বাসন্তী পূজা। পর্ব: ০৪
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে এবং সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে বাসন্তী পূজার আনন্দের মুহূর্ত শেয়ার করব। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লাগবে।
আসলে মেলার মাঠে যতক্ষণ আমরা অপেক্ষা করছি ততই ভিড় কেমন যেন দ্রুত বেড়ে চলেছে। যদিও আমাদের মেলার অনেক অংশ দেখা হয়ে গেছে। আসলে মানুষ কোন জায়গায় পুজো দেখতে অনেক কম আসে। সাধারণত যেসব জায়গাতে ছোট ছোট পুজো হয় কিন্তু মেলা অনেক বড় হয় সেখানে মানুষের ভিড়ও প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। যদিও বাসন্তী পূজার এই সময়ে যেহেতু আশেপাশে কোথাও পূজা হয় না। তাই মোটামুটি এই জায়গাতে দোকানের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল। আর দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখার জন্য এই মাঠে এসে ভিড় করছিল।
আসলে সত্যি বলতে কি আমার বাচ্চাদের খেলনা খুব পছন্দ হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের খেলনা বন্দুকটি আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর বিয়ের আগে আমি যখন বিভিন্ন মেলায় ঘুরতে যেতাম তখন বন্দুক অবশ্যই একটি কিনতাম। আর বাড়িতে এসে সেই বন্দুক নিয়ে নিজের রুমে বসে এদিক ওদিক বন্দুকের গুলি মারতাম। আসলে এসব বিষয়গুলো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেও কিন্তু এই বন্দুকের নেশাটা আমার এখনো কাটেনি। এজন্য যখন আমি কোন মেলায় যাই তখন একবার না একবার কোন একটা দোকানে গিয়ে বন্দুক ধরে দেখি।
যদিও এখন বিয়ে হয়ে গেছে। এখন আর আমি কোন দোকান থেকে বন্দুক দেখলে পছন্দ হলেও সে বন্দুক কিনে আনতে পারি না। তাই দূর থেকে দোকানগুলোর বন্দুকগুলো আমি দেখে মন খারাপ করে চলে যাই। আসলে একটা দোকানে দেখলাম যে একটি বাচ্চা একটি খেলনা কেনার জন্য অনেক বেশি জেদ করছিল। আসলে এটা কিন্তু একটা খারাপ বিষয়। কারণ কোন বাচ্চা যদি কোন জিনিসের প্রতি জেদ ধরে তাহলে সেই জেদ কখনো পূরণ করা উচিত নয়। কারণ এর পরবর্তীতে এই জেদ গুলো অনেক ভয়ানক হয়ে দাঁড়াবে।
আসলে বাচ্চাটিকে এই খেলনা কিনে না দেওয়াতে বাচ্চাটি জোরে জোরে কান্না করছিল এবং হাত পা ছোটাছুটি করছিল। যাইহোক মা বাবা তার এই কাণ্ড দেখে তাকে অবশেষে জিনিসটি কিনে দিল। আসলে বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের আমরা সব চাহিদা পূরণ করার ফলে বাচ্চারা অভাব কি জিনিস সে জিনিসটা তারা কখনো উপলব্ধি করতে পারছে না। আসলে আমার মনে হয় যে প্রতিটা বাচ্চার ভিতরে অভাব জিনিসটা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ অভাব জিনিস যদি বাচ্চার ভিতরে না থাকে তাহলে সে হয়তোবা জীবনে মানুষের মত মানুষ হতে পারবে না।
এরপর চলে গেলাম অন্য আরেকটি কসমেটিকসের দোকানে। আসলে এখানকার সকল কসমেটিকসের দোকানগুলো প্রায় একই ধরনের দেখতে। কারণ প্রায় সব কসমেটিসের দোকানে চুড়ি, মালা এবং চুলের ক্লিপ এগুলো কিন্তু কমন থাকে। যাইহোক একই জিনিস আমার গিন্নি প্রতিটা দোকানে গিয়ে বারবার নখদর্পণ করে দেখছে এবং আমি পিছন থেকে রাগ করার জন্য সে আবার পরবর্তী দোকানে চলে যাচ্ছে। আসলে গিন্নীর সাথে আমার কোনদিনও কোন মেলায় ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে না।
এর পরবর্তীতে আমরা আরেকটু সামনে দিকে এগোতে লাগলাম। কারণ আমরা যেসব দোকানগুলোতে দাঁড়িয়েছিলাম সে সব দোকানগুলো একদম কানায় কানায় জনমানবের পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কারণ কয়েক মিনিটের ভিতরে প্রচুর পরিমাণ লোক এই মেলাতে এসেছে এবং আমাদের দাঁড়ানোর জায়গাও আমরা পাচ্ছিলাম না। কিন্তু প্রায় অনেকগুলো দোকান ঘোরার পর অবশেষে আমার গিন্নি কোন কিছু কিনতে সক্ষম হলো। কারণ সে অনেক যাচাই-বাছাই করে জিনিসপত্র কেনাকাটি করে।
আসলে এভাবে পিছনে পিছনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন দোকানে যেতে আমার খুব বোরিং লাগছিল। তাইতো আমি মাঝে মাঝে যখন গিন্নি কোন দোকানে চলে যাচ্ছিল তখন প্যাকেট থেকে বাদাম বের করে সেই বাদামগুলো খাচ্ছিলাম। আর এভাবে বাদাম খেতে খেতে দেখলাম যে আমি একদম বাদামের প্রায় অর্ধেক শেষ করে ফেলেছি। তাই মনে মনে ভাবতে শুরু করলাম যে যাবার সময় আমি আবার বাদাম কিনে বাড়িতে নিয়ে যাব। কারণ বাদাম খেতে বাবা খুব ভালোবাসে। তাইতো মনের সুখে আমি প্রায় সব বাদাম খেতে শুরু করলাম।
ক্যামেরা পরিচিতি : HUAWEI
ক্যামেরা মডেল : BKK-AL 10
ক্যামেরা লেংথ : 3 mm
তারিখ : 16/04/2024
তো এই ছিল আজ আমার পোস্ট। আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে। আর আজকের পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।