরে আবারো মাঠে যেয়ে দেখলাম ধানের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে ভালোই হয়েছে। আর আমাদের ধান প্রায় পেকেও গিয়েছে।
যেহেতু ধান পাকতে শুরু করেছে তাই আমার আব্বা প্রত্যেকদিন অল্প অল্প পরিমাণে ধান কেটে নিয়ে আসে। আসলে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ধান কেটে নিয়ে আসার সব থেকে বড় কারণ হচ্ছে গরুর খাবারের চাহিদা পূরণ করা। যেহেতু ধানের খড় দিয়ে গরুর খাবার হয় তাই এটা গরুর খুবই ভালো একটা খাবারে চাহিদা পূরণ করে। একই সাথে সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারছে আর সেই সাথে গরুর খাবারের চাহিদাও পূরণ করতে পারছে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে। আমি ২০১৭ সালে প্রথম এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছিলাম সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই প্লাটফর্মের সাথেই রয়ে গিয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এই প্লাটফর্মের সাথেই থেকে যাব।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামে গিয়ে এবার বেশ কিছুদিন ছিলাম। অনেকের বাড়িতে নতুন ধান এসেছে। তারা সবাই অনেক খুশি কারণ অন্যান্য বারের থেকে এবারের ধানের ফলন অনেকটাই বেশি ছিল। সারা বছর রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করার পর কৃষকের মুখের এই হাসিটা সত্যিই ভালোলাগার ভাইয়া।
আমাদের এলাকাতে তো এখন পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রতি বছরের তুলনায় এবছর বাংলাদেশের মাঠে ঘাটে ফসলের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।আর এবছর বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ফসলের মধ্যে তেমন কোন রোগ বালাই আক্রমণ করতে পারেনি। কৃষকদের মুখে সোনার হাঁসি ফুটে উঠেছে, সকল কৃষক আনন্দের সাথে তাদের আবাদ কৃত ফসল বাড়িতে উঠাচ্ছে।
ভালো হয়েছে এটা ঠিক কিন্তু বৃষ্টি হলে সেটা আরো ভালো হতো।
দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে যে পরিমাণে তাপদাহ চলছিলো এতে করে আমাদের বাংলার কৃষকদের জন্য খুবই হতাশা কারন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবকিছু ধুয়ে মুছে দিয়েছে ফিরে এসেছে কৃষকের মুখের হাসি। কৃষক এখন তার জমিতে সোনার ফসল ফলাতে সক্ষম হচ্ছে।
কয়েকদিন যদি বৃষ্টি হত তাহলে ফসলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পেত।
হুম দেখা যাক আল্লাহ কি করেন সব কিছুই তার হাতে। তিনি যেটা ভালো মনে করবেন সেটাই হবে।
এটা একেবারেই ঠিক কথা ভাই, যতই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের জমিতে জল দেওয়া হোক না কেন, মহান সৃষ্টিকর্তা যদি বৃষ্টি না দেয় তাহলে ফসলের উৎপাদন কোনোভাবেই বাড়ানো সম্ভব নয়। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে, বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আপনাদের ওখানে ধানের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যাইহোক, আপনার বাবা আস্তে আস্তে ধান কেটে ঘরে তুলুক, এটাই কামনা করি।
এটা ঠিক কথা বলেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা যদি বৃষ্টি দিত তাহলে আর এইসব প্রযুক্তির ওপর আমাদেরকে ভরসা করতে হতো না।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে কৃষকরা অনেকটাই কষ্টে ছিল যখন প্রচন্ড তাপদাহ এবং লোডশেডিং হচ্ছিল৷ যার ফলে কৃষি জমি যেরকম শুকিয়ে যাচ্ছিল পানি না থাকার কারণে সেই ফসলের ক্ষতি হতে পারতো৷ তবে এখন সেই তাপদাহের অবসান হওয়াতে অনেকেই এখন খুশিতে আছেন এবং সকল কৃষকরা এখন অনেক নিশ্চিন্তে আছেন। ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
বেশিরভাগ কৃষি জমি এবার শুকিয়ে গিয়েছিল পানির অভাবে তাইতো প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হয়েছে।