বাড়িতে পিচ্চি মানেই আলাদা ঝামেলা,আলাদা মজা।

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজ কোনো কবিতা কিংবা ট্রাভেল ব্লগ কিংবা ফুড রিভিউ নিয়ে আসিনি।আজ এমন একটা বিষয় নিয়ে লিখতে এসেছে যে বিষয় নিয়ে আমি খুব একটা লেখা পড়িনি।কিন্তু এ বিষয়টা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়েই আছে।তাই ভাবলাম আজ লেখাই যাক।

আসলে শুধু শুধুই এই টপিকটা মাথায় এসেছে বললেও ভুল হবে।এই লেখাটা মাথায় এসেছে একটা কারণে,কারণ হলো সকাল থেকে বিশাল বিরক্তি আর ঝামেলার মধ্য দিয়েই যাচ্ছি ঝামেলার ও কারণ কম নেই তাই ভাবলাম তা নিয়েই লেখা যাক।

আপনারা অনেকেই জানেন আমার একটা ছোট বোন রয়েছে তার নাম নুয়াইরা।আমার নামের সাথেই মিলিয়ে নাম তার।তবে স্বভাব মোটেও এক নয়।আমি পিচ্চিকালে ঠিক যতোটাই শান্ত ছিলাম এই মেয়ে তার পিচ্চিকালে ঠিক ততটাই অশান্ত।আমি শান্ত ছিলাম এটা আবার আমার মুখের কথা নয়,বাড়ির বড়দের কথা।আপনারা আবার ভাববেন আমি নিজেই নিজের নামে সুনাম করছি।হিহিহি,আপনার উপর তো ভরসা নেই আবার।কারণ যখন যেকোনো কিছুই আপনারা ভেবে ফেলতে পারেন।এটা একটা বিশাল সমস্যা আসলে।

সে যাই হোক,মূল ঘটনা মানে আজকের ঘটনায় আসি।আজ বেশ সকাল সকাল ই ঘুম থেকে উঠেছি স্টিমিটের কিছু কাজ করার জন্যে।যথারীতি কাজ করছিলাম ও,চোখে তখন পাহাড় সমান ঘুম আমার।তাও ঘুম ফেলে কোনো রকমে লেপটপ এ বসে কাজ শেষ করার ট্রাই করছিলাম।হঠাৎ দেখি বিকটা আকারের চিৎকার নুয়াইরার।দৌড়ে গেলাম কি হয়েছে দেখতে,গিয়ে দেখি নুয়াইরা মাথার এক কোণে ফাঁটিয়ে ফেলেছে টাইলস এর কর্ণারের সাথে লেগে।আসলে এই মেয়ে ঘুম বাদে প্রায় সবটা সময় ই দৌড়াদৌড়ির উপরেই থাকে।আর এমন ভাবে ছুটাছুটি করে যে কোথায় গিয়ে পরছে কিংবা কোথায় ব্যথা পাচ্ছে তা দেখার সময় কিংবা সুযোগ কোনোটাই ওর থাকেনা।

তাই প্রায় সময় ই এই ধরণের দূর্ঘটনা ঘরে লেগেই থাকে।এ আর নতুন কিছুই নয়।নতুন হয় ব্যথা পাওয়ার ধরণ গুলো!মানে এমন এমন ভাবে ব্যথাগুলো পায় যেগুলো আমাদের মাথাতেও আসে না যে এভাবেও ব্যথা পাওয়া সম্ভব।যাই হোক,মূল বিরক্তির কারণ হলো এভাবে ব্যথা পাবে।এরপর অনেক সময় ধরে কান্নাকাটি চলবে এরপর শান্ত হয়ে আবার দুষ্টামি করবে।এর মাঝে একেতো চিৎকার করে ঘর মাথায় তুলে আর অপর দিকে কাজ করতেও সমস্যা হয়।কারণ বাচ্চাদের কান্না থামানো খুবই কঠিন কাজ গুলোর মাঝে একটি।

যাই হোক,সকালে কাজে বিগড়া দিলো এভাবেই।আসলে আমার বিভিন্ন কাজে এই মেয়ে প্রায় সময় এভাবেই বিগড়া দিয়ে থাকে।আর বাচ্চারা কান্নাকাটি করলে কিংবা ব্যথা পেলে আসলে কষ্টও লাগে।তার কারণ বাচ্চারা সঠিক তথ্যটা সেভাবে এক্সপ্রেস করতে পারেনা যেভাবে আমরা পারি।অনেকসময় বুঝাতেও পারেনা যে ব্যথা পেয়েছে।তাই বিষয়গুলোর দিকে সবসময় অতিরিক্ত নজর রাখতে হয়।

তবে ঘরে বাচ্চা থাকলে শুধু যে এসব ঝামেলাই হয়, তা কিন্তু মোটেও নয়!আমার মনে হয় যেসব বাড়িতে কোনো ছোট বাচ্চা থাকেনা। সে বাড়িগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ বাড়িই হয় একেবারে নিষ্প্রাণ। তার কারণ একটা বাচ্চাই পারে ২৪ ঘন্টা ঘরকে মাতিয়ে রাখতে।এইযে যেমন আমাদের নুয়াইরা হলো বাড়ির সকলের মধ্যমণি।সবাই সারাদিন একে নিতে মেতে থাকে।এই পিচ্চিগুলো না থাকলে আমার মাঝেমধ্যে মনে হয় আমরা সবসময় যে যে যার যার কাজেই ডুবে থাকতাম।তাই এরা ঘরের প্রাণ বলাই যায়।

এসব প্রাণের মন রক্ষা করতেও আবার দাম কিন্তু দিতে হয় প্রচুর।হাহাহা,কি বুঝালেন বুঝতে পারেন নি তো?এই যে যেমন,আমি বাইরে গেলেই অপেক্ষা করে বসে থাকবে কবে আমি আসবো আর সাথে তার জন্যে কিছু না কিছু নিয়ে আসবো।মানে বিষয়টা অনেকটা এমন যে জান ফেলে আসা যাবে বাইরে তবে হাতে করে কিছু আনতে হবে।তা কোনোভাবেই মিস দেওয়া যাবেনা!এসব অবশ্য আমি বেশ উপভোগ ই করি! কারণ এই পিচ্চিগুলো হলো বাড়ির ভালোবাসা।তবে এ ভালোবাসার মূল্য দিতে দিতে আপাতত আমার জান ওষ্ঠাগতপ্রায়!এতো জ্বালায় কি আর বলবো!তাও এই বাচ্চাগুলো চোখের আড়াল হলেই আর ভালোলাগেনা যেনো। এজন্যেই বললাম,এরা যেমন প্রিয়, তেমন ঝামেলার।ঠিক বললাম তো নাকি?

আজকের ভিন্ন ধরণের কিছু লেখার চেষ্টা করেছি। জানিনা কতোটুকু ফুটিয়ে তুলতে পারলাম।আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।