আম চুরির গল্প

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ একটি মজার বিষয় নিয়ে আপনার সাথে কথা বলব। আপনারা অনেকেই জানেন বর্তমানে আমি গ্রামে রয়েছি অর্থাৎ নীলফামারীতে রয়েছি। নীলফামারীতে বর্তমানে তেমন কোন কাজ নেই শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধবের সাথে একটু আড্ডা দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের মজা মাস্তি করা হচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে বর্তমানে কিন্তু অনেক গাছে আম ধরেছে তাই শুক্রবার প্ল্যানিং করেছিলাম কোন একটি গাছ থেকে আম চুরি করবো।

ছোটবেলার বন্ধু রয়েছে তারা বেশিরভাগই বাহিরে এবং বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত রয়েছে। তবে তারপরও আমাদের এই নীলফামারীতেও বেশ কিছু ছোটবেলার বন্ধু রয়েছে। যারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা কিন্তু পড়াশোনা সাথে এখনো জড়িত রয়েছে। তো কয়েকদিন আগেই তারা আমাকে নক দিয়েছিল এবং আমাদের একটি গ্রুপ ছিল। তারা একটি দলের সাথে ক্রিকেট খেলা নিয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যেই আমাদের সরকারি কলেজে শুক্রবার যাওয়া। যারা নীলফামারীতে এসেছিলেন তারা বলতে পারবেন নীলফামারী সরকারি কলেজ কতটা নিরিবিলিন এবং কতটা শান্তশিষ্ট একটি পরিবেশ। তো আমাদের এখানে অনেক বড় একটি পুকুর রয়েছে এর পাশেই স্টেডিয়াম রয়েছে এবং কলেজেরও মাঠ বিরাট বড়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কলেজের মাঠেই ক্রিকেট খেলব। ক্রিকেট খেলা নিয়ে আলাদা একটি পোস্ট করতে চাচ্ছি আজকে আম চুরির গল্প শেয়ার করি।

আমাদের খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল চারটার দিকে আমরা সবাই এক ঘন্টা আগেই মাঠে পৌঁছে যাই। কারণ একটু প্র্যাকটিস করার জন্য। আসলে আমরা যারা রয়েছি সবাই এখন আগের মত নিয়মিত খেলাধুলা করি না। বরঞ্চ হঠাৎ করে এভাবে করেই খেলাধুলা করা হয়। এতে করে ব্যাটিং তো সবাই মোটামুটি পারে কিন্তু বোলিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যা হয়ে যায়। যাই হোক একঘন্টা আগে কলেজ মাঠে পৌঁছে যাই আমাদের টিমের সবাই। কলেজ মাঠে কিন্তু অনেকগুলো আমগাছ রয়েছে এরপর কেন জানি চিন্তা হলো কিছু আম খাই তারপরে না হয় খেলাধুলা করা যাবে। পরবর্তীতে আমার একটি বন্ধু গাছে উঠেছিল এছাড়াও এই হুজুর আশেপাশ দিয়ে হাটাহাটি করছিল তাকেও ধরে বেঁধে গাছের উপরে উঠিয়ে দেই, হাহাহা। বলি যে কয়েকটা আম পাড়িয়ে দাও।

বর্তমানে শরীরের যা অবস্থা এতে করে আম গাছ থেকে যদি একবার পড়ে যাই তাহলে আমাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই আম গাছে উঠার দুঃসাহস এবার আর করিনি। আমরা প্রায় ১২-১৩ জন বন্ধু ছিলাম। সবাই দু তিনটে করে আম খেয়ে নিয়েছিলাম। অনেকগুলো আম পারা হয়েছিল তবে আমগুলো খুব একটা বেশি বড় হয়নি তাই বেশি আর অত্যাচার করা হয় নি। তা ছাড়া সরকারি কলেজ আমাদের এলাকার মধ্যেই পরে, তাই আম চুরি করা নিয়ে কেউ কোন কিছু প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সব মিলিয়ে ২০-২৫ মিনিটের মতো সময় সেখানেই চলে যায়। এছাড়াও পরবর্তীতে দেখতে পারি আরও একটি গাছেও প্রচুর আম ধরেছে। সেটাকে ও টার্গেটে রেখেছি, হয়তো ঢাকায় ব্যাক করার আগে সেই গাছের উপর অত্যাচার করা হবে, হাহাহা।

আসলে এই আম চুরির বিষয়টা একটি আনন্দ মাত্র আর কিছুই না। বর্তমানে আমরা যারা রয়েছি আম কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আমাদের সকলেরই রয়েছে তবে সেই যে ছোটবেলায় আম চুরি করার অনুভূতিগুলো সেগুলো আবার পেতে চাই তাই এই ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা করেছিলাম। জানি আপনাদের হয়তো এটা হাস্যকর লাগতে পারে তারপরও ছোটবেলার সেসব স্মৃতিগুলো মনে করার জন্যই এই কার্যক্রমগুলো করা। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: আম চুরির গল্প

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......