লঘু পাপে গুরু দন্ড

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের সাথে এমন একটি লেখা শেয়ার করতে এসেছি। যে লেখাটির সাথে আমাদের সমাজের বাস্তবিক চিত্র একেবারে মিলে যায় এবং আশা করছি এই লেখাটি পড়ে আপনাদেরও একটু হলেও মন খারাপ হবে। কারণ এমন একটা বিষয় নিয়েই আজকে আমি লেখালেখি করতে এসেছি।

আমি কয়েক দিন আগে নিউজ ফিড ঘাটতে ঘাটতে একটি ব্যাপার লক্ষ্য করেছি অর্থাৎ একটি ঘটনা। তো প্রথমেই আমি ঘটনার সারমর্মটি আপনাদের বলি। এরপরে আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

ঘটনাটি একটি মহিলা বিস্তারিতভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে এবং মোটামুটি সারমর্মটি হলো, একটি ছেলে একটা দোকান থেকে কয়েকটা ক্লিপ চুরি করেছে। অর্থাৎ বড়জোর ৩০ থেকে ৪০ টাকার কিছু জিনিস চুরি করেছে এবং তাও সেটা রোজার সময়ে। এবং সে আসলে চুরি করতে খুব একটা পারদর্শীয নয় তাই ধরাও পরেছে। সে কারণেই তাকে একেবারে সকাল থেকে দোকানদার মেরেছে ও কয়েক দফা আর বেঁধেও রেখেছিলো।। এরপরে বাচ্চাটা বারবার বলছিলো যে সে আসলে চুরি করতে চায়নি কিংবা সে চোরও নয়। সে শুধুমাত্র তার ছোটবোনের জন্য এই জিনিসগুলো নিতে চেয়েছিলো কারণ তার সামর্থ্য নেই। আসলে বাচ্চাটি খুব একটা বড় ছিলো না। অর্থাৎ নিত্তান্তই একটা ছোট বাচ্চা।

আর সেখানে শপিং করতে গিয়েছিলো ওই মহিলাটি। তাই ওই মহিলাটি ওই দোকানদারদের অনেক রিকোয়েস্ট করেছিলো যেনো তারা বাচ্চাটাকে ছেড়ে দেয়। আর বাচ্চাটা যে জিনিসগুলা নিয়েছে সেই জিনিসগুলোর দাম ওই মহিলাটি দিয়ে দিবে। কিন্তু ওই দোকানদার গুলো ওই মহিলাটির কথা কোনোভাবেই শুনে নি। এরপরে ওই মহিলাটি বাসায় আসার পর থেকে আসলে মহিলাটির অনেক বেশি খারাপ লাগছিলো। কারণ রোজার সময়ে এরকম একটা দৃশ্য সত্যিই দেখা যায় না।

আমরা আসলে আমাদের চারপাশের মানুষগুলোকে মাঝেমধ্যে খুব সামান্য সামান্য অপরাধের জন্যও এমন বড় বড় কিছু শাস্তি দিয়ে ফেলিয যেগুলোর জন্য হয়তো আমাদেরই পাপ বোধ হওয়া উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের হয় না, এটাই হলো দুঃখের বিষয়।

আর আমি মনে করি যতটুকু দোষ শাস্তিটা ঠিক ততটুকুই হওয়া উচিত। আমাদের কখনোই শাস্তি দিতে দিতে মানবিকতা হারিয়ে ফেলা উচিত না। কারণ একটা মানুষ যখন চুরি করে। তখন সেই চুরির পিছনে কি কারন রয়েছে,সেটা অবশ্যই জানতে হবে। অর্থাৎ অনেক মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র কাজ না করার জন্য চুরি করে। তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায়। কিন্তু যারা আসলে পেটের ক্ষুধার তাগিদে চুরি করে। তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার আগে আমি মনে করি দেশের সরকারের শাস্তি পাওয়া উচিত। কারণ তার দেশের মানুষ না খেয়ে চুরি করছে! এটা সরকারের লজ্জা, এটা কিন্তু চোরের লজ্জা নয়।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।