সম্মান এর একাল সেকাল
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা যদি আগের সাথে বর্তমানকে তুলনা করি অর্থাৎ অতীত সময় কালের সাথে যদি বর্তমান সময় কালকে তুলনা করি। তাহলে আমরা অতীতকে বলি ওল্ড এবং বর্তমানকে মডার্ন যুগ বলেই ঘোষণা করি এবং অতীতের সব কিছুকেই আমরা ওল্ড ফ্যাশন বলেই খানিকটা পাত্তা দিতে চাইনা। অবশ্য খানিকটা বললেও হয়তো এখন ভুল বলা হবে। কারণ আমরা অতীতের কোনো কিছুকে মোটেও পাত্তা দিতে চাইনা। এবং আমাদের কাছে মনে হয় যে অতীতে যেভাবে লাইফস্টাইল ছিলো,অতীতে যেভাবে জীবন পরিচালনা করতো, এসব সবকিছুই একেবারে ব্যাকডেটেড ছিলো।
সে সাথে বর্তমানে আমরা যেভাবে লাইফ লিড করছি, আমরা আমাদের জীবনকে যেভাবে পরিচালনা করছি। এটা একেবারেই আপডেটেড একটা সিস্টেম এবং এর চেয়ে ভালো সিস্টেম অতীতে কখনোই ছিলো না ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ আমাদের অন্তত ধারণাটা সবার এমনটাই হয়ে থাকে।
কিন্তু এই আপডেটেড এবং ব্যাকডেটেড এর মাঝখানে যে জিনিসটা হারাতে বসেছে। সেটা হলো, অন্যকে সম্মান দেওয়া। যেটা অতীতকালে অনেক বেশি দেখা গেলেও, তা আমাদের সমাজে বর্তমানে মোটামুটি নেই বললেই চলে। বর্তমানে এখন অনেকটাই টাকা পয়সার অভাব কারো নেই বললেই চলে। অর্থাৎ যাদের অভাব নেই তাদের জীবনেও অভাব হবে না। আর যাদের অভাব রয়েছে, তাদের জীবনেও কোনো উন্নতি আসবে না। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের দেশ দাঁড়িয়ে আছে।
আর সেই অবস্থা থেকে যে বিষয়টা একেবারে নেই হয়ে গিয়েছে। সেটা হলো,মানুষকে সম্মান দেওয়া। যেটা আসলে অতীতে অনেক বেশি দেখা যেতো। এখন কেউ কাউকে পাত্তা দিতে চায় না, কেউ কাউকে সম্মান দেওয়া তো দূরে থাক। সম্মান দেখাতে পর্যন্ত চায়না। আমি জানিনা সমাজের এই পরিবর্তনটার আর কারো চোখে পরেছে কিনা। কিন্তু আমার সত্যিই মনে হয় যে সমাজটা আগে অনেক সুন্দর এবং সাধারন ছিলো।যেটা এখন আর নেই অর্থাৎ সেই সাধারনত্ব টা হারিয়ে গিয়েছে।
আসলেই বর্তমান সমাজের বেশিরভাগ মানুষ একে অপরের প্রতি সম্মান দেখায় না। মুরুব্বিরা সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে সালাম পর্যন্ত দেয় না। তাছাড়া মুরুব্বিদের সামনে সিগারেট খেতেও দ্বিধাবোধ করে না। আমরা যতই আপডেট হচ্ছি,ততই চক্ষুলজ্জা কমে যাচ্ছে। সামনে যে কি হবে, সেটাই ভাবছি। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।