অতিষ্ঠ গরমে একটু স্বস্তির খোঁজে
কিছুদিন আগে যে পরিমাণ গরম পড়েছিল, তাতে যেন অনেকটাই নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলাম। তবে মাঝে কয়েক দিনের জন্য আবহাওয়া একদম পুরোপুরি শীতল হয়ে গিয়েছিল। আবহাওয়ার গতিবিধি বোঝা বড্ড মুশকিল, কেননা বিগত কয়েক দিন ধরে হঠাৎই আবার অসহ্য গরম পড়েছে।
আজ এতটাই গরম লাগছিল, যেন তা একদম সহ্য সীমার বাহিরে। দুপুরবেলা যখন মেঝেতে শুয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুম থেকে উঠে দেখি পুরো মেঝে ভিজে গিয়েছে, প্রচুর ঘেমে গিয়েছিলাম। বড্ড হাসফাঁস লাগছিল নিজের মাঝে। কোন অবস্থাতেই নিজেকে যেন আর টিকিয়ে রাখতে পারছিলাম না ঘরের ভিতরে। আমার যেমনটা অবস্থা হয়েছিল, তেমনটা অবস্থার শিকার হয়েছিল বাবু ও বাবুর মা।
অবশেষে পড়ন্ত বেলায় ঘন্টা চুক্তি রিকশা ভাড়া করে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম, উন্মুক্ত পরিবেশের খোঁজে। সবদিকেই অনেকটা ভ্যাপসা গরম, আবহাওয়া কোন দিকেই যেন ঠিক নেই। তবে এত কিছুর মাঝেও, শহর থেকে যখন কিছুটা অদূরে এসেছিলাম, তখন ভ্যাপসা গরমের পরিমাণটা যেন কিছুটা কমে গিয়েছিল।
বাবু ও বাবুর মা রিকশাতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল, হালকা ঠান্ডা বাতাসে ওরা যে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিল, তা যেন বুঝে উঠতেই পারিনি। ক্লান্ত শরীর তো, তাই এমন উন্মুক্ত আবহাওয়ায় কিছুটা ওরা জিরিয়ে নিয়েছিল।
আমি অবশ্যই এদিক-সেদিক দেখছিলাম আর উপভোগ করার চেষ্টা করছিলাম সময়টা। বেশ ভালই খানিকটা দূরে চলে এসেছিলাম শহর থেকে, কখনও ঝিলের দিকটাতে কিংবা আবার কখনো শহরের সন্নিকটেই যে গ্রামগুলো আছে, সেই জায়গাগুলোতে। চতুর্দিকে ফসলের জমি কিংবা রাস্তার দুপাশে সবজির বাগান।
এসব দেখতে দেখতে কখন যে ঘন্টা দুয়েক সময় কাটিয়ে ফেলেছিলাম, তা সঠিক আন্দাজ করতে পারিনি। কিছুটা হলেও প্রশান্তি পেয়েছিলাম, এই অসহ্য গরম থেকে। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনেছিলাম যে, আজ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে, তবে তা কিসের কি, আবহাওয়ার অবস্থা দেখে কোন ভাবেই তা পরিলক্ষিত হলো না।
তবে এমন অতিষ্ঠ গরম ভাব যদি ক্রমাগত চলতে থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে বড্ড খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে জনসাধারণের জন্য। যাইহোক, বড্ড ক্লান্ত বোধ করছি এখনো। পরিবেশ-প্রকৃতি ঠান্ডা হওয়া সত্যিই বড্ড জরুরী।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাইয়া কয়েকদিন যাবত যে পরিমাণ গরম পড়ছে সেটা অসহনীয়।এর আগে কিছুদিন পরিবেশ টা শীতল ছিল।বিকেলের দিকে পরিবারসহ রিক্সায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন শহরের একটু দূরে গ্রামের দিকে ঠান্ডা বাতাসে বাবু আর ভাবি দুজনেই ঘুমিয়ে পড়েছিল।আসলে এই গরমে ক্লান্ত সবাই তাই একটু শান্তির বাতাস যেন সবাইকেই প্রশান্তি দেয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য। আমি আসলে নিজের জায়গা থেকে, সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করছিলাম, এই অসহ্য গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য।
আপনার শেয়ার করা গ্রামীণ পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই তো আমার মন শীতল হয়ে গেলো।মনে হচ্ছে গাছের ঝিরঝিরে বাতাসে আমার ও চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসবে।বিকেলে চমৎকার পরিবেশে ঘুরতে বের হয়েছেন।ভ্যাবসা গরমে সবাই অতিষ্ঠ।জ্যৈষ্ঠ মাস তো এসে গেলো।তাইতো আম,কাঁঠাল এই গরমে ই সব পেকে যাবে।এ সপ্তাহে বৃষ্টি হবে আশাকরি।সবাইকে শীতল পরশ দিতে বৃষ্টি এলো বলে।
তাড়াতাড়ি বৃষ্টি পড়ুক, ধরণী ঠান্ডা হোক, এমন গরম আর মেনে নেওয়া যাচ্ছে না, আপু। অবস্থা একদম কাহিল।
মাঝখানে কয়েকটা দিন গরম মোটামুটি কম ছিল। তবে বর্তমানে দুই-তিন দিন ধরেই আবার অসহনীয় গরম পড়ছে। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে গরমে। শহরে থাকার কারণে এরকম প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া হয় না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যেন একটা প্রশান্তি কাজ করছে মনে। তিনজন মিলে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সবুজ প্রকৃতির মাঝে। কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
আর বইলেন না আপু , জীবন একদম তেজপাতা হয়ে গিয়েছে এই অসহ্য গরমে। কোন ভাবেই যেন শান্তি মিলছে না।
ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রামীন প্রকৃতি যেন আমাদের তার মায়াটা টানে যার কারণে আমরা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বর্তমানে প্রচন্ড গরম পড়েছে আর এই গরম থেকে বাঁচতে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আসলে গ্রামের শীতল বাতাস গায়ে লাগলেই ভালো লাগে। তাই রিক্সায় করে পরিবারসহ ভ্রমণ করলেন। ভাবি ও বাবু বাতাসে ঘুমিয়ে ছিল। আসলে এরকম শীতল হাওয়া অনুভব পেলেই যেন ঘুম ধরে যায়। যাই হোক গ্রামের এই প্রকৃতির মাঝে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পেরে আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।
রিকশায় চড়ে ঘুরে বেড়ানো আমার নতুন না, তবে এই সময় একটু ঘন ঘন যাচ্ছি ভাই, গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা আরকি।
আসলে ভাই আপনি বাইরের প্রকৃতিতে যখন যাবেন তখন একটু স্বস্তি পাবেন এবং পুনরায় যখন আবার বাড়িতে চলে আসবেন তখন সেই স্বস্তি আপনার জানালা দিয়ে পালাবে। আসলে মাঝে বৃষ্টি হয়ে আবার বর্তমানে যে গরম পড়া শুরু হয়েছে তা সত্যিই অসহ্যকর। আমাদের এখানেও অনেক বেশি গরম পড়েছে। আসলে আপনি ভাবিকে নিয়ে অনেক সুন্দর একটা সময় মনে হয় অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাই।
বর্তমানে গরমে অবস্থা সবারই অনেক খারাপ। এই গরমে ঘরে থাকাও অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে। রিক্সা ভাড়া করে পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য সবাই যে যার মত করে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই গরমে যেন কেউ আবার অসুস্থ হয়ে না পড়ে এই দোয়া করি সবসময়।
শরীর একদম খারাপ আপু, গত দুইদিন থেকে। গরমে জীবন একদম অতিষ্ঠ।
গতকালকেও প্রচন্ড রকম গরমে একেবারে খারাপ অবস্থা গিয়েছিল। আজকে সকাল থেকে বৃষ্টি হবে মনে হচ্ছে। মেঘ ডাকছে। কিন্তু বৃষ্টি এখনও হচ্ছে না। তারপরও গরম নেই বললেই চলে। যাইহোক এরকম ঘন্টা চুক্তি রিক্সায় আগে অনেক ঘুরেছি। তাছাড়া আপনারা যত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন এমনিতেই ভালো লাগার কথা। আর এত সুন্দর জায়গায় গিয়ে ভাবি আর বাবু ঘুমিয়ে গেল। তাহলে তো সৌন্দর্য উপভোগ করতেই পারল না। আমার নিজেই তো মন চাচ্ছে ওই রাস্তা দিয়ে রিক্সায় ঘুরি। যাইহোক ভালো লাগলো দেখে।
আমাদের দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বেশিরভাগ সময়ই উল্টাপাল্টা খবর শেয়ার করে থাকে। যাইহোক এমন তীব্র গরমে বিকেল বেলা খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। এককথায় দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই দাদা, এই দুই তিন দিন বেশ ভালই গরম পড়েছে। তবে ঘন্টা চুক্তি করে রিক্সা ভাড়া করে ঘুরাঘুরির কনসেপ্টটা কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। আর বাবু এবং ভাবি যেহেতু ক্লান্ত ছিল, এজন্য হয়তো কিছুটা চোখ লেগে এসেছিল তাদের। যাইহোক, আপনারা ঘুরতে ঘুরতে কিন্তু বেশ সুন্দর একটা পরিবেশে চলে এসেছিলেন দাদা, যেগুলো ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম।