বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি 🥘🥘
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের বগুড়ার বিখ্যাত রেসিপি সেটি হচ্ছে আলু ঘাটি।এটা মাছ, ডিম কিংবা মাংস দিয়ে রান্না করা যায়। আজ আমি রান্না করেছি তেলাপিয়া মাছ দিয়ে। গতকাল বাসায় ফিরেছি বিকেল বেলা। বাসা পরিষ্কার করতে করতে অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। কোনো মতো বাহির থেকে খাবার খেয়ে এসেছিলাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে গেলাম বিপদে। কারণ আমার মাথাতেই ছিল না যে বাসায় কোনো বাজার নেই। যাইহোক ফ্রিজ থেকে কিছু তেলাপিয়া মাছ পেলাম এবং বাসায় আলু ছিল। ভাবলাম এটা দিয়েই মজাদার আলু ঘাটি বানিয়ে ফেলি।তবে রেসিপিটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।তো চলুন বন্ধুরা রেসিপিটা শুরু করি। আশা করছি ভাল লাগবে।
উপকরনসমূহঃ |
---|
সেদ্ধ আলু |
তেলাপিয়া মাছ |
পেঁয়াজ কুচি |
কাঁচামরিচ ফালি |
আদা-রসুন বাটা |
জিরা-ধনিয়ার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
গরম মসলা |
পাঁচফোড়ন |
লবণ |
তেল |
ধাপ-১
প্রথমে আলুগুলো সেদ্ধ করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে সেদ্ধ আলুগুলো হাত দিয়ে আধা ভাঙ্গা করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে দিয়েছি পাঁচফোড়ন এবং গরম মসলার ফোড়ন। এবার ফোড়ন নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার সকল গুঁড়া মসলা এবং বাটা মশলা দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৪
মসলা কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে নিতে হবে। মাছগুলো ভালোভাবে রান্না করা হয়ে গেলে ভাজনির সাহায্যে মাছগুলো একদম ভেঙে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার ভেঙে রাখা আলুগুলো দিয়ে সকল উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে আরো ১৫ মিনিটের মত কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
একবার পানি দিয়ে কষানো হয়ে গেলে এবার রান্নার জন্য আবারো গরম পানি দিয়ে তরকারি ফুটে উঠলেই নামিয়ে নিতে হবে।নামানোর সময় আপনারা চাইলে ভাজা জিরার গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন।
রেসিপির ফাইনাল লুকঃ
রেসিপির ভিডিও টি উপভোগ করতে নিচে ক্লিক করুন। 🙏
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যারা এভাবে কখনো রান্না করেননি অবশ্যই একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি আপনারা এটা পছন্দ করবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আলুর এই ঘাটিকে আমরা আলুর ডাল বলে থাকি।আসলে একেক জায়গার একেক নাম হয় রেসিপির। তবে চমৎকার লাগছে দেখতে।খেতেও অনেক সুস্বাদু হয় এই তরকারি টি।আপনি কাঁচা মাছ ব্যাবহার করেছেন রান্নায়।ভেজে রান্না করলে আরো বেশি সুস্বাদু হয় তরকারি টি।রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদেরই সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য আমাদের সাথে।
আপু ডাল এবং ঘাটির মধ্যে পার্থক্য আছে।যেটা পাতলা হয় সেটাকে আমার ডাল বলি আর ঘাটি টা একটু ভারী হয়ে থাকে।সব সময় তো ভাজা মাছ দিয়ে খেয়ে থাকেন অবশ্যই একবার কাঁচা মাছ দিয়ে এভাবে রান্না করবেন দেখবেন আরো বেশি ভালো লাগবে। যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের দিকেও বগুড়ার কিছু কিছু মানুষ আছে। যার ফলে আমরাও মাঝে মাঝে বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি খেতে পারি। এটা উত্তর বঙ্গের মানুষ খুব সুন্দর ভাবে বানাতে পারে। তবে আপনার রেসিপি কালার একটু সুন্দর দেখা যায়। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা আমাদের উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় একটি খাবার। আমরা এটা বিভিন্নভাবে রান্না করে থাকি মাছ, মাংস কিংবা ডিম দিয়ে। যাইহোক আপনি বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আলু ঘাটি আমার অনেক পছন্দের তরকারি। বলতে পারেন আলো আমার সব থেকে ভালো লাগে দরকারের মধ্যে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে বগুড়ার আলু ঘাটি রেসিপিটি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনি চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আলু ঘাটি রেসিপি রেসিপি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে ডিম দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। রেসিপি খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একেক জনের পছন্দ একেক রকম ভাইয়া। তবে আমার কাছে মাছ এবং মাংস দিয়ে রান্না করলেই বেশি ভালো লাগে খেতে। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু কয়েক দিন বাসায় না থাকলে ফিরে আসলে কাজের শেষ থাকে না। আপনি ফ্রিজ খুলে কিছু তেলাপিয়া মাছ পেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। তবে আলুর ঘাটি এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একবার রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু। আমার বিশ্বাস আপনি এটা বারবার রান্না করবেন।খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ চমৎকারভাবে রেসিপির কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন আপনি। বেশ অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এ রেসিপি দেখে যেখানে ভিডিওটাও প্রকাশ করেছেন দেখার সুবিধার্থে। সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপি টি আগেও খেয়েছি ভালোই লাগে। তবে মাছ দিয়ে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু আরো ভালো লাগবে।
বগুড়ার বিখ্যাত আলু ঘাটি রেসিপির কথা অনেক শুনেছি, তবে কখনো খাওয়া হয়নি আপু। তাই আপনার তৈরি আলু ঘাটি রেসিপি দেখে উপলব্ধি করতে পারছি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আপু খুব সুন্দর করে আলু ঘাটি রেসিপির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপনের পাশাপাশি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য।
আমি যেভাবে রান্না করা দেখিয়েছি এভাবে ভাবিকে রান্না করতে বলবেন ভাইয়া। এটা খেতে খুবই মজাদার হয়। আমার বিশ্বাস আপনার এটা পছন্দ হবে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রাম থেকে বাসায় ফিরেছেন তাহলে। আলু ঘাটি কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে রান্না করার প্রসেস শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি টা দেখে তো খুবই লোভনীয় লাগছে। এভাবে তাহলে একদিন ট্রাই করে দেখব। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এই রেসিপিটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।