ভালোবাসার স্মৃতি ১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।
ভালোবাসার স্মৃতি ১ম পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটা গল্প শেয়ার করার জন্য। আর সেই চেষ্টা থেকে আজও এসেছি একটা গল্প নিয়ে। সত্যি বলতে গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা। সত্যিকারে ভালোবাসা যা মৃত্যু ছাড়া কাউকে আলাদা করতে পারে না। তেমনি একটা গল্প নিয়ে আজ এসেছি ভালোবাসার স্মৃতি। আসলে এমন কিছু মানুষ আছে যারা ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে ফেলে ও তার স্মৃতি গুলো নিয়ে বেঁচে থাকে।তেমনি একটা গল্প নিয়ে এসেছি ভালোবাসার স্মৃতি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
অন্তরা ও আবির দুজনে বেশ ভালো বন্ধু ছিল ছোট বেলা থেকে। কিন্তু অন্তরার যখন সাত বছর তখন তার বাবা তাকে ঢাকা নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে ঢাকায় ভালো স্কুলে ভর্তি করে দেয়। পাশাপাশি বাড়ি ছিল বিদায় দুজনের বন্ধু ছিল একা সাথে খেলাধুলা করতো।এভাবে অনেক দিন চলে গেল। এখন দুজন দুজনকে প্রায় ভুলেই গিয়েছে। এদিকে আবির যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন তার মামা নিয়ে তাদের শহরে ভর্তি করে দিল।যাইহোক দুজনের মধ্যে তেমন আর কোন যোগাযোগ ছিল না। তারপর দুজনে বেশ মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছিল। এদিকে অন্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হলো।আর আবির অন্তরার এক বছর আগে ভর্তি হলো।হঠাৎ একদিন আবিরের সাথে অন্তরার দেখা হয়ে গেল। প্রথমে দুজন দুজনকে চিনতে পারেনি। তারপর দুজনের মধ্যে পরিচয় হলো।তখন দুজনে সেই ছোট বেলায় ফিরে গেল।এখন থেকে দুজনে আবার আগের মতো কথা দেখা করে সব সময়।
এভাবে বেশ কিছু দিন চলতে লাগলো। তারপর দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হলো। এখন একজন আরেক জনকে ছাড়া কখনো বাঁচবে না। তারপর দুজনে সিদ্ধান্ত নিল বিয়ে করবে। তবে দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক তাই সকল সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারে। তবে দুজনেই যেহেতু স্টুডেন্ট তাই তারা আগে পড়াশোনা শেষ করতে চেয়েছিল।ইতিমধ্যে বিশ্ব বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা করলো। দুজনেই যার যার মতো বাসায় চলে আসলো।আর অন্তরার এক বছর হলে অর্নাস শেষ হয়ে যায়। তবে অন্তরা বাসায় আসার পরপরই একটা ভালো ছেলে এসে পছন্দ করলো। অন্তরা বাবার বন্ধুর ছেলে। এখন অন্তরাকে সেই ছেলের সাথে বিয়ে দেবে কিন্তু অন্তরা এখন কিছুতেই বিয়ে করবে না।
এদিকে অন্তরার বাবা বললো কেন তোমার কোন পছন্দ আছে। অন্তরা তার পছন্দের কথা না স্বাীকার করলো।আসলে অন্তরার বাবা অনেক রাগী মানুষ আবার হার্ডে সমস্যা ডাক্তার বলেছে বেশি টেনশন করলে যেকোন সময় মারা যেতে পারে। এদিকে বাবা অন্য দিকে তার ভালোবাসা সব মিলে অন্তরা মহা ঝামেলায় পড়লো।তখন অন্তরা বললো বাবা আমি এখন পড়াশোনা শেষ করে নেয় তারপর বিয়ে করবো।এখন বিয়ে করবো না।এদিকে ছেলের পক্ষ বলছে অন্তরার পড়াশোনার কোন কমতি রাখবো না। এখন বিয়ে না হোক তবে এনগেজমেন্ট করে রাখি কিন্তু অন্তরা কিছু করতেই রাজি না। অবশেষে অন্তরা আবিরকে সব ঘটনা খুলে বললো।অবশেষে আবির অন্তরাকে বললো তুমি পালিয়ে আসো আমরা বিয়ে করে নেব।ইতিমধ্যে তাদের বিশ্ব বিদ্যালয় খুলে দিল। অন্তরা তার বাবাকে বলেছে সে এসে পরে বিয়ে করবে।
যাইহোক অন্তরার বাবা মেয়ের কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ছেলের বাবাকে কথা দিল।।এদিকে অন্তরা ফিরে গিয়ে আবিরকে বিয়ে করে ফেলল।প্রথমে তারা দুজনে একটা বাসা ভাড়া নিল।আসলে তারা দুজনেই টিউশনি করে। এদিকে আবিরের পড়াশোনা শেষ হয়ে গেল এখন আবির চাকরি খুঁজছে। খুঁজতে খুঁজতে আবির বড় একটা কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে গেল।চাকরি পাবার পরে আবির তার মা বাবাকে সব খুলে বললো।তার বাবা মা সব মেনে নিল।আসলে তাদের একমাত্র সন্তান আবির।এভাবে চলে গেল বেশ কিছু দিন অন্তরা আর বাড়িতে আসে না তবে ফোনে যোগাযোগ করে সব সময়। আবারো বিশ্ব বিদ্যালয় বন্ধ হলো।এদিকে অম্তরার বিয়ে হয়েছে সেই খবর তার বাবা তার বন্ধুর ছেলের কাছ থেকে পেয়েছে। তাই অন্তরা ভয়ে তার বাবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।এদিকে আবিরের বাবামা অন্তরাকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় যাবার পরের দিন অন্তরা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লো।তারপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল তখন ডাক্তার বললো অন্তরা প্রেগন্যান্ট । এটা শোনে আবিরের বাবা মা অনেক খুশি। আর অন্য দিকে অন্তরা বাবা অন্তরার সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে স্ট্রোক করে বসলো।একথা অন্তরা শোনলো।[চলবে]
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আজ আপনার ভালোবাসার স্মৃতি গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আবির আর অন্তরার ভালোবাসার প্রথমেই পূনতা পেল। তারা দুজনেই নিজেরাই বিয়ে করে ফেলল। তবে খারাপ লাগছে অন্তরার বাবার জন্য। খুবি ইন্টারেস্টিং জায়গায় গল্পটির সমাপ্তি করলেন।আগামী পর্বে কি হবে সেইটাই ভাবছি। তবে আমি মনে করছি অন্তরা তার বাবার বাসায় এসে যেকোন ভাবে আটকে যাবে। দেখি কি হয় নেক্সট পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসবো ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক সুন্দর স্মৃতি প্রকাশ করেছেন আজকে আপনি। খুবই ভালো লাগলো এমন একটা ভালোবাসা ময় ঘটনা শেয়ার করেছেন দেখে। এটা তো প্রেম অনুভূতিমূলক গল্পগুলো ভালো লাগে যদি প্রেমের সাকসেস দেখতে পাওয়া যায় শেষে।
আপনার গল্পটি ভালো লেগেছে যেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। প্রেম-ভালোবাসার এমন কাহিনী বেশ অনেক দেখা যায়। পড়তে ভালো লাগে তবে যদি ব্যস্ততা আসে এর মধ্যে কষ্ট লাগা আসে সেগুলো পঢ়তে আর ভালো লাগে না। তবে এমন প্রেম ভালোবাসার মধ্যে ভালো-মন্দ দুইটাই থাকবে স্বাভাবিক। যাইহোক অন্তরা আবিরের ঘটনা আবারো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
জি ভাইয়া এমন কাহিনি সত্যি অনেক দেখা যায়, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আপনার গল্পটা তো বেশ জমে উঠেছে। অন্তরা আবির ছোটবেলার বন্ধু ছিল। আবার বড় বেলায় প্রেম তারপর বিয়ে বেশ ভালই জমে উঠেছে ।তবে অন্তরের বাবার জন্য ভীষণ খারাপ লাগছে। মেয়ের এই খবর শুনে তার হার্ট অ্যাটাক করারই কথা। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।তবে গল্পের নাম শুনে মনে হচ্ছে বিচ্ছেদ হতে পারে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন রোমান্টিক গল্প পড়তে ভীষণ ভালো লাগে আমার। যাইহোক আবির এবং অন্তরা বিয়ে করে বেশ ভালো কাজ করেছে। নয়তোবা অন্তরার বাবা ঠিকই অন্তরাকে উনার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিতেন। তবে অন্তরার বাবার স্ট্রোকের কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।