সুস্বাদু কেক বানানোর রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ15 days ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

Thanksgiving Recipe Facebook Post_20240515_021908_0000.png

Canva অ্যাপ দিয়ে তৈরি

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। আজকের পোস্টের মাঝে আমি আপনাদের মাঝে মূলত একটি রেসিপি শেয়ার করব। আর রেসিপিটা হতে চলেছে কেক বানানোর। আসলে আমরা কেক খেতে অনেকেই ভালোবাসি তবে সব সময় বাইরে থেকে কেক কিনে খাওয়ার থেকে মাঝে মাঝে বাড়িতে ট্রাই করলে মন্দ হয় না। তো সেরকমই একটি ভাবনা থেকে আমরা কেকটি তৈরি করেছিলাম। আজকে মূলত তারই রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি। তো চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে কেকটি বানানোর রেসিপির ধাপ গুলো দেখে নেওয়া যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

উপকরণের নামপরিমাণ
আটা১ কাপ
ডিম১টি
লবণস্বাদমতো
দুধ১ কাপ
বেকিং পাউডারপরিমাণ মতো
সয়াবিন তেলপরিমাণ মতো
চিনি১ কাপ

প্রয়োজনীয় ধাপ সমূহ

ধাপ-১

IMG_20240514_233721.jpg

প্রথমে কেকটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো গুছিয়ে নিব।

ধাপ-২

IMG_20240515_020653.jpg

এরপর প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো গুছানো হয়ে গেলে প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে ডিমটাকে ভেঙে তার মধ্যে পরিমান মত লবণ এবং এক কাপ চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিব।

ধাপ-৩

IMG_20240515_020823.jpg

এরপর এর মধ্যে সয়াবিন তেল ও আটা দিয়েও চিত্র অনুরুপভাবে ভালোমতো মাখিয়ে নিব।

ধাপ-৪

IMG_20240515_020920.jpg

এরপর বেকিং পাউডার ও দুধ দিয়ে আবারো বেশ কিছুক্ষণ ধরে ভালোমতো মিক্স করে নিব।

ব্যাস এভাবেই সবগুলো উপাদান ঠিকঠাক মতো মাখিয়ে নেওয়ার হয়ে গেলে আমাদের কেক বানানোর জন্য ব্যাটারটা তৈরি হয়ে যাবে।

ধাপ-৫

IMG_20240515_021045.jpg

তো এরপর কেকটির কোনো রকম একটি আকার দেওয়ার জন্য একটি বাটি ব্যবহার করা হয়েছিলো। প্রথমে আমরা বাটিটাকে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম এরপর বাটির চারিপাশে সয়াবিন তেল লাগিয়ে দিয়েছিলাম যাতে কেকটা বাটির সাথে লেগে না যায়। শুধু তেল দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি তা নয় তাঁর উপর আবার কাগজও দিয়েছিলাম যেন কেকটাকে আমরা বাটি থেকে আরও ভালোভাবে আলাদা করতে পারি। এরপর বাটিটা প্রস্তুত হয়ে গেলে এর মধ্যে আমরা কেক তৈরির জন্য প্রস্তুত করা ব্যাটারটা ঢেলে দিয়েছিলাম।

ধাপ-৬

IMG_20240515_021142.jpg

যাই হোক সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে এবার শুধু ভাপ দেওয়ার পালা। ভাপ দেয়ার জন্য আমরা প্রথমে বড় একটি হাড়ি চুলার উপর বসিয়ে দিয়েছিলাম। তার উপর আবার একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে আমরা কেকের বাটিটা বসিয়ে দিয়েছিলাম।

ধাপ-৭

IMG_20240515_021248.jpg

তো কেক এর বাটিটা বসিয়ে দেওয়ার পর আমরা কেকের বাটি এবং বড় হাঁড়িটা ঢেকে জ্বাল দেওয়ার মাধ্যমে বেশ কিছুক্ষণ ভাপ দিয়ে নিয়েছিলাম। আর এভাবেই মূলত আমাদের কেকটা বানানো সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তবে ভাব দেয়ার সময় মাঝে মাঝে আমরা ঢাকনি উচু করে চেক করে দেখছিলাম কেকটা হয়েছে কিনা।

ধাপ-৮

IMG_20240515_021535.jpg

IMG_20221104_234159-01.jpeg

এবারে কেক বানানোর শেষ হয়ে গেলে আমরা কেকটিকে বাটি থেকে আলাদা করে নিয়েছিলাম।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এটাই ছিল মূলত আমার শেয়ার করা কেক বানানোর রেসিপি। রেসিপি টা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  
 14 days ago 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কেক তৈরি করলে কিন্তু অনেক বেশি মজাদার হয় যা খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি তো মাঝেমধ্যেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এরকম ভাবে কেক তৈরি করে থাকি। আমার কাছে কিন্তু বাজারের কেক থেকে, ঘরে তৈরি করা কেক বেশি ভালো লাগে খেতে। আবার ঘরে তৈরি করা কেক কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ও অনেক ভালো। আপনি এত মজাদার কেক তৈরি করলেন, দেখেই তো ইচ্ছে করছে কয়েক পিস তুলে নিয়ে আমি খেয়ে ফেলি। আসলে যখন কষ্টের ফল সুন্দর হয় তখন খুব ভালো লাগে। আর আপনার কেকটা পারফেক্ট হয়েছে দেখে আপনি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিলেন।

 14 days ago 

আপনিও মাঝে মাঝে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কেক বানিয়ে থাকেন জেনে ভালো লাগলো। আর আমার কেকটি বানানোর সম্পূর্ণ ক্রেডিট হচ্ছে আমার আপুর। আমি শুধু হেল্প করেছিলাম। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 15 days ago 

বাসায় কিভাবে মজাদার কেক তৈরি করতে হয় সেটা আজকে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা দেখে নিজেও বাসায় কেক তৈরি করা সম্ভব। অনেক লোভনীয় ছিল ভাইয়া শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 14 days ago 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি ভিজিট করে মন্তব্যটি করার জন্য।

 14 days ago 

আপনার চেষ্টা সফল হয়েছে, কেকটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে নিজের প্রচেষ্টায় কোন কিছু করতে পারলে খুবই ভালো লাগে। অষ্টম ধাপে এসে কষ্টের সুফল দেখা গেল। আর তখন মনের অজান্তেই একটি হাঁসি চলে আসে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 14 days ago 

জি,সবশেষে যদি সুফল পাওয়া যায় তাহলে ভালই লাগে।

 14 days ago 

বাসায় তৈরি করা খাবার গুলো খেতে একটু বেশি মজা লাগে। কেক তৈরির ধাপসমূহ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। যে কেউ চাইলে আপনার পোস্ট দেখে কেক তৈরি করতে পারবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 14 days ago 

যতটুক সম্ভব চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

 14 days ago 

এটা সত্যি বলেছেন যে, কেক সবার কাছেই অনেক ভালো লাগে। আমিও আপনার মত এর আগে বাড়িতে নিজে বানিয়েছিলাম তবে আমার কেকের রেসিপিটি খুব একটা ভালো হয়েছিলো না তাই সেটা শেয়ার করতে পারিনি। আপনি অনেক সুন্দর কেকের রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাই। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 14 days ago 

আপনার কেকের রেসিপি টা ভালো হয়নি যার কারণে শেয়ার করতে পারেননি জেনে খারাপ লাগলো। পরবর্তীতে আবারো ট্রাই করবেন আশা করি সফল হতে পারবেন।

 14 days ago 

আমি বাসায় যতবারই কেক বানাতে গিয়েছি ততবারই ব্যর্থ হয়েছি তাই আর চেষ্টা করি না এখন। আপনি খুব সুন্দরভাবে কেকের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 14 days ago 

একটু ভালোভাবে চেষ্টা করবেন আশা করি আপনিও পারবেন সুন্দর মত একটি কেক তৈরি করতে।

 14 days ago 

বিকেলের না তাই কে অথবা নুডুলস এই দুইটা আমার সব থেকে বেশি প্রিয়।
তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কখনো কেক প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি।
আজ আপনি কেক প্রস্তুত করে ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন।
আপনার প্রস্তুত করা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।

 14 days ago 

বিকেলের নাস্তা হিসেবে কেক এবং লুডুস আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

 14 days ago 

নিজে হাতে কখনো কেক বানিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি কেক রেসিপিটি দেখে একদিন বাসায় বানানোর চেষ্টা করব। আপনি বেশ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে সুস্বাদু কেক বানানোর রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 68493.85
ETH 3838.65
USDT 1.00
SBD 3.64