আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে গ্ৰামের মানুষদের যেন আম পাতাই রান্না করার একমাত্র জ্বালানী শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
প্রতিটি গ্ৰামের মানুষেরা গাছের পাতা ব্যবহার করে ভাত তরকারি রান্না না করলেও আমাদের গ্ৰামের বেশিরভাগ মানুষ আম গাছের শুকনো পাতা দিয়ে ব্যবহার করে তারা ভাত তরকারি রান্নার কাজ করে থাকে। এটা আমাদের গ্ৰামের মানুষেরা সারাবছর করে থাকে। অনেকের বাসায় প্রেসার কুকার ও রাইস কুকার থাকার পর তারা কেন জানি আম পাতা দিয়ে ভাত তরকারি রান্না করতে বেশি পছন্দ করেন। এটা হয়তো তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।গ্ৰামের মধ্যে অনেকের উচ্চ পরিবার হওয়ার পরেও তারা আম পাতা ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করেন না। আসলে আম পাতা দিয়ে ভাত তরকারি রান্না করলে সেই ভাত তরকারির মধ্যে একটু আলাদা রকম স্বাদ পাওয়া যায়, কিন্তু অপরদিকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস পত্রের মধ্যে ভাত তরকারি রান্না করলে এতো বেশি স্বাদ পাওয়া যায় না।
বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমাদের আম বাগানের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম, সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম আমাদের গ্ৰামের অনেক মানুষ আম বাগান থেকে আম পাতা জড়ো করছেন। তাদের আম পাতা জড়ো করা দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছে।একটি আম বাগান থেকে মাসে দুইবার করে আম পাতা জড়ো করা হয়। তবে গ্ৰামের যারা নিম্ন মাধ্যমিক পরিবারের, যাদের কোন আম বাগান নেই, তারা অন্যের আম বাগান থেকে আম পাতা জড়ো করে থাকেন। তবে, বর্ষা মৌসুমে গ্ৰামের মানুষদের আম পাতা জড়ো করতে একটু অসুবিধা হয়ে যায়। তখন তারা দুই থেকে তিন মাস একবারে আম বাগান থেকে আম পাতা জড়ো করে। তবে বর্ষা মৌসুমে গ্ৰামের মানুষদের ভাত তরকারি রান্না করতে একটু অসুবিধা হয়ে যায়, তখন তারা বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে রাইস কুকার ব্যবহার করে থাকে।
তবে শীতকালে আম পাতা দিয়ে ভাত তরকারি রান্না করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কেননা শীতকালে অনেক ঠান্ডা থাকে, আর এই ঠান্ডাময়ী সময়ে চুলোর গরমে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগে। আমি ছোট বেলায় শীতকালে আমার আম্মুর সাথে ভাত তরকারি রান্না করতে অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। বিশেষ করে আমি চুলোর মধ্যে আম পাতা দিতাম।আর তখন চুলোর মধ্যে বসে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগে।গ্ৰামের অনেক ছেলে মেয়েরা ছোট বেলায় এই কাজ গুলো করতো তাদের মায়ের সাথে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আর এই কাজ গুলো করতে ভালো লাগে না।তবে, আমি ছোট বেলায় অনেক সাহায্য করেছি ভাত তরকারি রান্না করতে। আমার এখনো সব কিছু মনের ভেতর গাঁথা রয়েছে।
আবার গ্ৰামের অনেকেই আছেন, যাদের একটু বেশি আম বাগান রয়েছে, তারা তাদের আম বাগানের পাতা গুলো বস্তার মধ্যে ভরে বিক্রি করে দেন। অনেক দূর দূরান্ত থেকে কাস্টমার চলে আসে এই আম পাতা নেয়ার জন্য। আবার অনেকেই আছে যারা শুধু আম পাতা বেচা কেনার ব্যবসা করে থাকেন।এটাও বেশ ভালো ও লাভজনক ব্যবসা। বর্তমান সময়ে গাছের মধ্যে একটু বেশি পাতা পড়ছে। কেননা বর্তমান সময়ে একটু ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, আর এই ঝড় বৃষ্টির কারণে গাছের পাতা ঝড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকেই এই ঝড় বৃষ্টির পাতা গুলো রোদের মধ্যে শুকিয়ে বস্তার মধ্যে মজুদ করে রাখছে। এই মজুদ করে রাখা পাতা গুলো বর্ষাকালে ভাত তরকারি রান্নার কাজে ব্যবহার করবে অনেকেই।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | Redmi 10C |
Camera | 48 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রাম বাংলার চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। অনেক দিন পরে আপনার পোস্ট এর মধ্যে দেখলাম। গ্রামের মানুষ এভাবে গাছের লতাপাতা শুকিয়ে রান্না করে। আমার কাছে গ্যাসের রান্নার চেয়ে এসব দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে বেশি মজা লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
মাটির চুলায় রান্না করলে খাবারের টেস্ট একটু অন্যরকম হয় তবে আম পাতা দিয়ে রান্না করলে খাবারের টেস্ট যে ভিন্ন হয় সেটা আমার জানা ছিল না ।আমি তো সেটাই ভাবছি যাদের আম গাছ নাই তারা কিভাবে আম পাতা দিয়ে রান্না করে আপনি বলেই দিলেন তারা অন্যের গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে সেই পাতা দিয়ে রান্না করে । এটা ঠিকই বলেছেন শীতের সময় পাতা দিয়ে রান্না করলে ভালো লাগে শীতের সময় ঠান্ডা থাকার কারনে চুলার পাশে বসে থাকতেও ভালো লাগে । আর গ্রামের মানুষ এসব পাতা দিয়েই রান্না করতে মনে হয় বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করে ।
তাই আপনার পোষ্টের মাধ্যমে একদম নতুন তথ্য জানতে পারলাম। আম পাতা দিয়ে রান্না করলে খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় সে সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। আর হ্যাঁ আপনাদের এলাকায় আম পাতা বস্তায় ভরে কেনা বেচার ব্যবসা করা হয় এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি আগে কখনো এমন কথা শুনিনি। তাই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে খুব খুশি হলাম ভাই। আম পাতা রান্না করার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা নিয়ে, খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সব লেখা বোল্ড না করার পরামর্শ রইল, বোল্ড ছাড়াই লেখা দেখতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ
ঠিক আছে।
গ্রামের মানুষদের কষ্টের বিষয়টা দেখে খুবই খারাপ লাগলো। জ্বালানির অভাব দূর করার জন্য তারা অনেক কষ্ট করে আমের কথা সংগ্রহ করছে। তারপরও এটা ভালো যে গ্রামে আম বাগান রয়েছে তাই পাতার অভাব খুব কম হয়।