আলু বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বেগুন, আলু দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালি আর বাঙ্গালিদের মাছ ছারা চলেই না।আমারও মাছ ভীষণ পছন্দের। মাছ ছারা যেন চলেই না আমাদের একবেলাও।কার্ফু মাছ ভীষন সুস্বাদু মাছ যদি তা হয় বড়ো।ছোট কার্ফু মাছ আমার ভালো লাগে না খেতে কিন্তুু বড়ো সাইজের কার্ফুমাছ খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়ে থাকে।আজ আমি কার্ফু মাছ ও আলু,বেগুনের ঝোল রেসিপি করেছি।
অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। ভাবলাম আপনাদের সাথে শোয়ার করি ভালো লাগবে।
১.কার্ফু মাছ |
---|
২.বেগুন |
৩.আলু |
৪.জিরা বাটা |
৫.পেঁয়াজ কুচি |
৬.আদা বাটা |
৭.গোটা জিরা |
৮.হলুদের গুড়া |
৯.লবন |
১০.মরিচের গুড়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আলু বেগুন কেটে নিয়েছি ও মাছ কেটে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
মাছ গুলোতে লবন হলুদ দিয়ে মেখে নিয়েছি।
চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল গরম করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন গরম তেলে লবন হলুদ দিয়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়েছি ও খুব ভালো করে মাছ গুলো ভেজে ভেজে তুলে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন মাছ ভাজা তেলেই গোটা জিরা ফোঁড়ন দিয়েছি ও কেটে রাখা বেগুনও আলু গুলো দিয়েছি। লবন হলুদ দিয়ে নারাচারা করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন বাটা মসলা গুলো হালকা ভাজা সবজি গুলোতে দিয়েছি।মসলা সহ খুব ভালো করে নারাচারা করে মিশিয়ে নিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
কষানো সবজি গুলোতে পরিমাণ মতো জল দিয়েছি ও খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
এখন মাছও সবজি গুলো ভালো করে ফুটিয়ে ও সিদ্ধ করে নিয়েছি। সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি পরিবেশের জন্য।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের কার্ফু মাছের মজাদার ঝোল রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।ভালো থাকবেব সব্বাই।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আলু বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি দুর্দান্ত লাগলো।এ ধরনের রেসিপি অনেক ভালো লাগে আমার। ভাত দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। আপনার এই রেসিপিটি সুন্দর ছিল। দেখে শিখতে পারলাম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই মাছের রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। আমি কিছুদিন আগেই তৈরি করেছিলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেগুন আলু দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোলটি সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দুইদিন আগে সম্ভবত আপনার একটা রেসিপি পোস্টে দেখেছিলাম কার্ফু মাছের ডিমের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আজকে মাছের একটা রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। বেগুন আমাদের বাসায় সাধারণত ইলিশ মাছ কিংবা শুটকি দিয়ে রান্না করা হয়। এই মাছ দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আপু এই কার্ফু মাছের ডিম দিয়ে বড়া করেছিলাম। বেগুন আমরা সব কিছুর সাথেই খেয়ে থাকি মাংস ছারা।শুটকি দিয়েও ইলিশ মাছ দিয়ে বেগুন সত্যি চমৎকার লাগে খেতে।
কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি টি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি একদম সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে মাছের রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার রেসিপি এর ফাইনাল ধাপের ফটোগ্রাফি টি দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছিল।
হ্যাঁ একদমই সহজ পদ্ধতিতে রান্না করেছি কার্ফু মাছের ঝোল।
আপু আপনি আজকে আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আলু, বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের ঝোল রেসিপি। আলু বেগুন দিয়ে যেকোন মাছ রান্না করা যায় খেতে দারুন লাগে। আপনি খুব চমৎকার ভাবে রান্নার ধাপ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বেগুন দিয়ে যে কোন মাছের তারকারি খেতে ভালো লাগে।
কার্ফু মাছ সুস্বাদু একটি মাছ। কার্ফু মাছ ভেঁজে ভুনা করে খেতে ভীষণ পছন্দ করি। কার্ফু মাছের ঝোল রান্না করে অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। এধরনের খাবার গুলো তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। ভালো লাগলো আপনার তৈরি রেসিপি দেখে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হ্যাঁ ভুনা আমারও ভালো লাগে তবে মুখের স্বাদ পরিবর্তন করতে মাঝে মাঝে ঝোল রান্না করে খাই।
বেগুন এমন একটি সবজি যেটি সব মাছের সাথে খাওয়া যায়। আর বেগুনের রেসিপির স্বাদ অনেক বেশি হয়ে থাকে। আপনাকে দেখলাম বেগুনের সাথে কার্ফু মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটি খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা সবকিছু অনেক ভালো ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু মাছ ছাড়া আমাদের চলেই না। মাছ তো আমার সব থেকে প্রিয় একটি খাবার। আপু আপনি আজকে আলু ও বেগুন দিয়ে কার্ফু মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল আপু।
হ্যাঁ আপু সুস্বাদু হয়েছিল রেসিপিটি।
আপু শুধু কার্ফু মাছ নয় যেকোনো মাছ একটু বড় সাইজের হলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার মত আমিও ছোট মাছগুলো খেতে পছন্দ করি না। অনেকদিন হয়েছে কার্ফু মাছ খাওয়া হয়না। আপনি আলু বেগুন দিয়ে খুব সুন্দরভাবে কার্ফু মাছের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আলু বেগুন দিয়ে বড় মাছগুলো এভাবে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর এসেছে আর উপস্থাপনা ও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু যে কোন মাছেই বড়ো সাইজের হলে ভালো লাগে খেতে।
আলু আর বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে খুব মজা হয়।তবে আমি বেগুন রেখে আলু আর মাছই খাই,হাহাহা।আপনি তো আজকে মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।সবাই নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছে। আর কার্ফু মাছ আমার অনেক পছন্দের। আলু দিয়ে পাতলা ঝোল রান্না করলে খেতে ভারী মজা লাগে।
বেগুন পছন্দ করেন না বুঝি।আসলে সব সবজি সবার পছন্দের হয় না।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেগুন রান্না করলে খাওয়া হয় না। তবে ভর্তা বা ভাজি খাই।
বেগুন ভর্তা ও ভাজি আমারও ভীষণ প্রিয় আপু।