সন্ধার পরে হালকা নাস্তা।।
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। সব সময় ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, সেই কামনাই করি। আর সুস্থ থাকা ও ভালো থাকার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করা। তো আজকে খাওয়া-দাওয়ার বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করতে যাচ্ছি।
বর্তমানে আমরা যে বাসাতে বসবাস করতেছি, সেটি তিনতলা একটি বিল্ডিং। আর আমরা তিন তলাতেই থাকি। যার ফলে সারাদিন রোদের তাপে উপরের ছাদ গরম হয়ে যায়। আর সন্ধ্যার পরে সেই ছাদের গরমের তাপে আমাদের রুম ও গরম হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরে রুমের মধ্যে থাকা কঠিন হয়ে দাড়ায়। যার ফলে আমরা প্রায় সময় সন্ধ্যার পরে ছাদে চলে যাই। ছাদের মধ্যে দক্ষিণের সুন্দর বাতাস প্রবাহিত হয়। সন্ধ্যার পরে ছাদের মধ্যে সময়টা খুব ভালো কাটে। আমাদের সাথে আমাদের পাশের বাসার ভাবি ও ছাদে বসে সময় কাটায়। অর্থাৎ সন্ধ্যার পরে ছাদের মধ্যে আমাদের ছোটখাটো একটি আড্ডা জমে উঠে।
সেই আড্ডাতে দেশ-বিদেশের খবর সহ পারা প্রতিবেশীর খবর নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়। যতক্ষণ ছাদের মধ্যে থাকা হয় ততক্ষণ শরীর ঠান্ডা থাকে। আর যখন ছাদ থেকে রুমের ভিতরে চলে আসি তখনই শরীর গরম হয়ে যায়। যার ফলে প্রতিদিনই শরীর মুছে অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ঘুমাতে হয়। জানিনা আর কতদিন চলতে হবে।কয়েক দিনের বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমলেও এখন আবার ধীরে ধীরে গরম বাড়তেছে। আমরা সবাই প্রাণপণে সৃষ্টিকর্তার কাছে বৃষ্টি কামনা করি।
কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার পরে ছাদের মধ্যে গিয়ে দেখি তেমন বাতাস নেই। কেমন একটা ভাবসা গরম লাগতেছে। যার ফলে ছাদের মধ্যেও ভালো লাগতেছিল না। তাই আমি আমার হাজব্যান্ডকে বললাম চলো আজকে কোথাও বের হয়। এই কথা বলার সাথে সাথে আমার হাজব্যান্ড ও রাজি হয়ে গেলো। যার ফলে আমরা সন্ধ্যার সময় বের হয়ে পাশেই একটি উপজেলা অফিসের মাঠ রয়েছে। সে জায়গাটা অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো। মোটামুটি কিছুটা খালি জায়গাও রয়েছে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে বসে হেঁটে সময় কাটালাম
বেশ কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পরে আমাদের কিছুটা খিদে পেলো। যার ফলে আমরা সেই উপজেলা অফিসের মাঠ থেকে বের হয়ে আসলাম। উপজেলা অফিসের পাশেই অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আমার হাজব্যান্ড এসি আছে এমন একটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলেন। আমিও তিনির পিছনে পিছনে প্রবেশ করলাম। সেখানে এসি থাকার কারণে মোটামুটি অনেক আরাম লাগতেছে ছিল। রেস্টুরেন্টটি তেমন বড় নয় তবে সেফলি খাওয়া-দাওয়া করার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সোজা রেস্টুরেন্টের সবার পিছনের টেবিলে গিয়ে বসলাম। আমার হাজব্যান্ড আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি কি খাবো। তারপর আমি খাওয়া দাওয়ার দায়িত্বটা আমার হাজবেন্ডের উপর ছেড়ে দিলাম। তিনি দেখে শুনে আমাদের জন্য দুটি নান রুটি আর দুইটি হালিমের অর্ডার দিলেন। আমার হাজব্যান্ড প্রায় সময় এই রেস্টুরেন্টে এসে থাকে। যার ফলে সবাই তিনি কে খুব ভালোভাবেই চিনে।
খাবার অর্ডার দেওয়ার পরে তারা আমাদেরকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে বললেন। আমরা কিছুক্ষণ বসে রইলাম। আর বাবুর কয়েকটা ছবি তুললাম। ঐদিন বাবু খুবই শান্ত ছিল। তেমন কান্নাকাটি করে নাই। তাছাড়া বাবু বাহিরে গেলে তেমন কান্নাকাটি করে না। সাত থেকে দশ মিনিট পরে আমাদের অর্ডারকৃত খাবার চলে আসলো। আমার হাজব্যান্ড আমার মোবাইল দিয়ে কয়েকটি পিক তুললেন। তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিলাম।
এই রেস্টুরেন্টের হালিমের অনেক নাম ডাক রয়েছে। রেস্টুরেন্টে যারা আসে তারা সাধারণত তাদের হালিমটি টেস্ট করে। আমি মনে হয় আরো একবার এই রেস্টুরেন্টে এসেছিলাম। তবে আমার ঠিকভাবে মনে নেই। তাদের হালিমটা সত্যিই অনেক সুস্বাদু ছিল। আমি তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করলাম। কারণ যেকোনো সময় বাবু কান্না করে দিতে পারে। যাই হোক আমার আগে আমার হাজব্যান্ড খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফেললো। তবে ভাগ্য ভাল খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পরেও বাবু তেমন কান্নাকাটি করে নাই। আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করেও আরো পাঁচ থেকে সাত মিনিট বসে রইলাম। কারণ যেহেতু এখানে ঠান্ডা হাওয়া আছে মোটামুটি ভালই লাগতেছিল। তারপর দেখলাম ধীরে ধীরে রেস্টুরেন্টে কাস্টমার আসতে লাগলো। তখন আমরা বিল মিটিয়ে চলে আসলাম।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই গরমে বেশি বেশি পানি খাবেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
টাইটেল | সন্ধার পরে হালকা নাস্তা। |
স্থান | উপজেলা মোড়,নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা। । |
তারিখ | ১০/০৫/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপ করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে সেই দিনের হালিম খুব ভালো লেগেছিল। আমি প্রায় সময় এ রেস্টুরেন্টে যেতাম। তাদের হালিমটা অত্র এলাকার মধ্যে সবথেকে ভালো। রমজানে তাদের প্রচুর হালিম বিক্রি হয়।