সমসাময়িক বিষয়ে, আমার মতামত।
দেখুন আপনি জীবনকে যেভাবে ট্রিট করবেন, জীবন আপনাকে সেটাই ফেরত দেবে। এখন সিদ্ধান্ত আপনার, আপনি কিভাবে নিজের জীবনকে সাজাতে চান। সবার চলার পথ এক না কিংবা চিন্তাধারাও বেশ ভিন্ন থাকে, তবে যদি আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকেন, তাহলে হয়তো ভালো কিছু আশা করা সম্ভব।
কথাগুলো যত সহজে বলে ফেললাম ব্যাপারটা আসলে এতটা সহজ না। বহু চড়াই-উতরাই পাড়ি দিতে হবে, মানসিকতা দৃঢ় রাখতে হবে, থাকতে হবে আত্মবিশ্বাস, সঙ্গে যে কাজেই যুক্ত থাকুন না কেন, সেখানে অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে, সফলতার সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছাতে হবে।
আমরা আসলে অল্পতেই একে অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করি, হতাশায় ভুগি কিংবা গুলিয়ে ফেলি সবকিছু একত্রে। জগাখিচুড়ি বানিয়ে জীবনটাকে নাস্তানাবুদ করি , তাই ধীরে ধীরে হতাশায় ভুগতে ভুগতে তলিয়ে যাই বড্ড গভীরে।
দিন কে দিন সবাই যেন জীবনটাকে একদম প্রতিযোগিতা পূর্ণ অবস্থার সম্মুখীন করে ফেলেছে । হয়তো ভুলেই গিয়েছে সবাই, জীবনটা একটা জার্নি হতে পারে। অর্থাৎ আপনি এই জার্নিটা কিভাবে উপভোগ করছেন, সেটাও তো ভাববার বিষয়।
আমি সচরাচর এসব কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। আসলে, আমি বললেই যে সবার চিন্তাধারা পরিবর্তন হয়ে যাবে, ব্যাপারটা তেমন না। তারপরেও সমসাময়িক অবস্থার কথা বিবেচনা করে, কিছু কথা নিজের ইচ্ছায় প্রকাশ করে ফেললাম।
ভিডিও লিংক
জীবন নামক জার্নিতে খুশি থাকতে গেলে সব থেকে মুখ্য ব্যাপার, আপনার হ্যাপিনেস খুঁজে বের করা। মানে আপনার প্রাপ্তি-প্রত্যাশা কতটুকু, ঠিক সেটার একটা খসড়া তৈরি করা । তারপরে হয়তো সেই ভাবে নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং যে কর্মে যুক্ত আছেন, সেখান থেকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করা। দেখা যেতে পারে, আপনি যেমনটা চেয়েছেন, তারথেকেও অনেক বেশি কিছু পেয়ে গিয়েছেন কিংবা তার বিপরীত কিছু হতে পারে। তবে যেটাই হোক না কেন, সবকিছু সাবলীলভাবে গ্রহণ করে নেওয়াই শ্রেয়।
নিজেকে অহেতুক অন্যের সঙ্গে তুলনা করে, হতাশা না বাড়িয়ে বরং জীবনটাকে উপভোগ করুন। হাসি আনন্দে থাকুন প্রতিটা সময়। নিজ নিজ অবস্থান থেকে কেউ পারফেক্ট না, আপনি-আমি হয়তো যাকে দেখে হতাশায় ভুগছি, সে হয়তো অন্য কাউকে দেখে, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
কি দরকার এই নোংরা প্রতিযোগিতার, হতাশায় ভুগে নিজেকে জর্জরিত করার ! তারচেয়ে আপনি নিজের কাজে মনোযোগী হন, স্বল্পতে খুশি থাকার চেষ্টা করুন, দেখবেন সুন্দর ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারছেন।
কে কি কিনল, কে কি করলো, এইসব ভেবে সময় অপচয় করা যেমনটা বোকামি , তেমনটা আবার মূর্খতা বলা যেতে পারে। অনেক কথা বলে ফেললাম, হয়তো কারো খারাপ লাগতে পারে, তবে কিছুই করার নেই, চিরন্তন সত্য কথাগুলো কিছুটা এরকমই। যেটা আমি-আপনি সহজে বুঝতে চাই না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই বিষয়টি বর্তমানে বেশ কন্ট্রোভার্সি সৃষ্টি করছে। অনেকেই বলছে তাহলে লেখাপড়া করে কী লাভ। এখন তাদের উদ্দেশ্যে আমার কথা লেখাপড়া করা কী শুধু চাকরির জন্য। অবশ্যই না। জীবন একটা জার্নি হলেও এখন সবাই এটা প্রতিযোগিতা বানিয়ে ফেলেছে। আপনার কথাগুলো অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু এগুলো সবার বোধগম্য হবে না।
লেখাপড়ার সঙ্গে টাকা ইনকামের কোন সম্পর্ক না থাকাই শ্রেয়, লেখাপড়ার উদ্দেশ্য জ্ঞান অর্জন করা, তা সঠিকভাবে অর্জন করতে পারলেই ভালো।
আমরা সবচেয়ে বড় ভুল করি নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে! এতে হয়কি আমরা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয়। যে ভালো অবস্থানে আছে তার অবস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করি! অথচ আমাদের উচিত ছিল জীবনটাকে নিজের মতো করে উপভোগ করা। আপনি একদম যথার্থ বলেছেন ভাইয়া, কে কি করল বা কে কি বলল এসবে চোখ না দিয়ে বরং নিজের হ্যাপিনেস টাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। দিনশেষে জীবনটা তো আমার!
নিজের প্রত্যাশা প্রাপ্তি কমিয়ে, হ্যাপিনেস খুঁজে বের করাই জীবনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন ভাই। যে বিষয় নিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত সেই কনটেন্ট ক্রিকেটর এর ভিডিওটা আমি দেখেছিলাম। আসলে অন্যের সফলতা দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই ব্যাপারটাই আমরা বারবার ভুলে যায়। সেজন্যই আমাদের ভেতরে চলে আসে একরাশ হতাশা। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার এই পোস্টের জন্য।
আমিও ভিডিওটি দেখেছিলাম এবং অনেক ভাবনা চিন্তা করেই এই লেখাটা লিখেছিলাম ভাই।
মানুষের কার্যকলাপ দেখে হতাশ হলেই ভাই জীবনে যত সমস্যা। নিজেকে কোন সময় অন্যের সাথে তুলনা করতে নেই বরং নিজের পজিশনটা নিয়ে খুশি থাকলেই ভালো থাকা সম্ভব। আমারও আসলে আপনার মত এটাই মনে হয় ভাই যে, কে কি কিনল, কে কি করলো, এইসব ভেবে সময় অপচয় না করে, নিজের কাজে মনোযোগী হওয়া উচিত।
আমার কাছে তেমনটাই মনে হয়, কেননা হতাশা বাড়িয়ে কি লাভ।
আমি মনে করি জীবনে যার চাহিদা যত কম, সে সবচেয়ে বেশি সুখী। কারণ চাহিদা কম থাকলে মানুষ অল্পতেই খুশি হয়ে যায়। এতে করে আমরা আল্লাহ তায়ালার নিকট শুকরিয়া আদায় করে থাকি। তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর অনেক খুশি হয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সারাক্ষণ অন্যকে দেখে হিংসা করে থাকে। এটা খুবই খারাপ একটি কাজ। যারা হিংসা করে, তাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা ঘৃণা করেন। সুতরাং মন থেকে হিংসা বাদ দিয়ে, আমরা কিভাবে ভালো থাকতে পারবো সেটাকে গুরুত্ব দিতে হবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হিংসা বিদ্বেষ দূর হোক, মানসিক ভাবে প্রশান্তি লাভ করুক সবাই।
ভাইয়া আপনার প্রতিটা কথায় যুক্তি আছে আর খারাপ লাগার কিছুই নেই, বরং নিজেকে ভালো রাখার অনেক কিছু আছে। আমাদের উচিত আমার উপরের অবস্থানে কে আছে তাকে লক্ষ্য না করে বরং আমার নিচের অবস্থানে যে আছে তার দিকে লক্ষ্য করা। তাহলেই নিজেকে সুখী রাখা যাবে। জীবন কোনো প্রতিযোগিতা দিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য নয় বরং নিজেকে হাসিখুশিতে ভরে রাখতে পারলে প্রকৃত সুখ খুঁজে পাওয়া যাবে। দু'দিনের এই দুনিয়ায় অন্যের সাথে লড়াই না করে নিজের মতো করে বাঁচা শ্রেয়। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ব্লগ শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ, আপু আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য এবং সাবলীল ভাবে মন্তব্য করে, আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আমরা যে অল্পতেই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করি, এটাই হলো আমাদের সবথেকে বড় ভুল দাদা। এর জন্য আমরা আমাদের জীবনটাকে যেমন জগাখিচুড়ি করে ফেলি, তেমনি হীনমন্যতায়ও ভুগি। তাই আপনার মত আমারও মনে হয় যে, জীবনটাকে প্রতিযোগিতার মধ্যে না ফেলে আমাদের এই জীবন জার্নিটাকে উপভোগ করাই হচ্ছে সবথেকে উত্তম কাজ।