বন্ধুদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার অভিজ্ঞতা।
তো পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমি ওদেরকে আমার পছন্দের একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম। যদিও রেস্টুরেন্টটা কিছুটা দূরে হওয়ায় ওরা প্রথমে একটু দ্বিমত পোষণ করেছিলো। পরবর্তীতে আমি যখন ওদেরকে আশ্বস্ত করলাম যে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের মান বেশ ভালো তখন তারা যেতে রাজি হোলো। যাই হোক রেস্টুরেন্টে পৌঁছে প্রথমে আমি ওয়েটারের কাছে মেনু কার্ড চাইলাম। এই রেস্টুরেন্টে মাঝে মাঝেই পরিবার নিয়ে খেতে যাওয়ার কারণে সেখানকার স্টাফরা আমার পরিচিত ছিলো। সেখানে গিয়ে কি খাবো সেটাও আমি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। যার ফলে অর্ডার দিতে আমার সময় লাগেনি। তবে খাবার অর্ডার করার সময় ওয়েটারকে আমি ডাক দিয়ে বললাম আমার এই দুই বন্ধুকে আপনাদের রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে অনেক ভালো বলেছি। অতএব আপনাদের শেফ কে বলবেন যেনো খাবারটা ভালো বানায়। ওয়েটার হেসে বললো স্যার চিন্তা করবেন না খাবার আপনাদের পছন্দ হবে।
খাবার অর্ডার করার পরে তিন বন্ধু নিজেদের ভেতর গল্প করতে লাগলাম। এদিকে লেগেছে প্রচন্ড ক্ষুধা আর একদিকে খাবার আসতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে এটা আমি বুঝতে পারছিলাম। কারণ এই রেস্টুরেন্টটাতে আমরা এর আগে যতবারই গিয়েছি তারা খাবার পরিবেশন করতে কিছুটা বেশি সময় লাগিয়েছে। যদিও তার পেছনে কারণও রয়েছে। কারণ আমরা সাধারণত চাইনি এবং থাই আইটেমগুলো সেখান থেকে খেয়ে থাকি। এই খাবারগুলো তারা আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখে না। অর্ডার দেয়ার পরে তারা রান্না করে। যার ফলে কিছুটা সময় লাগলেও সেখানে ফ্রেশ খাবার পাওয়া যায়। তারপরেও ক্ষুধা পেটে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে ভাল লাগছিলো না। যাই হোক শেষ পর্যন্ত মিনিট বিশেকের মাথায় আমাদের টেবিলে খাবার পরিবেশন করলো।
সেদিন আমি অর্ডার করেছিলাম চিকেন সিজলিং, চিকেন ফ্রাইড রাইস, থাই ফ্রাইড চিকেন আর চিকেন চিলি ওনিয়ন। খাবার টেবিলে পরিবেশন করার সাথেই আমি ওদের প্লেটে খাবার বেড়ে দিতে লাগলাম। ওদের প্লেটে খাবার বেড়ে দিয়ে তারপর আমি নিজের প্লেটে খাবার নিয়ে খেতে শুরু করলাম। এমনিতেই সেই রেস্টুরেন্টের রান্না যথেষ্ট ভালো। তারপরে তিনজন ছিলাম প্রচন্ড ক্ষুধার্ত। যার ফলে আমরা তিনজনে গোগ্রাসে খেতে লাগলাম। তিন বন্ধু সেদিন তৃপ্তি করে খেয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর আমার মনে পড়লো যে ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি। আসলে পেটে এতোটা ক্ষুধা ছিলো যে ছবি তোলার কথা আর মনেই আসেনি। যাই হোক খাওয়া দাওয়া শেষ হতেই আমি বিল মিটিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর ওদেরকে বিদায় জানিয়ে আমি আমার মতো বাসায় রওনা দিলাম। বন্ধুদের সাথে প্রথমে পদ্মা নদিতে গোসল করা তারপর রেস্টুরেন্টের মজাদার খাবার খাওয়ার পরে আসলেই বেশ ভালো লাগছিলো। যদিও শরীর কিছুটা ক্লান্ত লাগছিল তারপরে ও মনে একটা অদ্ভুত তৃপ্তি নিয়ে বাসায় ফিরলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খাবারের মেনুগুলো বেশ ভালো বর্ণনা দিলেন আপনি। যেহেতু আপনার প্রথমে গোসল করেছিলেন। নদীতে থাকাকালীন আপনাদের খিদা লেগেছিল। সোজা আপনাদের পছন্দের রেস্টুরেন্টে চলে গেলেন। পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার দিয়ে গল্প করতে শুরু করে দিলেন। রেস্টুরেন্টে গেলে একটা বিষয় খুব খারাপ লাগে তা হচ্ছে খাবারগুলো অর্ডার দেওয়ার বেশ সময় নিয়ে তারা খাবারগুলো পরিবেশন করে। মাঝেমধ্যে পেটকে মানানো যায় না এত বেশি দেরি করলে। যাক অবশেষে আপনারা খাবার পেয়ে গেলেন। তবে খাবারের প্লেট টা দেখেই লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এত লোভনীয় এবং সুস্বাদু খাবার গুলো আপনারা খেয়েছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করতেছে।
বেশি ক্ষুধা লাগলে অনেক সময় ছবি তোলার কথা মনেই থাকে না। যাইহোক ভাইয়া নদীতে গোসল করার পর অনেকটা ক্ষুধার্ত ছিলেন বুঝতেই পারছি। তাইতো ছবি তোলার কথা মনে ছিল না। আপনার পছন্দের রেস্টুরেন্টে মজার মজার খাবার খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
দুই বন্ধুর সাথে প্রথমে পদ্মা নদীতে গোসল করা, তারপর রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা,এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলেন ভাই। অনেক সময় বেশি ক্ষুধা লাগলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবারের ছবি তুলতে আমারও মনে থাকে না। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে এমন সময় কাটাতে পারলে মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে পোস্টটি খুব ভালো লাগলো ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।