মেলার কিছু আলোকচিত্র
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু মেলার আলোকচিত্র শেয়ার করবো। এটা মূলত কিছুদিন আগে বাড়ির পাশে একটি মেলার থেকে তুলেছিলাম ছবিগুলো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আমাদের এখানে কিছুদিন ধরে ২ টো মেলা চলছে, একটা মতুয়াদের মেলা আর একটা মিলন মেলা অর্থাৎ যেটা বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। মতুয়াদের মেলায় যাইনি এইবার, তবে কয়েকদিন আগে মিলন মেলায় গিয়েছিলাম হাঁটতে হাঁটতে। আসলে যাওয়ার তেমন ইচ্ছা ছিল না, তবে স্কুল এর দুইজন বন্ধু বাড়িতে এসে ডাকছে যাওয়ার জন্য, এখন না গিয়েও উপায় নেই। আর তারপর তাদের সাথে অনেকদিন বাদে দেখা হলো,তাই ভাবলাম যাই ঘুরে আসি, এমনিতেও ভালো লাগছিলো না সারাদিন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। তবে এই মেলাটা অনেকদিন ধরে চললেও তেমন একটা জাকজমকপূর্ণ না। এর আগেও গতবার আমি একবার শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। এইবছর এই মেলাটা ৩২ বছরে পদার্পন করলো। মেলাটা অনেক ছোট জায়গা জুড়েই হয়ে থাকে, প্রতিবারই তেমন একটা লোকের সমাগম হয় না।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
আসলে লোকাল লোকজনেই মোটামুটি যাওয়া আশা করে থাকে এই মেলাটায়। তো মেলায় যাওয়ার পরে দেখলাম সেখানে আবার বৃষ্টিতে কাদা হয়ে গিয়েছে, আর জায়গাটায় বালিও নেই, ফলে একটা সমস্যা চলাফেরার। তবে মোটামুটি দোকানপাট উঠেছিল বেশ কিছু, বেশিরভাগই খেলনার জিনিষ উঠেছিল। এইগুলো একপ্রকার ভালো বাচ্চাদের খেলনার জিনিসগুলো এখন বেশিই লাগে। আর এইসব খেলনাগুলো দেখলেই যেন সেই শৈশবের কথাই মনে পড়ে যায়। বিশেষ করে যেসব খেলনা পিস্তল থাকে, এইগুলো দেখলে আমার বেশি মনে পড়ে। কারণ আমি যেকোনো গ্রামের মেলায় গেলেই বেশিরভাগ বন্ধুক খুঁজে বেড়াতাম, আসলে এইগুলো নিয়ে খেলার একটা নেশা ছিল।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
খুব তবে আমার কাছে বেশিক্ষন যেত না এইসব, একদিনেই ভেঙেচুরে শেষ। তবে আবার গিয়ে কিনে আনতাম। এইগুলো দেখলে আসলে নিজেদের কথাই মনে পড়ে যায় যে, তখন কত না ভালো ছিল, কত আনন্দের সময় ছিল। তবে এই মেলাগুলোতে এখন যে বাচ্চাদের এই গাড়ির উপর বসিয়ে বা ঘোড়ার পিঠে বসিয়ে সার্কেলের মতো ঘুরানোর দৃশ্যটা বেশ ভালো লাগে। তবে মোটরের মাধ্যমে যেগুলো আঁকাবাঁকা করে ঘুরলি দেয়, এইগুলো আমার কাছে ভয়ঙ্কর লাগে, কারণ মাথা ঘুরায় অসম্ভব এই গুলোতে। যাইহোক, এইখানে খানিক্ষন ঘুরাঘুরির পরে তেমন কোনো অনুষ্ঠান শুরু হয়নি বলে আবার বাইরের দিক থেকে ঘুরে এসে ৮ টার দিকে দেখলাম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
ওইদিন আবার আমাদের সবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রবীন্দ্র জয়ন্তী' উৎসবও ছিল। মূলত তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো সাজিয়েছিল এই উপলক্ষে। তবে এখানে এই উৎসবের বা মেলার সাথে সাথে একটা মহৎ কাজের মতো কাজ করে থাকে যে, রক্তদান শিবিরের কাজ। কেউ চাইলে তারা ক্যাম্পেইন করে এখানে স্বেচ্ছায় রক্ত নিয়ে থাকে এবং পরে সেটা ব্লাড ব্যাঙ্ক যোগাযোগে পাঠিয়ে থাকে। যাইহোক, এখানে বাচ্চারা, বড়োরা সবাই মোটামুটি রবীন্দ্র সংগীতের সাথে নৃত্য করছিলো আর কবিতাও আবৃত্তি করছিলো, দেখে বেশ ভালো লাগছিলো অনুষ্ঠানটি। ঘন্টাখানিকের মতো দেখে মোটামুটি চলে এসেছিলাম। আসলে এই মেলা সম্পর্কে তেমন কিছু বলার নেই, ছোট একটা মেলা।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ৮ মে ২০২৪ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেলায় খুব বেশি লোক সমাগম না হলেও খুব বেশিদিন না হলেও ৩২ বছর ধরে যখন হচ্ছে বুঝতেই হবে মেলার আলাদা একটা ঐতিহ্য আছে। মেলা থেকে কেনা খেলনা গুলো আমারও খুব একটা বেশিদিন যেত না। কিন্তু প্রত্যেক মেলায় কিনতাম। মেলার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আসলে দাদা কোথাও যেতে ইচ্ছে না করলেও বন্ধুরা বললে কিন্তু তখন না করা যায় না। ভালোই করেছেন বন্ধুদের সাথে মেলায় গিয়ে। গতবছরেও আপনার এই মেলার পোস্ট দেখেছিলাম। তবে মেলাটা দেখছি অনেক বছরের পুরনো। ৩২ বছরে পদার্পণ করল। তবে এমনিতে মেলাতে ঘুরতে ভালো লাগলেও, কাদা হয়ে গেছে শুনে একটু কেমন লাগছিল। কাদাতে হাঁটতে ভালো লাগেনা। আবার দেখছি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও হয়েছে। আসলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে কিন্তু ভালই লাগে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন দাদা। আমাদের মাঝে মেলার মুহূর্তে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ছোট হোক কিংবা বড়, মেলায় যেতে আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। যাইহোক আপনার যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও, শেষ পর্যন্ত দুইজন স্কুল বন্ধুর জন্য মেলায় যেতেই হলো। আসলে বন্ধু বান্ধব ডাকলে না গিয়ে উপায় থাকে না। মেলায় যদি দূর দূরান্ত থেকে লোকজন না আসে, তাহলে মেলা ততোটা জমে না। মোটকথা মেলা জমজমাট করতে হলে,শুধুমাত্র লোকাল মানুষজন না,বরং তার সাথে বাহিরের লোকজনও যেতে হয়। দাদা ছোটবেলায় আমরাও অনেক বন্দুক কিনেছি। মেলা থেকে বন্দুক কিনে বন্ধুদের সাথে অনেক মজা করতাম। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন। মেলায় ঘুরাঘুরি করে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে মোটামুটি ভালোই সময় কাটিয়েছেন দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মেলায় গিয়ে চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করেছেন দাদা।আপনাদের ওখানটাতে দুটো মেলা চললেও আপনি মিলন মেলায় গেলেন।যদিও খুব ছোট মেলা।তাই লোক সমাগম ও কম।তবে যেহেতু ৩২ বছর ধরে মেলাটি হয়ে যাচ্ছে।তবে তো ওই এলাকার মানুষের মনে আনন্দ লাগার কথা।বেশ অনেক বছর ধরেই চলছে মেলাটি।আপনি স্কুল বন্ধু দুজনের ডাকে বাসা থেকে বের হয়ে মেলায় ঘুরতে গেলেন। ফটোগ্রাফি দেখে বুঝলাম বৃষ্টিতে কাঁদা কাঁদা অবস্থা। তারপরেও রবীন্দ্র জয়ন্তীকে সামনে রেখে চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন। আর আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন দাদা। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ছোটবেলায় আমিও মেলায় গিয়ে বন্দুক কিনতাম ভাই, এটা এক ধরনের আমারও নেশা ছিল। দিলেন তো অতীত মনে করে,দারুণ উপভোগ করলাম ব্লগটা।