আবারো অশান্ত সুন্দরবন

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজ খবরের কাগজের পাতায় একটা খবর দেখে খুব খারাপ লাগলো। খবরটা ছিলো সুন্দরবনে গভীরে ডাকাতির খবর। যদিও আমি জানতাম সুন্দরবন এখন জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন ডাকাত দল তাদের অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছিলো। পরবর্তীতে তাদেরকে পুনর্বাসনও করা হয়েছিলো। সেই ডাকাত দলের অনেকে এখন বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে এতদিন পর আবার ডাকাতের উপদ্রব দেখে মনে হোলো সুন্দরবন মনে হয় আবার অশান্ত হতে চলেছে। দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনের লোকজন বেশ নিশ্চিন্ত ছিলো সুন্দরবন নিয়ে। কিছু চোরা শিকারির উপদ্রব ছাড়া আর তেমন কোন সমস্যা ছিলো না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা সুযোগ নিয়ে ডাকাত দল আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

IMG_20240402_174658.jpg

তারা কয়েকটা জেলে নৌকার কাছ থেকে গতকাল ডাকাতি করেছে। তাদের কয়েকদিনের কষ্ট করে ধরা সমস্ত মাছ তারা লুট করে নিয়ে গিয়েছে। সেই সাথে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা এবং মোবাইল ও ছিনিয়ে নিয়েছে। যাওয়ার সময় তাদেরকে এটাও বলেছে পরবর্তীতে সেখানে মাছ ধরতে হলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে। সংবাদমাধ্যমের সূত্র ধরে জানতে পারলাম কয়েকদিন আগে আর একদল জেলে এই ডাকাতির শিকার হয়েছে। ডাকাতেরা শুধু তাদের সাথে থাকা মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছে তা নয়। সেই সাথে তাদেরকে বেশ মারধরও করেছে। যার ফলে অনেক জেলেই এখন সুন্দরবনের ভেতরে মাছ ধরতে যেতে ভয় পাচ্ছে। যদিও বন বিভাগ ঘটনা পরপরই অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু ডাকাত দলের কাউকে ধরতে সমর্থ্য হয়নি। ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত নৌকা রেখে জঙ্গলের গহীনে পালিয়ে গিয়েছে। যার ফলে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গিয়েছে।


এখনই যদি দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ডাকাত দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে সুন্দরবনের বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষেরা আবার সমস্যার সম্মুখীন হবে। সুন্দরবন আবার অশান্ত হয়ে উঠবে। এতদিন পরে আবার কারা এই ডাকাতি শুরু করলো প্রশাসনকে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। এই ডাকাতির পেছনে কি অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে। ডাকাত দলের উৎপাতের সময় সুন্দরবনের ভেতরে চোরা শিকারিদের উপদ্রব বেড়ে যায়। যার ফলে শিকার নিষিদ্ধ প্রাণী অবাধে মরতে থাকে। অবশ্য আমার মনে হয় এই ডাকাতদের উপদ্রব থেকে সুন্দরবনের মানুষকে বাঁচাতে হলে র‍্যাবের অভিযান দরকার। কারণ এর আগেও র‍্যাব সেখানে বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে ব্যাপক সফলতা পেয়েছিলো। প্রশাসনের তৎপরতার পাশাপাশি ডাকাদেরকে সামাজিকভাবেও বয়কট করতে হবে। তা না হলে এই সমস্যা রয়েই যাবে। এখন দেখা যাক সরকার কিভাবে এই সমস্যাটা মোকাবেলা করে?

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  
 26 days ago 

ঘটনাটা শুনে আসলেই খারাপ লাগলো। সুন্দরবন জলদস্যুমুক্ত ঘোষণা করার পর হঠাৎ করে এভাবে ডাকাত দলের আক্রমণ আসলেই কাম্য নয়। হয়তোবা এই ডাকাত দলের মাঝে পূর্বে যারা ছিল তারাও কেউ যুক্ত হয়েছে। নয়তো প্রশাসনের নীরবতা দেখে এখন আবার নতুন করে উৎপাত ঘটেছে। আসলে এভাবে হলে তো জেলেরা মাছ ধরতে ভয় পাবেই। কারণ জীবন বাজি রেখে তো কেউ আর সেখানে যাবে না। যাই হোক, একদম ঠিক বলেছেন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে র‍্যাব নিয়োগ করা হলে হয়তোবা আগের মত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

 26 days ago 

এমন খেটে খাওয়া মানুষদের কাছ থেকে ডাকাতেরা যদি মারধর করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়, তাহলে তো সেখানকার মানুষ বেশ আতঙ্কের মধ্যে থাকবে। প্রশাসনের উচিত জোরালোভাবে এই ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করা। আমারও মনে হচ্ছে এই ব্যাপারে র‍্যাব কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.25
TRX 0.11
JST 0.029
BTC 69389.89
ETH 3686.50
USDT 1.00
SBD 3.37