Better Life With Steem || The Diary game || 11 May 2024||
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিলাম। এরপরে দেখলাম চারপাশে এখন অন্ধকার, তাই আবার শুয়ে পড়লাম শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছেনা। কাশির পরিমাণটা কেমন জানি কমছে না। যার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগছে।
একটু পরেই দেখতে পেলাম বাহিরে আলো দেখা যাচ্ছে। তাই প্রথমত সবকিছু রেডি করে রান্না করে চলে গেলাম, এরপর সেমাই রান্না করে নিয়েছিলাম। আজকে সকালবেলা সবাই নাস্তা হিসেবে সেমাই খাবে, আর আমাকে ধান রোদে দিতে হবে। রোদের পরিমাণটাও একটু একটু করে বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আকাশটা একেবারেই পরিষ্কার, তবে মনে ভয় আছে। কেননা আবহাওয়া বার্তা থেকে জানতে পেরেছিলাম, বিকেলবেলা হয়তোবা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সকাল সকাল আকাশ পরিস্কার দেখে তাড়াতাড়ি প্রথমে ছাদে গেলাম, এরপর পুরো ছাদ ঝাড়ু দিয়ে নিলাম এবং এক এক করে ধানের বস্তা ছাদের উপর তুলে নিলাম। গতকালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম, কিছু ধান ভিজে গিয়েছিল, এরপরে প্রথমত ভেজা ধানগুলো ছাদের উপর মেলে দিলাম। কেননা যেগুলো একটু শুকনা আছে সেগুলো একটু পরে মেলে দিলে হবে।
ভালোভাবে মেলে দিয়ে নিচে নেমে আসলাম, আমাকে রান্না বান্নার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। বৃষ্টি কখন চলে আসে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রথমত রান্নাবান্নার জন্য সবকিছু রেডি করে নিলাম। এরপর এক এক করে রান্না শেষ করে নিলাম। রান্না-বান্না শেষ করতে আমার প্রায় এগারোটা বেজে গেল।
আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ, এখনও পর্যন্ত রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে, এবং আবহাওয়া বেশ ভালো। সবকিছু ঘরে গুছিয়ে নিয়ে এসে আমি ছাদে চলে গেলাম। এরপর ধান আবার উলটপালট করে দিলাম, যাতে তাড়াতাড়ি করে শুকিয়ে যায়।
তবে আজকে শুকানোর সম্ভাবনা একেবারেই কম। কেননা একটু পর পর রোদের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, আকাশে মেঘের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। মনের মধ্যে প্রচন্ড ভয় একটু পরেই জোহরের আযান দিয়ে দিল, চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি ধান এক জায়গায় নিয়ে আসলাম।
কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, বৃষ্টি আকাশে দেখা মাত্রই ধান এক জায়গায় নিয়ে আসলাম। একটা একটা বস্তা করে ভরে নিলাম এবং নিচে নিয়ে আসা শুরু করলাম, হয়তোবা আমার ভাগ্যটা খারাপ, আজকেও কিছু পরিমাণে ধান একেবারেই ভিজে একাকার হয়ে গেছে।
মনটা আজকেও খারাপ হয়ে গেল, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে শরীর একেবারেই ভিজে একাকার, এদিকে ঘরের অবস্থাও ভালো না। ঘর ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। তাই ভেজা শরীর নিয়ে পানি নিয়ে আসলাম এবং সমস্ত ঘর মুছে নিলাম, এরপর গোসল করে নিলাম যোহরের নামাজ আদায় করে কিছুক্ষণ বসে রইলাম নামাজের বিছানায়। মনটা খুব খারাপ মনে হয়েছিল, আজকে হয়তো বা ধান শুকিয়ে যাবে, কিন্তু আমার ভাগ্যটা খারাপ, কিছুই করার নেই। তার পরেও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
এরপর ছোট ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিলাম। আমিও দুপুরের খাবার খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিলাম। একটু পর নিজের পোস্ট লিখলাম এবং এরপরেই ভেরিফিকেশন শুরু করলাম। তারপর পোস্টের সংখ্যা খুবই কম ছিল, তাই কমিউনিটিতে সময় দেয়ার পাশাপাশি, কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম এবং আমার ঘরের কিছু কাজ সম্পূর্ণ করলাম।
আগেই ডাল সিদ্ধ করে রেখেছিলাম, তাই বিকেল বেলা চটপটি তৈরি করেছিলাম। আসলে ঝাল কিছু খেতে বেশ ইচ্ছে করছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে তৈরি করতে পারিনি। আজকে বিকেলবেলা বৃষ্টি হচ্ছিল,গরম গরম ঝাল চটপটি খেতে বেশ ভালোই লাগছিল। চটপটি খাওয়া শেষ হলে আসরের নামাজ পড়ে নিলাম, অন্ধকার হয়ে আছে চারপাশ একটু পরপর বৃষ্টি, আবার দুই এক মিনিট থামছে আবারো শুরু হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে বর্ষাকাল চলে এসেছে।
এভাবেই মাগরিব পর্যন্ত চলতে থাকলো। এরপর মাগরিবের আযান দিলে নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে পড়তে বসালাম, এবং কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম, এরপর ভেরিফাই করলাম। এরপর এশার আজান দিলে নামাজ পড়ে, ছেলেদেরকে খাবার খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি আবার ভেরিফিকেশন শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পেয়েছেন আকাশ একদম পরিষ্কার। সত্যিই আপনার তোলা আকাশের ছবিটি খুব সুন্দর হয়েছে।
কিন্তু আগে থেকেই বার্তা পেয়েছিলাম বিকেলের দিকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ঠিক তাই হলো বিকেলের দিকে বৃষ্টি এসেছিল।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবহাওয়া বার্তা থেকে সতর্কতা পেয়েই আমি অনেক বেশি সতর্ক হয়েছিলাম। তা নাহলে হয়তোবা আমার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যেত। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তাআলা যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করেন।