"মা দিবসে টিনটিন বাবুর প্রথম তৈরি করা কার্ড দেওয়া"
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হলো আমাদের মা।আর প্রিয় শব্দ ও সুমধুর মা ডাক।মা কে ভালবাসতে কোন বিশেষ দিনের প্রয়োজন হয় না।সকল দিনই মা কে ভালোবাসা যায়। তবুও পৃথিবীর সব মায়েদের প্রতি সম্মান জানাতে পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস পালিত হয়।" মা" ছোট্ট একটা শব্দ, কিন্তু এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া ,মমতা, অকৃতিম স্নেহ, আদর ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নাড়ির টান। জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু, বন্ধু, সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ - মা।আমাদের সবার জীবনে মায়ের অবদান অপরিসীম। মায়ের। অবদান বলে শেষ করা যায় না। আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো মা। জীবনে সুখ - দুঃখ, বিপদে - আপদে আমরা নিঃস্বার্থ ভাবে একমাত্র মা কে পাশে পাই।
আগে যখন মায়ের কাছে থাকতাম তখন মা কি জিনিস অনুভব করতে পারেনি এখন মা কে সব সময় মিস করি। আর নিজে মা হওয়ার পর বুঝতে পারি মা এর কষ্ট। মায়েরা সারাজীবন কতটা কষ্ট করে সন্তানের জন্য। গতবছর মা কে নিয়ে মা দিবস পালন করেছিলাম। তবে এবার মা আমার কাছে নেই তাই সকালে মায়ের সাথে কথা বলে নিলাম। মায়ের সাথে কথা বললেই আগে জানতে চাইবে শরীর ঠিক আছে কি না। সময় মত খাচ্ছি কি না। এইসব কথা নিয়েই সময় পার করে দেয়। প্রতিবছর টিনটিন বাবু মাদার্স ডে পালন করে। তবে এখনো ছোট তাই খুব একটা ভালো বোঝে না। এবার ও সন্ধ্যায় তার বাবার কেক ও কয়েক প্রকার খেলনা নিয়ে এসেছে।
টিনটিন বাবুর স্কুলে মা দিবস পালন করা হয়েছে। আর স্কুলে বসে বাবু মা দিবস উপলক্ষে একটা কার্ড তৈরি করেছে। সকালে স্কুল থেকে ফিরে আমাকে জড়িয়ে ধরে
ওর নিজের তৈরি করা কার্ড দিয়ে বলে "happy mother's day". এইটুকু বয়সে এত সুন্দর একটা কার্ড তৈরি করেছে। ওর এত বড় সারপ্রাইজ দেখে আমার
চোখে আনন্দে জল চলে এলো। আমি বাবুকে আদর করে দিলাম। অনেকে আমাকে অনেক দামি উপহার দিয়েছে। কিন্তু আমার বাবুর দেওয়া সবার থেকে দামি উপহার হলো এই কার্ড। যেটা আমার কোটি টাকার সমান। আমার জীবনের সবথেকে দামি উপহার।
বাবুদের স্কুলে মাদার্স ডে পালিত হয়েছে। ওদেরকে বুঝানোর জন্য মা দিবস কি? কেন পালন করা হয়ে থাকে?
তাই তো বাচ্চা দের সাথে বাচ্চার মায়েদের যেতে হবে। তবে আমি অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি বাবুর সাথে। যদিও বাবুর একটু মন খারাপ হয়েছিলো। আমি যেতে না পারায়। কিন্তু ওদের ম্যাডামরা খুবই বন্ধু সুলভ।আমি যেতে না পারায় বাবুকে ওর ম্যাডামরা একটু ও মন খারাপ করতে দেয়নি। ওদের স্কুলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিলো। ঘন্টা দুয়েক পর বাবু বাড়ি ফিরে আসলে আমি জানতে চাইলাম কি কি হয়েছে স্কুলে। ও এক এক করে সব বললো। তারপর জানতে চাইলাম আমি যাই নি বলে তার মন খারাপ হয়েছিলো কি না? আমার কোলে বসে কি সুন্দর বললো না খারাপ লাগে নি। তুমি তো এখন অসুস্থ। সুস্থ হলে তবে আমার সাথে যাবে। ওর এই কথা গুলো শুনে আমি তো অবাক। যে এই বয়সে অনেক কিছু সে বোঝে।
এরপর সন্ধ্যায় কেক কেটে নিলাম।কেক কাটার আগে আমার শাশুড়ি মা ও আমার মা কে ফোন দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলাম। আসলে আমার মায়ের মত সে তো মা। এক মা কে ছেড়ে এসে এখানে আর একটা মা পেয়েছি। তাই আমি নিজের মা কে কোন কিছু জানানোর আগে শাশুড়ি মা কে আগে জানাই। এতে করে মা খুবই খুশি হন আর আমার ও ভালো লাগে। আজ এই পর্যন্তই। অনেক দিন ধরেই ভাবছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিন্তু আসলে সময় হয়ে ওঠেনি। তাই একটু দেরি হয়ে গেল।আর আশা করি আমার বাবুর নিজের তৈরি করা কার্ড আপনাদের ভালো লাগবে।কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।আপনাদের কাছে কেমন লাগলো?
আসলে টিনটিন বাবু কিন্তু অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে পারে। যদি সে কোন একটা ছবি একবার দেখতে পায় তাহলে সে সেই ছবির মত হুবহু ছবি আঁকতে পারে। আসলে মা দিবসে টিনটিন বাবুর এই ছবিটি এক কথায় অসাধারণ ছিল। আজ সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা যেন পৃথিবীর সকল মা যেন সব সময় সুস্থ থাকে।
সন্তানের কাছ থেকে মা বাবার কোন কিছু পাওয়াটা সত্যি অনেক সৌভাগ্য একটা ব্যাপার। যেহেতু সন্তান দিয়েছে সেই হিসেবে মায়ের খুশির শেষ নেই। আপনি যেমন আপনার সন্তানের খুশি রাখতে চান, ঠিক তেমনি আপনার মা বাবা শ্বশুর শাশুড়ি আপনাকে খুশি রাখতে চাই। তবে বলতে হয় বৌদি আপনার ছেলের দেওয়া কার্ড বেশ পছন্দ হয়েছে। টিনটিন ছোট হলেও তার সৌন্দর্যের প্রাধান্য দিতে হয়।
বাহ্ দিদি বেশ দারুন কার্ড করেছে তো টিনটিন। আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। তবে বেশী ভালো লাগরো টিনটিনের স্কুলের প্রোগ্রামের কথা শুনে। এমন প্রোগ্রাম যদি স্কুল গুলোতে করা হয় তাহলে বাচ্চারা অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারে। সব মিলিয়ে বেশ গুছিয়ে আজকের পোস্টটি করেছেন। ধন্যবাদ বউদি।
মা শুধু একটা নাম নয়-আমাদের স্বপ্ন এবং বেঁচে থাকার একমাত্র প্রেরণা। আমাদের টিনটিন বাবু অনেক বেশী বুদ্ধিমান হবে, মায়ের প্রতি ভালোবাসা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক বেশী ভালো থাকেন এই দোয়া করি সব সময় বৌদি।
বেশ ভালো লাগলো আপু এত সুন্দর একটি কার্ড তৈরি করতে দেখে। আর মা দিবস উপলক্ষে এত সুন্দর কাড তৈরি করছে সত্যিই অসাধারণ। বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর কার্ড তৈরি করতে দেখে। মা সন্তানের ভালোবাসা আরো মধুর হোক এবং সুস্থ অবস্থায় আনন্দে দিন কাটুক সেই দোয়া রইল।
মা দিবসে টিনটিন বাবু কার্ড তৈরি করেছে জেনে ভালো লাগলো বৌদি। মা দিবস সবার জন্যই অনেক স্পেশাল। মায়ের প্রতি ভালোবাসা আমাদের সবার আছে। স্কুলে মা দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লেগেছে বৌদি। যখন টিনটিন আপনাকে কার্ড উপহার দিয়েছে তখন নিশ্চয়ই আপনার অনেক ভালো লেগেছিল। টিনটিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল বৌদি।
ঠিকই বলেছেন বৌদি মাকে ভালোবাসার কোনো দিবস লাগেনা, আর সব দিনে মাকে ভালোবাসা যায় । আর মা কথাটি ছোট্ট হলে ওর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক কিছু ।ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে । আজকাল স্কুলে মা দিবসকে কেন্দ্র করে বাচ্চাদেরকে অনেক কিছু শেখানো হয় । আমার ছেলের স্কুলেও অনেক কিছু শিখিয়েছে এবং ওদেরকেও কার্ড তৈরি করতে বলেছিল ।টিনটিন সোনা দেখি একটু একটু করে বড় হয়ে যাচ্ছে অনেক কিছুই ও এখন বুঝে ওর কথায় মনে হল । অনেক ভালোবাসা রইলো মা ও ছেলের জন্য ।
মা দিবস উপলক্ষে আজকেও বিশ্বের সকল মাকে প্রাণ ভরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। যদিও মায়েদের জন্য প্রতিটা দিনই মা দিবস। তবে টিন টিন বাবু যে কার্ড তৈরি করেছে মাদার্স ডে উপলক্ষে এটা দেখে এবং শুনে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগছে এবং তার এই কাজ সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশি প্রশংসনীয়। আর তার এরকম সুন্দর কথা গুলিও প্রশংসনীয়। সৃষ্টিকর্তা তাকে যেন সঠিক মানুষ হিসেবে সমাজের প্রতিষ্ঠা করেন। আপনাদের সকলের মুখ যেন সে উজ্জ্বল করে। সর্বোপরি টিন টিন বাবুসহ আপনাদের প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি ।
টিনটিন বাবু তো দেখছি মা দিবস উপলক্ষে দারুণ একটি কার্ড তৈরি করেছে। আমাদের টিনটিন বাবু বড় হয়ে একজন ক্রিয়েটিভ মানুষ হবে এবং আমাদের দাদা ও আপনার মতো ভালো মনের মানুষ হবে,সেই কামনা করছি। আসলে মায়ের কোনো তুলনা হয় না। তাই শুধুমাত্র মা দিবসে মায়ের প্রতি ভালোবাসা না দেখিয়ে, সবার উচিত সবসময় মা'কে ভালোবাসা। যাইহোক পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
সন্তানের কাছ থেকে যে কোন কিছুই পাওয়া সত্যিই আনন্দের। আমাদের টিনটিন বাবু তো দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে। সারপ্রাইজ দিতে শিখেছে এখন। খুব সুন্দর কার্ড তৈরি করেছে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে। পোস্টটা দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো বৌদি। এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।